Saturday, September 29, 2018

লাস্ট কয়েক মাসের লগ

অনেকদিন বাদে ব্লগে ব্লগরব্লগর করছি। এর মাঝে কিছু কিছু পোস্ট দিয়েছিলাম কিন্তু ওগুলি ছিল অনেকটা দায় সারার মতো। এই বছর নিজের জন্য কাজ খুব কমই করেছি আমি। কম মানে খুবই কম। ক্লায়েন্টের কাজ এখানকার ওখানকার কাজই করা হয়েছে আর অ্যানাটমি আঁকা শেখার চেষ্টা চলছে। এটা আঁকতে গেলে দেখা যায় ওটা পারিনা। ওটা শিখতে গেলে এটা পারিনা। এক বিতিকিচ্ছিরি অবস্থা। কিন্তু এরপরেও লাইফ ইজ গুড। এটা সেটা এঁকে স্কেচবুক ভরিয়েছি প্রায় প্রতি মাসেই। এটা একদিক থেকে ভালই হয়েছে। পেন আর ইংকে আঁকা হয়েছে। বাইরের ফ্রিল্যান্সের কাজ চলছে প্রায় প্রতিমাসেই। পিপিএইচের পাশাপাশা ফাইভারে নিজের একটা অবস্থান আনার চেষ্টা করছি এই বছরের শুরু থেকেই। বইমেলার পরে উল্লেখযোগ্য কাজের মধ্যে মিতু আপুর সাথে প্রজেক্ট টিকটালিক এর জন্য "জংগলে গণ্ডগোল" কমিক্সের কাজ করেছি। বেশ মজার একটা অভিজ্ঞতা। এটা নিয়ে একটা আলাদা পোস্ট লিখতে হবে। আর UNHCR এর জন্য কমিক্সের পোস্টার করেছি। এই পোস্টার নিয়ে পরে মেহেদী ভাই ঢাকা কমিক্স থেকে অ্যানিমেশন করেছেন UNHCR এর জন্য। এই প্রজেক্টেও ছিলাম। এখান থেকে ইন্সপায়ার্ড হয়ে আমরা অ্যানিমেশন শেখার চান্সে আছি। রস+আলো এডিটর রনি ভাই মাঝেমাঝে ফোনে কল করে কাজ ধরিয়ে দেন। সময় থাকলে ওগুলিও করা হয়। সব মিলিয়ে ব্যস্তই থাকি। টের পাই নিজের জন্য কাজের পরিমান বাড়াতে হবে। কিন্তু করা হয়ে উঠছেনা।
এই মাসে(সেপ্টেম্বর) নতুন বাসায় উঠলাম । আগের বাসা ছেড়ে দিতে হয়েছে বাড়িওয়ালা আর ব্যাচেলরদেরকে ভাড়া দিবেনা বলে। নতুন বাসা খুঁজা নিয়ে কিছুদিন ঝামেলায় ছিলাম। এরপর বাসা পেলাম বাড্ডা হোসেন মার্কেট এরিয়ায়। নতুন বাসা ছয় তলায়। প্রথম কয়েকদিন জান বের হয়ে গিয়েছিল। এরপর আস্তে আস্তে অভ্যাস হয়ে গেল। বড় বড় জানালা আর ব্যালকনিওয়ালা বেশ সুন্দর একটা রুম পেলাম। আগের বাসার রুমের চেয়ে বড়। নিজের ওয়ার্কস্টেশন গুছিয়ে ফেলেছি। বেশ ভাল্লাগে নতুন পরিবেশে। স্টুডিওতে যাওয়াও সহজ হয়ে গেছে এখান থেকে। বাসা থেকে দশ মিনিট হাঁটলেই গুদারাঘাট। ওখান থেকে সোজা হাতির ঝিলের ওয়াটার বোটে করে স্টুডিও এর লোকেশনে। প্রায় সময়ই যাওয়া হয় বিভিন্ন কাজে আর আড্ডা দেওয়ার জন্য।
শুক্রবারে নিজেকে ছুটি দেই যেটা আগে ছিলোনা। একদিন চেষ্টা করি কোন কাজ না করার। সপ্তাহে অ্যাট লিস্ট দুই দিন চেষ্টা করি একজনের সাথে সময় কাটাতে। খুনসুটি আহ্লাদ রিকশায় ঘুরাঘুরি, হাত ধরে হাঁটা দারুন সব দিন। মেহেদী ভাই আর মিতু আপু গ্রিনরোডে বাসা নিয়েছেন। মাঝে মাঝে ওখানেও যাওয়া হয় । জীবন সুন্দর - লাইফ ইজ গুড। 
অনেক কিছুই আঁকতে ইচ্ছে করে। আবার আঁকা হয়না। 
Joker
The Prince of Anarchy

টেকআউট
যেখানের বার্গার আহামরি কিছু লাগে না।
কিন্তু এরপরেও আমরা যাই বসার ভাল জায়গা আছে বলে।
এখানকার চিকেন চিজি বাইটটা বেশ ভাল।
আমি - তোকে সুন্দর লাগছে :D
সে - তুই দাড়িগোঁফ ছাটিস নাই কেন? >_<

Friday, September 28, 2018

যে কারনে আমি ফ্রি তে আর্ট রিলেটেড কাজ করি না!

আমি সাধারণত ক্যারিকেচার পোর্ট্রেট এসব আঁকিনা। কার্টুন, কমিক্স এর ক্যারেক্টার আঁকি আর বই আর অনলাইন প্ল্যাটফর্মের জন্য ইলাস্ট্রেশন করি। আসলে বেশিরভাগ সময় আমার আঁকা ক্যারিকেচারের চেহারা মেলে না বলে আঁকিনা। মাঝে মাঝে ইচ্ছে হলে আঁকা শুরু করি কারো ফেসবুক প্রোফাইলের ছবিতে হানা দিয়ে। একটু আধটু মিলে যায়। সাধারণত তাদের ছবিই আঁকি যারা কখনো আমাকে তাদের ছবি আঁকার জন্য রিকুয়েস্ট করেন নাই। তারা হঠাৎ আঁকা ছবি পেয়ে খুব খুশি হন। ভাল্লাগে। 
কিন্তু কেউ যখন ছবি এঁকে দেওয়ার জন্য বা আমার কাছে ডিজাইন চেয়ে আবদার করে তখন আমি সরাসরিই বলি ছবি আঁকতে টাকা লাগবে। ফ্রি তে কাজ করিনা আমি। অনেকে বেজার হন আমার উপর, হয়তো ব্রলোক, ট্রলোকও বলেন। আসলে আমি কিন্তু গরিব। 
কেন ফ্রি তে কাজ করিনা? আজকে ফেসবুকে এক ফেলো আর্টিস্ট এর পোস্টে কমেন্ট করতে করতে মনে পড়ে গেলো ঠিক কবে আমি রিকুয়েস্ট এর ছবি আঁকা বা কাজ করা ছেড়েছিলাম। যখন ছবি আঁকা শুরু করেছিলাম তখন প্র্যাকটিস এর অংশ হিসেবেই এর তার ছবি আঁকতাম। কেউ রিকুয়েস্ট করলেই আঁকার চেষ্টা করতাম। পারতাম না। কিচ্ছুই হতোনা। এরপরও দিতাম। এর মধ্যে একদিন একজন বলল দাদা আমার একটা ছবি এঁকে দেন। দিলাম এঁকে একদিন সময় নিয়ে। সে ছবি পেয়ে বলল। হুমম... দাদা এটা ভাল করে আঁকেন নাই। আরেকটা ভাল করে এঁকে দেবেন একদিন কিন্তু। আমি এহেহেহে করে বাই বললাম। সেদিন কান ধরেছিলাম আমি। পারি আর না পারি ফ্রি তে কাজ করবোনা কারো জন্য আর। ফ্রি পাইলে লোকে দাম দেয়না। এই কথাটার সত্যতা সেদিন পেয়েছিলাম আমি।
ভাই আমি কেমন আঁকি সেটাতো আমার কাজ দেখেই বুঝা যায়। আপনার ছবি আঁকলে আমি আমার মোট পচা করেই আঁকবো এবং যেহেতু এটা আপনার রিকুয়েস্ট সেহেতু আমার আঁকা পচা ছবিই আপনাকে খুশি হয়ে গ্রহন করতে হবে। আপনাকে এটা রিয়েলাইজ করতে হবে একজন মানুষ তার জীবনের কিছু মিনিট/ঘন্টা আপনার জন্য ব্যয় করেছে ফ্রি তে। আপনাকে সেটা অ্যাপ্রিশিয়েট করতে হবে। ওই টেরিবল ঘটনার পর থেকে আমি পোর্ট্রেট ক্যারিকেচার এসব করতে ভয় পাই। আমার মধ্যে একটা ভয় ঢুকে গিয়েছিল যে আমি মনে হয় কোনদিন কারো চেহারা আঁকতে পারবোনা। এটা নিয়ে মন খারাপ হতো। পরে এটা কাটিয়ে উঠি এটা রিয়েলাইজ করার পর যে সবাইকে সবকিছু পারতে হবে এমন কথা নাই। চেহারা নাই বা আঁকলাম। পেরা নাই। আঁকার মতো জিনিসের অভাব নাই দুনিয়াতে।
আর ইদানীং মাঝে মাঝে আমার পেইজে মেসেজ পাই,
"ভাইয়া আমি আপনার ফ্যান।
আমার একটা ছবি এঁকে দেন"
জি না আমি আপনার ছবি আঁকবো না । Being fan is not enough when you are asking for a work from a professional. Your facebook like doesn't pay his bills. Your payment does. Thank you for understanding.
বিঃদ্রঃ এক্সসেপশন আছে কিছু যেমন আমার ফ্যামেলি মেম্বার আর কাছের বন্ধুরা। আর আমি কিছু কিছু মানুষকে কোন না কোন কারনে পছন্দ করি। সেটা তাদের মতাদর্শ/লেখালেখি/কাজকারবার অথবা তাদের সাথে মেশার কারনে আর যে কোন কিছুর কারনে হতে পারে। তাদের রিকুয়েস্ট পেলে বলি আচ্ছা একদিন এঁকে দেব। তাদের ছবি কোন না কোন একদিন আঁকা হয়ে যাবে।
আবার অল্প কিছু মানুষ আছেন যারা যখন আমাকে বলেন আমার জন্য এই কাজটা করে দাও/দে তখন আমি এটা ভেবেই খুশি হয়ে যাই যে তারা আমাকে তাদের জন্য কাজ করতে বলছেন। পেমেন্ট পাই আর না পাই কিচ্ছু যায় আসে না। আমি দৌড় দিয়ে কাজগুলি করে দেই। তারা যদি বলে ওই যে আগুন দেখা যায়। যা ঝাপ দে। আমি প্রশ্ন ছাড়াই ঝাপ দিয়ে দেব।

Wednesday, September 12, 2018

উন্মাদের চল্লিশ বছর

গেল জুলাইয়ে দৃক গ্যালারীতে হয়ে গেল উন্মাদ ম্যাগাজিন এর ৪০ বছর সেলিব্রেশন আর এ উপলক্ষে কার্টুন প্রতিযোগিতা আর এক্সিবিশন । ৫ থেকে ৯ জুলাই মোট পাঁচদিনব্যাপী এই এর কার্টুন এক্সিবিশনে আমার একটি কার্টুন স্থান পেয়েছিল। এক্সিবিশনে একদিন গিয়েছিলাম জাস্ট। তাও বাবলু ভাইয়ের সাথে ঘুরান্তিস দেওয়ার সুবাদে। কাজের চাপ ছিল আর ছিল আলসেমি। কিছু ছবি তুলে রাখি

কাল একটা বিষয় নিয়ে গুগল সার্চ করার সময় দেখি উন্মাদ এর ৪০ বছর পূর্তি নিয়ে করা ডেইলি স্টারের রিপোর্টে আমার কার্টুনের কথা আর ছবি। আগে খেয়াল করি নাই এই রিপোর্ট। ভাল্লাগসে দেখে :B
https://bit.ly/2CNpi0U
সিফাতের তোলা ছবি। আমরা যেদিন গিয়েছিলাম সেদিন দৃকে যেতে যেতেই আমার ফোনের ব্যাটারির চার্জ শেষ। শান্তিতে ছবিও তুলতে পারি নাই দুইটা -_- 

উন্মাদ যুগে যুগে। সেই এককোষী প্রাণীর যুগ থেকে শুরু করে পোস্ট অ্যাপোক্যালিপ্টিক যুগে নিয়ে গেলাম উন্মাদ দের।
উইথ বস আহসান হাবিব

আমার কার্টুনের সামনে বাবলু ভাই আর আমি।
বাবলু ভাইয়ের ঘোলা লেন্সের ক্যামেরায় তোলা ছবি।

Friday, July 20, 2018

Chester Bennington

"Sometimes, sometimes you don't say goodbye once
You say goodbye over and over and over again
Over and over and over again
Sometimes, sometimes you don’t say goodbye once
You say goodbye over and over and over again
Over and over and over again"

Say Goodbye - Mike Shinoda


Chester Charles Bennington
(20/03/1976 - 20/07/2017)
You will always be missed.

Sunday, June 3, 2018

Birthday Caricatures

some caricatures as Birthday gifts for brothers
Kepil

Sameen

My brother Ronel

গুপী গাইন বাঘা বাইন

ফেসবুকে নাজমুল ভাইদের গ্রুপ এর ক্যারেক্টার ডিজাইন গ্রুপ We R Makers এর মে মাসের চ্যালেঞ্জের সাবজেক্ট ছিল লেজেন্ডারি চিত্র পরিচালক সত্যজিৎ রায় এর "গুপী গাইন বাঘা বাইন" এর দুই চরিত্র গুপী আর বাঘা। আমার এন্ট্রি ছিল এটি।
গুপী বাঘা (Goopy & Bagha)
শিলুয়েট। এই স্টেজের আগে আরো কিছু রাফ থাম্বনেল ছিল।
ব্যস্ততার মাঝেবেশি সময় দিতে পারিনি কাজটাতে।
তবে গুপী বাঘা মুভিটা দেখা হয়েছে এর মধ্যে এই কাজের জন্য। :D

Friday, May 11, 2018

বিগিনার কার্টুনিস্ট/আর্টিস্টদের জন্য ফ্রিল্যান্সিং ০১

প্রথমেই বলে রাখি এই ব্লগপোস্ট ধরতে গেলে একদম বিগিনার আর্টিস্টদের জন্যই যারা কার্টুন/কমিক্স/ছোটখাটো গ্রাফিক ডিজাইন এসব কে পুঁজি করে প্রফেশনালি আঁকাআঁকি করার কথা ভাবছেন বা কাজ খুঁজছেন। সিনিয়র আর গুরু লেভেলের মানুষদের জন্য এই পোস্ট কাজে আসবেনা। উনাদের কাছে কাজ আসে। নিজেদের খুঁজতে হয়না। :D আর নতুন আঁকাআঁকি শিখছেন এমন কারো জন্য এই পোস্ট প্রযোজ্য না। এই মুহূর্তে মোটামুটি লেভেলের আঁকাআঁকি পারেন এমন আর্টিস্ট দের জন্যই এই ব্লগপোস্ট।

ফ্রিল্যান্সে দেশি বিদেশি কাজ করা যায়। মূলত বিদেশি ফ্রিল্যান্স কাজ নিয়েই এই পোস্ট। বিদেশি কাজের জন্য আমি মূলত দুটি মার্কেটপ্লেসে কাজ করি। কিছুদিন আগে একটাতে হাফ সেঞ্চুরি পূরণ করলাম মানে ৫০+ প্রজেক্ট কমপ্লিট করেছি ১০০% রেটিং রেখে। তাই ভাবলাম এই উপলক্ষে অভিজ্ঞতা বা কিভাবে কি করা যায় তা শেয়ার করা যাক। হয়তোবা মোটামুটি দাগাদাগি করে সারভাইভ করতে চান এমন কারো উপকারে আসতে পারে এই পোস্ট।

আমার বিশ্ববিদ্যালয় জীবন শেষ হয় ২০১৫ এর শেষদিকে এসে। মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়ালেখা ছিল আমার। পাশ করার পর কিছুদিন জিআরই, কিছুদিন বিসিএস, কিছুদিন সরকারি চাকরির জন্য প্রস্তুতি এসব করেই দিন কাটছিল। ঠিক বুঝে উঠতে পারছিলামনা কি করব। যাই হোক, এরমধ্যে একদিন এক ব্যাচমেট ভাইয়ের সাথে চায়ের আড্ডায় উনি বললেন, রোমেল ভাই আপনি তো আঁকাআঁকি করেন। ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেসে তো ভালই চাহিদা আছে এসবে। আপনি ফ্রিল্যান্সে কাজ করেন না কেন। পরে ওই ভাই যে মার্কেটপ্লেসে কাজ করেন সেখানে আমার অ্যাকাউন্ট করার ব্যাপারে হেল্প করলেন। কিভাবে বায়ারদের কাছে প্রপোজাল পাঠাতে হয়, কিভাবে ব্যালেন্স ট্রান্সফার করতে হয় এসব ব্যাপারে বুদ্ধিশুদ্ধি দিলেন। উনার বুদ্ধি নিয়েই অ্যাকাউন্ট করি, বিভিন্ন প্রজেক্টে প্রপোজাল পাঠাতে থাকি। 


টানা তিনমাস আমি প্রপোজাল পাঠাতে থাকি দিন রাত। এভাবে একদিন একটা কাজ পেয়ে যাই এবং ফ্রিল্যান্সে কাজ করা শুরু করি। দেখলাম বাহ মজা তো! যে কাজটা করে আনন্দ পাই সে কাজটাই যদি প্রফেশন হিসেবে নিতে পারি তবে তো বেশ দারুন হবে। সে থেকে কাজ করছি আর দুবেলা ডালভাত খেয়ে সারভাইভ করতে পারছি। ব্লা ব্লা ব্লা ব্লা ...... এইবার মূল কাহিনীতে আসা যাক । অ্যাকশন অ্যাকশন ডাইরেক্ট অ্যাকশন... 

১) একজন কার্টুনিস্ট/কমিক আর্টিস্ট/ইলাস্ট্রেটর হিসেবে কি কি করার সুযোগ আছে ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেসে

এডিটরিয়াল কার্টুন, ফিচার কার্টুন, কমিক্স স্ট্রিপ, ক্যারেক্টার ডিজাইন, কারটুনাইজড লোগো/ফ্লাইয়ার/বুকলেট এসব, কমিক্স বুক, ইলাস্ট্রেশন, চিল্ড্রেন বুক, ফ্ল্যাট ইলাস্ট্রেশন, ক্যারিকেচার, অ্যাভাটার, কোম্পানি মাস্কট, পোর্ট্রেট ......... কিছু কি বাদ রেখেছি? (চিন্তিত ইমো হবে) 
 এইসব কাজ কি পারেন আপনি? যদি পারেন তবে শয়ে শয়ে কাজ ওয়েট করছে আপনার জন্য।  (হাজার হাজার বলি নাই কারন মার্কেটপ্লেস একটু টাফ :3)
  • এসবের সাথে যা জানা থাকলে সুবিধা পাবেন;

ফ্রিল্যান্স মার্কেটে শুরুর দিকে কাজ পাওয়া একটু নয়, বেশ কষ্টকর। তাই শুধুমাত্র কার্টুন কমিক্স ক্যারিকেচারের উপর ভরসা করে এগিয়ে যাওয়া একটু টাফ ব্যাপার হবে মার্কেটে টিকে থাকার জন্য। আপনি যদি হালকা পাতলা গ্রাফিক ডিজাইন জেনে থাকেন তবে সেটা প্লাস। এই যেমন ধরেন, ছোটখাটো লোগো, আইকন, লিফলেট,বিজনেস কার্ড ইত্যাদি। এসবের কাজ অনেক থাকে। এইসব কাজ জানা থাকলে কাজ পাওয়া তুলনামুলক সহজ। এসব কাজ করে করে রেটিং বাড়ালেন এরপর যখন বেশ কিছু কাজ করে ফেলবেন তখন আপনার মেইন যে কাজগুলি(কার্টুন কমিক্স এইসব) সেগুলিই করলেন। ক্লায়েন্ট ও আপনার আগের কাজের রিভিউ দেখে বুঝতে পারবে আপনি আপনার কাজের ব্যাপারে কতটুকু সিনসিয়ার আর ক্লায়েন্টদের ডিমান্ডকে কতটুকু কেয়ার করেন।

২) যা যা দরকার হবে শুরু করার জন্য 
  • আপনার স্কিল 
  • গুছানো পোর্টফলিও
  • কম্পিউটার আর ভাল ইন্টারনেট কানেকশন
  • ডিজিটালি কাজ করতে চাইলে গ্রাফিক ট্যাব আর ট্র্যাডিশনালি কাজ করতে চাইলে স্ক্যানার আর আঁকাআকির টুলস
  • ইংলিশে ফ্লুয়েন্ট চ্যাটিং আর কথা বলার ভাল স্কিল। কথা বলার খুব একটা দরকার পড়েনি আমার।
  • কমিউনিকেশন স্কিল
  • ধৈর্য। এটাই সবচেয়ে বেশি দরকার। নতুন নতুন মার্কেটপ্লেসে কাজ পাওয়া খুব সহজ না। আর ক্লায়েন্ট হ্যান্ডেলিং ও একটু কঠিন আছে। আমার প্রথম জব পেতে তিন মাস সময় লেগেছিল। আর তৃতীয় জব এর পেমেন্ট পেয়েছিলাম সাত পাউন্ড। (সাতশ টাকার মতো) ধৈর্য ধরে এগোতে থাকলে একদিন দেখবেন কোন ধরনের ক্লায়েন্টের সাথে কিভাবে কথা বলতে হয় শিখে যাবেন। 

আপাতত এগুলিই। 

৩) ডিজিটাল নাকি ট্র্যাডিশনাল মিডিয়াম ? কোন সফটওয়্যার এর কাজ জানা থাকতে হবে?
দুই মিডিয়ামেরওই চাহিদা আছে। ওয়াটার কালার পোর্ট্রেটএর ক্লায়েন্ট, পেন্সিল স্কেচের ক্লায়েন্ট, ডিজিটাল ড্রয়িং এর ক্লায়েন্ট সব ধরনের ক্লায়েন্টই আছে ফ্রিল্যান্স মার্কেটে। সফটওয়্যার স্কিলের ক্ষেত্রে বলব ফটোশপ, ইলাস্ট্রেটর (ভেক্টর সফটওয়্যার), ক্লিপ স্টুডিও, ইন-ডিজাইন, ফ্ল্যাশ... যে সফটওয়্যারে আপনি কাজ করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন সেটাই লাগবে কাজ নামানোর জন্য। ভেক্টর সফটওয়্যার এর কাজ জানা থাকা মাস্ট বলে মনে করি আমি যদি আপনি আর্ট ফিল্ডে ফ্রিল্যান্সিং করতে চান। এটা জানা না থাকলে আপনি অনেক কাজ পেয়েও হারানোর সম্ভাবনা আছে। 

৪) পোর্টফলিও
একজন বিগিনার হিসেবে কারো পোর্টফলিও তেমন একটা রিচ হওয়ার কথা না আসলে। এরপরেও কিছু না কিছু নিয়ে মাঠে নামতে হবে। মনে করেন একজন মাল্টি আর্টিস্ট হিসেবে আপনি কার্টুন, ক্যারিকেচার, চিল্ড্রেন বুক, ইলাস্ট্রেশন আর ক্যারেক্টার ডিজাইন এই পাঁচটি কাজ পারেন। এখন আপনি আপনার এই পাঁচটি সেকশনের জন্য পাঁচটি করে কাজ রেডি করেন। টোটাল পঁচিশটি কাজ।
এই পঁচিশটি কাজ হবে আপনার সাধ্যের মধ্যে সেরা কাজগুলি। কোনরকমে তাড়াহুড়ো করে নামিয়ে দেওয়া কাজ না। এর মধ্যে মনে করেন একটা চিল্ড্রেন বুকের প্রজেক্টে প্রপোজাল পাঠাবেন। তখন আপনি চিল্ড্রেন বুকের উপর করা আপনার ওই পাঁচটা কাজ ক্লায়েন্টকে দেখাবেন। এক্ষেত্রে পাঁচটা কাজের স্টাইলে ভ্যারিয়েশন থাকলে ভাল। ক্লায়েন্ট কাজ দেখে বুঝতে পারবে আপনি বিভিন্ন স্টাইলে কাজ করতে পারেন। মনে রাখবেন আপনি এই কাজগুলি ফেসবুকে বন্ধুদের দেখাচ্ছেন না যে কেউ দেখেই লাইক মেরে বলবে "নাইস হয়েছে দোস্ত। তুই জোশ!"। এই কাজগুলি আপনি দেখাচ্ছেন ক্লায়েন্টকে যে আপনাকে পে করবে কাজের জন্য। তাই পোর্টফলিও এর জন্য যে কাজগুলি করবেন সেগুলি আপনি সময় নিয়েই করবেন যাতে একজন পটেনশিয়াল ক্লায়েন্ট আপনার কাজ দেখে আপনাকে দিয়ে কাজ করানোর কথা ভাবতে পারে। এভাবে বিভিন্ন ধরনের কাজের জন্য পোর্টফলিও রেডি রাখুন।

(আমার ফ্রিল্যান্স সাইটের পোর্টফলিও তে আমার কাজের পাশাপাশি আমার প্রিয় একজন আর্টিস্ট+মেন্টর আসিফ ভাইয়ের কাজও আছে। আমি ক্যারিকেচার পারিনা, পেইন্টারলি স্টাইলের কমিক্সের কাজগুলি পারিনা। তাই এই ধরনের কাজগুলি পেলে আমি আসিফ ভাইয়ের কাজ দেখাই ক্লায়েন্টকে। ক্লায়েন্ট রাজি হলে কাজ নিয়ে আসিফ ভাইয়ের কাছে চালান করে দেই। প্রাইমারি লেভেলে এই কাজটা না করাই ভাল। কারন বুঝতে একটু সময় লাগবে।) 

৫) কোন সাইটে কাজ করবেন, অ্যাকাউন্ট করা এবং পেমেন্ট কিভাবে নেবেন এইসব
ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেস অনেক আছে। Freelancer, Upwork, People Per Hour, Fiverr, 99designs....... সহ আরো অসংখ্যা। একেকটা মার্কেট প্লেসে একেকরকম ভাবে কাজ করতে হলেও মোটামুটি বেসিকটা সবার এক। আমি কাজ করি People Per Hour (PPH) আর Fiverr এ।
এইসব সাইটে কেউ কাজ করতে চাইলে বুদ্ধিশুদ্ধি দিয়ে হেল্প করতে পারবো।
অন্যান্য সাইটগুলিতে অনেকে কাজ করে। উনাদের কাছ থেকে চাইলে কেউ শিখে নিতে পারেন। আর শিখতে চাইলে গুগল ইউটিউব তো আছেই!
পেমেন্ট নেওয়ার জন্য আছে ব্যাংক ট্রান্সফার, পেয়োনিয়ার, পেপ্যাল এসব। পেপ্যালের কথা জানিনা ঠিক। কখনো ট্রাই করিনি। আমি পেয়োনিয়ার এর মাস্টারকার্ড ইউস করি। আমি যেদুটি মার্কেটপ্লেসে কাজ করি ওরা পেয়োনিয়ার সাপোর্ট করে। আর পেয়োনিয়ার অফিশিয়ালি বাংলাদেশে স্বীকৃত। ক্লায়েন্টের কাছ থেকে পেমেন্ট পেলে সেগুলি সাইটে জমা হয়। সেই ব্যালেন্স যখন প্রয়োজন হয় তখন 
আমার পেয়োনিয়ার অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার করে ফেলি। যেহেতু মাস্টার কার্ড সো ডিবিবিএল ব্র্যাক এইসব ব্যাংকের বুথ থেকে টাকা তোলা যায়। 

৬) আমি যেভাবে প্রপোজাল পাঠাই
আপওয়ার্কে আমি কাজ করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু বুঝতে পারিনি কিভাবে কি করতে হয়। ফাইভার আর পিপল পার আওয়ারে আমি কাজ বুঝেছি তুলনামূলক সহজেই।
ফাইভারে প্রপোজাল পাঠানো যায় কিনা আমার আইডিয়া নেই। ওখানে আছে Gig সিস্টেম। গিগ মানে সহজ ভাষায় প্যাকেজ । মনে করেন আপনি ক্যারিকেচার করবেন। তাহলে স্যাম্পল সহ একটা গিগ বা প্যাকেজ দিবেন। সেখানে আপনি আপনার কাজের স্যাম্পল দেবেন। সাথে দেবেন প্যাকেজ । এই যেমন ৫ ডলার হলে আপনি সিম্পল কার্টুন বা ক্যারিকেচারের লাইনআর্ট করবেন। দশ ডলার হলে কালার সহ করবেন। পনেরো ডলার হলে ফুল ফিগার করবেন। এরকম অফার দিয়ে দেবেন। গিগে দেওয়া থাকবে আপনি কতদিনে এই গিগ ডেলিভারি দিতে পারবেন। কোন ক্লায়েন্টের যদি আপনার অফার ভাল লাগে তবে আপনার গিগে আপনাকে মেসেজ পাঠাবে। এরপর ক্লায়েন্টের সাথে কথা বলে ঠিকঠাক হলে কাজটা কনফার্ম করবেন।  

"পিপল পার আওয়ার" এর ক্ষেত্রে আমার ফিল্ডের জব ব্রাউজ করতে থাকি। মনে করেন একটা জব পেলাম "I need a comic book artist to draw my superhero comics"
তখন আমি সেই জবের ডিটেলস পড়ে দেখি, স্যাম্পল কমিক্স থাকলে তাও দেখি। এরপর যদি মনে হয় এই কাজটা আমি করতে পারব তখন নিজের যে পেমেন্ট পেলে পোষাবে সে আমাউন্টটা দিয়ে প্রপোজাল পাঠাই। প্রপোজাল পাঠানোর ক্ষেত্রে আমি সরাসরিই বলি আমি একজন কমিক বুক আর্টিস্ট। আর আমার কাজের স্যাম্পল হিসেবে বিভিন্ন স্টাইলে করা আমার চারটা কমিক্সের পেজ পাঠাই। করার জন্য কতদিন সময় দেওয়া হবে, কি কি ফরম্যাটে, সাইজে কাজটা ডেলিভারি দেওয়া লাগবে, আঁকার জন্য কোন স্টাইল সাজেশন আছে কিনা এসব জিজ্ঞেস করি। আর সবশেষে আমার প্রোফাইল ভিজিট করে আমার রিভিউ দেখার জন্য আমন্ত্রন জানাই যাতে সে আমার অন্যান্য কাজগুলি আর আমার পুরনো ক্লায়েন্টদের রিভিউগুলি দেখে বুঝতে পারে আমার সার্ভিস কিরকম। 

  • আমি প্রপোজাল পাঠানোর সময় যা করি
    জব ডিটেলস ভালমতো পড়ে দেখি, ক্লায়েন্টের দেওয়া স্যাম্পল দেখি, ডেডলাইন, বাজেটের কথা প্রপোজাল লেটারে জিজ্ঞেস করি, ক্লায়েন্ট রেসপন্স দিলে সে কি চাচ্ছে সেটা কথা বলে অথবা স্যাম্পল দেখাতে বলে ক্লিয়ার হয়ে নেই।
  • আমি প্রপোজাল পাঠানোর সময় যা করিনা
    যে কাজের জন্য প্রপোজাল পাঠাচ্ছি সেটার রিলেটেড ছাড়া অন্য স্যাম্পল পাঠাইনা। মনে করেন আমি বিজনেস কার্ড ডিজাইনের কাজে প্রপোজাল পাঠাচ্ছি। তখন আমি প্রপোজালে বলি আমি গ্রাফিক ডিজাইনার। আমি যে কার্টুন কমিক্স পারি তা উল্লেখ করিনা বা তার স্যাম্পল দেইনা। আমি জাস্ট আমার করা বিজনেস কার্ড ডিজাইনের স্যাম্পল দেই। ক্লায়েন্টের সাথে কথা বলে যদি দেখি ডেডলাইন খুব কম কিন্তু আমার হাতে অন্য কাজ আছে। অর্থাৎ কাজটা নিলে ঠিক সময়ে করতে পারবোনা। তখন কাজটা আমি নেইনা। কারন ঠিক সময়ের মধ্যে ডেলিভারি দিতে না পারলে বাইরের ক্লায়েন্টরা খুশি হয়না। ব্যাড রিভিউ দেয়। তখন পোলাইটলি বলে দেই দুঃখিত কাজটা আমার পক্ষে করা সম্ভব না। অন্য কোন ট্যালেন্টেড সেলার কে খুঁজে নেন কাইন্ডলি।

৭) মার্কেটপ্লেসে আমি যা করি আর করিনা

  • যা করি 
    * যে কাজটা পারি সেটার জন্যই প্রপোজাল পাঠাই
    * ক্লায়েন্টের ডিমান্ড সম্পর্কে প্রপোজাল ফাইনাল করার আগেই কথাবার্তা বলে নেই।
    * ক্লায়েন্টের সাথে খারাপ ব্যাবহার করিনা যত পেরাই দিক না কেন।
    * ক্লায়েন্টের সাথে ফ্রেন্ডলি রিলেশন বিল্ড করার চেষ্টা করি। স্যার বস এইসব ডাকার ধারেকাছেও যাই না আমি। প্রপোজালে সরাসরি অ্যাড্রেস করি "Hello Bob, this is Romel...." এভাবে। কোন ক্লায়েন্টের যদি আপনার কাজ আর ব্যাবহার ভাল লেগে থাকে তবে সে তার নেক্সট কাজের জন্যও আপ্নাকেই হায়ার করার চেষ্টা করবে।
    * ৭০-৮০% অ্যাডভান্স নিয়ে রাখি কাজ কনফার্ম করার সময়।
  • যা করি না
    * যদি দেখি একটা কাজ করা সম্ভব নয় বা হাতে সময় নেই তবে কাজ নেইনা। কোন ক্লায়েন্ট নিজ থেকে যোগাযোগ করলেও না।
    * ডেডলাইন মিস করিনা। বাইরের ক্লায়েন্টরা ডেডলাইনের ব্যাপারে খুবই সেনসিটিভ। কখনোই আমি ডেডলাইন মিস করিনি। করা উচিতও না।
    * ক্লায়েন্টের সাথে সব যোগাযোগ মার্কেটপ্লেসেই করি। অন্য কোন মাধ্যমে(স্কাইপ, ইমেইল এসব) যোগাযোগ ক্লায়েন্ট চাইলেও করিনা। এটা করলে মার্কেটপ্লেস থেকে ব্যানড হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। কারন মার্কেটপ্লেস কখনোই চাইবেনা তার ক্লায়েন্ট তার সাইট থেকে বাইরে গিয়ে একজন ফ্রিল্যান্সার এর সাথে যোগাযোগ করুক। এতে তারা তাদের কমিশন পাবেনা। এটা ছাড়াও আরেকটা কারন আছে। সিকিউরিটি। একজন ক্লায়েন্ট এর জন্য কাজ করলেন। কাজ করার আগে অ্যাডভান্স নিয়ে রাখলেন। সেইতার নিশ্চয়তা দেবে সাইট। বিনিময়ে সাইট একটা কমিশন নেবে। কিন্তু আপনার টাকা মার যাবেনা। সাইটের বাইরে গিয়ে কাজ করলে ক্লায়েন্ট আপনার টাকা না দিয়ে ভেগে যেতে পারে।
       
৮) কাজ যেভাবে করি আর ডেলিভারি যেভাবে দেই
কোন ক্লায়েন্ট যদি কথাবার্তা বলার পর আমার প্রপোজাল অ্যাকসেপ্ট করে তবে তার কাজ করা শুরু করি। কাজের প্রগ্রেস দেখাই ডেইলি অথবা টাইম টু টাইম ডেডলাইনের উপর নির্ভর করে। ক্লায়েন্টের সাজেশন নেই ফিডব্যাক নেই। এরপর কোন কিছু চেঞ্জ করার দরকার পড়লে প্রাইমারি(স্কেচ) লেভেলেই করি। সবশেষে ক্লায়েন্ট যখন বলে "Great Work Romel." তখন ফাইনাল ফাইল ডেলিভারি দেই।  অবশ্যই আমি চেষ্টা করি ক্লায়েন্ট যাতে কাজ পেয়ে খুশি হয়। কারন নতুন ক্লায়েন্টের সাথে কাজ করার সময় আমার ইনটেনশনই থাকে যাতে সে পরের কোন কাজের জন্যও আমাকে হায়ার করে। কাজ ডেলিভারি দেওয়ার পর পেমেন্ট নেই আর বলি "See you soon Bob."
কাজ শেষ করার পর একটা উড়াল দিয়ে আসি। :D

দেশি ফ্রিল্যান্স কাজ করতে চাইলে বেশ ভাল কিছু টিপস পাবেন মেহেদী ভাইয়ের এই পোস্টে আর এই পোস্টে । আমি নিজে এগুলি মেনটেন করার চেষ্টা করি দেশি কাজের ক্ষেত্রে। মাঝখানে অফিস জবের কারনে প্রায় দেড় বছরের মতো আমি অনিয়মিত ছিলাম বাইরের ফ্রিল্যান্স মার্কেটে। এই বছর থেকে আবার শুরু করেছি। আমার পিপল পার আওয়ার এর প্রোফাইল দেখতে চাইলে ব্লগের ডানদিকের উপরের কোনায় লিংক আছে। গিয়ে ঘুরে আসতে পারেন।  :D

আজ এই পর্যন্তই। নিজের এক্সপেরিয়েন্স থেকে যতটুক মাথায় আসে লিখার চেষ্টা করলাম। এরপরেও যদি কারো কিছু জানার থাকে তবে কমেন্টে জানান। আমি আমার যথাসাধ্য চেষ্টা করবো হেল্প করার। আর কারো যদি কিছু জানানোর থাকে তবে তো কথাই নেই। :D অগ্রিম ধন্যবাদ আর চা এর আমন্ত্রন। 







Sunday, May 6, 2018

Fan Art: Batman

After a long time drew something only for me and studied some technique in work break. Been following Marco Bucci's tutorials for months and finally got some time and courage to concentrate on applying one of them. This technique was fun. Look forward to do more fan art with this technique.

I shared this on AKANTIS and got this correction from Asif bhai.
I messed up the piece at value design.


BANCARAS - Wacom Exhibition 2018

গত মাসে বাড়ি থেকে ঘুরে আসার পর থেকেই চরম ব্যস্ততায় দিন কাটছে। দেশি বিদেশি ফ্রিল্যান্স প্রজেক্ট, রস আলো, কিশোর আলো, প্রসূন এর ওয়াটারকালার ওয়ার্কশপ সব মিলিয়ে দম নেওয়ার সময় পাচ্ছিনা। এই মাসের তিন তারিখ থেকে পাঁচ তারিখ পর্যন্ত মোট তিনদিন  দৃক গ্যালারিতে হয়ে গেলো BANCARAS - Wacom young cartoonist award and Exhibition 2018 নামে কার্টুন প্রদর্শনি। এই প্রথম ওয়াকম অফিশিয়ালি বাংলাদেশি কোন ইভেন্টকে স্পন্সর করলো। এক্সিবিশনে আমার দুটি আর্টওয়ার্ক স্থান পেয়েছিল। তাও লেট সাবমিশন। ক্যাটাগরি ছিল মোট তিনটা, Future of Art, Caricature আর Free theme.
ফিউচার অফ আর্টে বিজয়ী নাজমুস সাকিব, ক্যারিকেচারে প্রসূন হালদার আর ফ্রি থিমে বিজয়ী সালমান সাকিব শাহরিয়ার। প্রথম দুইদিন গিয়েছিলাম। শেষের দিন যেতে পারিনি একটা ফ্রিল্যান্স প্রজেক্টের সাবমিশন ছিল বলে। ক্যারিয়ারে এটা দ্বিতীয়বারের মতো কোন এক্সিবিশনে আমার অংশগ্রহন ছিল। বরাবরের মতোই প্রথম দুইদিনেই বেশ মজা পেয়েছিলাম। পরিচিত আর্টিস্টদের সাথে দেখা হওয়া, চা আর আড্ডা, ওর এক্সিবিশনে আসা, বন্ধুদের সাথে দেখা হওয়া সব মিলিয়ে দারুন। কিছু ছবি আপ করে রাখি।
ব্রোশিউর
প্রথম দিনে আমি আর সব্য দুপুরেই চলে গেলাম মেহেদী ভাইয়ের ডাকে। গিয়ে টুকটাক হেল্প করলাম ফ্রেমড আর্টওয়ার্ক গুলি অরগানাইজের কাজে। এক ফাঁকে আমরা এক চিপায় গিয়ে ভুনা খিচুড়ি আর চা খেয়ে এলাম।

বস আহসান হাবিব আর বানকারাস এর প্রেসিডেন্ট বেনু ভাই
সেলফি সেলফি।
(আবু ভাইয়ের ফেসবুক ওয়াল থেকে নেওয়া ছবি)
এক্সিবিশন মাত্র শুরু হল 
মিতু আপু, মাতাভ, সালমান আর মেহেদী ভাই 
পরাগ, আহনাফ ভাই, তীর্থ ভাই, আমি আর সব্য
আমার সাবমিশনঃ ০১
আমার সাবমিশনঃ ০২
Post apocalyptic Virtual Reality
Category: Future of art
Inspiration: Moebius
SM Sultan
Category: caricature 
(এটা একদম এক্সিবিশনের আগের রাতের তারাহুরা সাবমিশন। মেহেদী ভাই বললেন আঁকা পাঠাও। আমিও একটা ট্র্যাডিশনালি আঁকা এসএম সুলতানের ক্যারিকেচারের উপর ধুমধাম জিপেন চালিয়ে পাঠিয়ে দিলাম।)
দ্বিতীয় দিন ছিল লাইভ ক্যারিকেচার এর আয়োজন

লাইভ ক্যারিকেচার

Monday, April 16, 2018

আমি সে আর চালতার আঁচার

- আজ সন্ধ্যায় তুই ব্যস্ত?
- ক্যান? কি করবি?
- চাঁদনী চকে গিয়ে চালতার আঁচার খেতে ইচ্ছে করছে। 
- আচ্ছা দেখি। টাইম বের করতে পারলে জানাবো তোকে।
- ওকে... রিজন অবশ্য অন্যটা!
- কি?
- তোর সাথে হাঁটতে ইচ্ছে করছে। অফিসে থেকে বের হয়ে কাকলী পর্যন্ত।
- আচ্ছা। আসবো আমি।  

সারাদিন কাজ শেষে তার অফিস এলাকায় পৌঁছানো। এর পর তার অফিস শেষে হেঁটে কাকলীর মোড়ে যাওয়া। ওখান থেকে জ্যামের মধ্যেই বাসে করে নিউ মার্কেট চাঁদনী চকে শুধুমাত্র আঁচার খাওয়ার জন্য যাত্রা। চাঁদনী চকে গিয়ে দেখলাম একজন মানুষ কিভাবে সন্ধ্যার নিউ মার্কেটের মোড়ের ভিড়ের মধ্যে দাঁড়িয়ে হাতে মেখে একাকার করে ঝাল ঝাল চালতার আঁচার খেতে পারে। ঝালে উহ আহ করছে কিন্তু বলছে পানি খাবেনা। কিছুক্ষণ পর ইশারা করল পানি খাবে। পানি খাইয়ে দিতে দিতে আমি আবার তার প্রেমে পড়লাম। 
Pernille ørum এর একটা টিউটোরিয়াল দেখে দেখে প্রোফাইল আঁকার নতুন অ্যাপ্রোচ প্র্যাকটিস। চেহারা মেলে নাই অবশ্য। চাইনিও মেলাতে। :3  

Thursday, April 12, 2018

Back to my Batcave

গত মাস পুরাটাই কেটেছে মিতু আপুর কমিক্স প্রজেক্ট (জঙ্গলে গণ্ডগোল) আর পিপিএইচের ফ্রিল্যান্স প্রজেক্ট এর কাজ নিয়ে। মাঝখানে বিশ তারিখে গেলো কনভোকেশনের ঝামেলা। বিশ তারিখে ছিল আমার সাবমিশন কিন্তু কালার করা হয়নি আঠারো তারিখে এসেও। প্রায় ১৮ পেইজ কাজ। মেহেদী ভাইয়ের কালারিং হেল্প নিয়ে কনভোকেশনে অ্যাটেন্ড করতে পেরেছিলাম শেষ পর্যন্ত। স্টাডি করা হয়নি কিছুই, নিজের জন্যও তেমন কিছু আঁকা হয়নি। সময় বের করতে পারিনি নাকি আলসেমি সেটা নিয়ে আমি কনফিউজড একটু অবশ্য। স্কিলে আটকে থাকার ব্যাপারটা বুঝতে পারছি আবার। নতুন কিছু শেখার জন্য সময় বের করতে হবে যেভাবেই হোক। এই মাসে আবার প্রসূন এর ওয়াটার কালার ওয়ার্কশপে অ্যাটেন্ড করবো। দেখি এই উছিলায় কিছু শিখতে পারি কিনা। 
মার্চ মাস শেষে সব কাজ বুঝিয়ে দিয়ে এই এপ্রিলের তিন তারিখ চলে গেলাম চিটাগাং। বেড়িয়ে এলাম এক সপ্তাহ। চিটাগাং বাতিঘর, চেরাগী পাহাড় এর মোড়, বন্ধু বান্ধব ভাই বোনদের নিয়ে আজাদি গলির আড্ডা আর মিষ্টি পান, খাগড়াছড়ি গিয়ে মনি মামার দোকানের আড্ডা, বাবা মায়ের সাথে আড্ডা কোনটাই মিস হয়নি। সারপ্রাইজিংলি বাবা মা দেখি আমার উপর খুশি। আর বাবা আমার প্রফেশন নিয়ে এইবারে ধরতে গেলে কিছুই বলেন নি। আমি তাব্দা খেয়ে গেলাম। রস আলোর জন্য একটা কমিক্স স্ট্রিপ ছাড়া এই এক সপ্তাহ ধরতে গেলে কিছুই আঁকা হয়নি।  যেটা ভালই হয়েছে আমার জন্য। ঢাকায় ফেরার পর থেকে আঁকার জন্য হাত চুলকাচ্ছে। স্টুডিওতে গেলাম কাল আর আজ। আমার পার্সোনাল কমিক্স প্রজেক্ট এর স্টোরিলাইন ডেভেলপ করলাম মেহেদী ভাইয়ের সাথে। থাম্বনেলে হাত দিয়েছি। এক মাসের ডেডলাইন দিয়েছেন গুরু। দেখা যাক। সন্ধায় একটা ক্লায়েন্ট এর সাথে মিটিং। মিটিং শেষে মাদার অফ ড্রাগন এর সাথে দেখা করা, গল্প, একসাথে খাওয়া দাওয়া, ওকে বাসার পথে এগিয়ে দিয়ে বাসায় ফিরে আসা। (যেহেতু ওটা উনার অফিসের এলাকা XD)। এইতো। দিনকাল বেশ ভালই যাচ্ছে। :D
ডুডল বাঘা। গতকাল স্টুডিওতে যাওয়ার আগে ক্লিপ স্টুডিও এর একটা নতুন ব্রাশ টেস্টিং।
instagram এর #artvsartist ট্রেন্ড ফলো করে গত বছর আর এই বছরের এখনো পর্যন্ত করা নিজের প্রিয় কিছু কাজের কোলাজ।

Friday, March 23, 2018

সোনার কাঠি রুপার কাঠি

এই বছরের জানুয়ারির শেষ দিকের কথা। স্টুডিওতে গেছি একটা কাজে। মেহেদী ভাই বললেন, শিশু একাডেমীর দুইটা কমিক্স আছে। করবা নাকি? একটা আমি করি আরেকটা তুমি করো। গল্পগুলি হচ্ছে দক্ষিণারঞ্জন মিত্র মজুমদার এর ঠাকুরমার ঝুলি থেকে নেওয়া "ডালিম কুমার" আর "সোনার কাঠি রুপার কাঠি"। ধুম করে রাজি হয়ে গেলাম। থাম্বনেল মেহেদী ভাইয়ের করাই ছিলো। এরপর থাম্বনেল টা দেখে আমার কেন যেন মনে হতে লাগলো এই কাজ আগে করা হয়েছে। আসিফ ভাইয়ের কাছে দেখেছি এই গল্পের একটা পেজ। পরে আসিফ ভাইকে একদিন পেলাম স্টুডিও তে। তখন শিউর হলাম। এই কমিক্স বের হওয়ার কথা ছিল আগের বছর। কিন্তু তখন বের হয়নি। ওই সময় আসিফ ভাই এক পেজ আর ক্যারেক্টার ডিজাইন করেছিলেন। উনার কাছে এই কমিক্সের কিছু পেজ পেন্সিলিং করা আছে শুনে আমি লাফ দিলাম। পরে আসিফ ভাই রেডিমেড প্যানেল করা আর স্পিচ বাবলসহ ক্লিপ ফাইল পাঠিয়ে দিলেন আমাকে । আর আমি কাজ শুরু করলাম। বাকি পেজ গুলি পেন্সিলিং করা, লাইব্রেরী বানানো এসবের মধ্যেই কেটে গেলো কিছু দিন। আর ছিল বইমেলার বাকি কাজ। সাবমিশন ছিল ফেব্রুয়ারির পাঁচ তারিখে। এদিকে ফেব্রুয়ারির চার তারিখে টের পেলাম কাজ অনেক বাকি।  টেনশনে আমার ঘুম উধাও। এর মধ্যেই মেহেদী ভাই আর আসিফ ভাইয়ের হেল্প নিয়ে সাত তারিখে কাজ নামিয়ে দিলাম। দশ তারিখের মধ্যেই মেহেদী ভাই প্রুফ দেখে এডিট করে, লেটারিং সহ সব পেরা শেষ করে পাঠিয়ে দিলেন শিশু একাডেমীতে। এরপর আর এই বই প্রকাশিত হয়না । পনেরো বিশ তারিখ পঁচিশ তারিখ শেষ হয়ে বইমেলাও শেষ হয়ে গেলো। কিন্তু বই আর প্রকাশিত হলোনা। ইংলিশ ভার্সন বাংলা ভার্সন এর চক্করে পড়ে। এর মধ্যে মেহেদী ভাইকে অনেক পেরা সহ্য করতে হয়েছে এই বইয়ের জন্য। 
যাই হোক এই মাসের ষোল তারিখ থেকে শুরু হলো শিশু একাডেমীর বইমেলা আর এই মেলাতে এই বই এলো। এই কদিন ব্যস্ত ছিলাম খুব। একসাথে দেশি বিদেশি ফ্রিল্যান্স কাজ, মিতু আপুর কমিক্সের কাজ, কনভোকেশন সব মিলিয়ে নড়াচড়া করতে পারিনি ধরতে গেলে। এর মধ্যে যুক্ত হয়েছে হৃদয়ঘটিত ব্যাপারস্যাপার।  সব মিলিয়ে আমি ছিলাম চাপের মধ্যে। আজ অনেকদিন পর বিভিন্ন প্রজেক্ট ডেলিভারি দিয়ে একটু নিঃশ্বাস ফেললাম। আর এর মধ্যে এসে পৌঁছাল ঘোড়া সব্যসাচী। ওর সাথে গেলাম শিশু একাডেমীর মেলায়। ঢাকা কমিক্সের স্টলে বসলাম, মেহেদী ভাই আসিফ ভাই উনারাও আসলেন। শিশু একাডেমীর স্টল থেকে একটা বই কালেক্ট করলাম স্যাম্পল হিসেবে। সৌজন্য কপি আরো পাওয়ার কথা আছে। আনতে যেতে হবে। রুপকথার গল্প নিয়ে এই প্রথম কাজ করা হলো। ইচ্ছা আছে আরো কাজ করার। করবো শীঘ্রই। :B 




আপাত কিছু পেজের ছবি তুলে রাখা যাক।    

Saturday, March 10, 2018

Message in a Bottle

I Was listening to "Message in a Bottle" By Sting and this one popped in my head.
Warm up + experimenting with watercolor texture.

Friday, March 9, 2018

A piece in workbreak

Been very busy with freelance works for various platforms and clients. I need a break from this workload badly. Gonna take a break after completing all projects. I will be drawing things for myself. Just for myself. ^_^
oppsy that's a dream..... goddammit -_-
nowadays whenever I try to draw something for me, my inner pro reminds me.... No No No you are not gonna draw something for yourself now.. You got some unfinished task to do for your clients. ughhhhhhh 
I wish I could take a free fall from all these work pressure like this. SIGH.
Life is good though. Teehee

Thursday, March 1, 2018

বইমেলা ২০১৮

শেষ হয়ে গেলো প্রাণের মেলা বইমেলা। কিভাবে কিভাবে যেন ২৮ টা দিন পার হয়ে গেলো টেরই পেলাম না। অসাধারন সব দিন কেটেছে কিছু ঝামেলা ছাড়া। প্রথম দশ দিন পর্যন্ত ব্যস্ত ছিলাম বই আর কমিক্সের কাজ নামানো আর ডেলিভারি নিয়ে। সেই সাথে ছিল কিছু দেশি ফ্রিল্যান্স কাজ। এর মাঝে কয়েকবার স্টলে যাওয়া হয়েছে। সব কাজ ডেলিভারি শেষে আর নতুন কোন কাজ নেইনি। এরপর বেশিরভাগ দিনই গিয়েছি হয় স্টলের জন্য বই নিয়ে অথবা বন্ধুবান্ধবের ডাকে। মেহেদী ভাইয়ের নেতৃত্বে সবাই সিএনজি নিয়ে স্টুডিও থেকে বইয়ের বান্ডেল নিয়ে প্রথমে যেতাম দোয়েল চত্বর বা টিএসসি। এরপর সেখান থেকে কাঁধে মাউন্টেন ব্যাগে করে ট্র্যাকিংয়ে যাওয়ার মতো করে বই নিয়ে স্টলে যেতাম। কোন কোন দিন আগেভাগে বের হতে পারলে মেলা শুরু হওয়ার আগেই সিএনজি নিয়েই মেলাতে সোজা স্টলের সামনে। বেশ মজার ব্যাপার ছিল সব। একেকদিন একেক রকম পরিস্তিতি। স্টলে বসতাম ছুটির দিন আর বিশেষ দিনগুলিতে। মোটামুটি সব স্টলে উপচে পড়া ভিড় থাকে ছুটির দিনগুলিতে। একেক ধরনের কাস্টমার এর সাথে একেক ভাবে ডিল করার অভিজ্ঞতা। বিভিন্ন ধরনের ক্যারেক্টার দেখতে পাওয়া সহ হাস্যকর অথবা বিরক্তিকর ঘটনার সম্মুখীন হওয়া, দেশের কমিক্স রিডারদের সাথে সরাসরি যোগাযোগ, তাদের মতামত শোনা সব মিলিয়ে দারুন। আর প্রায় প্রতিদিনই পরিচিত কারো না কারো সাথে দেখা হয়ে যাওয়ার ব্যাপারটা আরো দারুন। পরিচিত আর্টিস্ট, লেখক রা স্টলে আসলে আড্ডা হতো আর বন্ধুরা বা সিনিয়র জুনিয়র ভাই বোনেরা মেলায় আসলেই কল করে চলে আসতো স্টলে। চলতো ঘুরাফেরা, কফি খাওয়া, বই কেনা আর আড্ডাবাজি। সারাদিন শেষে রাত নটা বাজে স্টল বন্ধ করে আমরা ঢাকা কমিক্স এর সবাই বের হয়ে একত্রিত হতাম বস আহসান হাবিব এর উন্মাদ দলের সাথে । এরপর সবাই মিলে অথবা একেকজন একেকদিকে বাসায় ফেরার পালা। এই ফেরার সময়ও বেশ আড্ডা দিয়ে হেঁটে হেঁটে বাসায় আসা, স্টলের শাহ আলম ভাইকে গুঁতানো এসবে সময় পার হয়ে গেলো কিভাবে কিভাবে। কেমন যেন ঘোরের মধ্যেই। তেমন কোন কাজ করা হয়নি ফেব্রুয়ারি তে। মেহেদী ভাইয়ের ব্যস্ততা কি এইবার দেখেছি। মানুষটা কিছুক্ষণ বাসায় কিছুক্ষণ স্টুডিও তে আবার কিছুক্ষণ নিউ এইজে আবার মেলায়। এর মাঝেই সামলেছেন নতুন বেশ কিছু কমিক্স এর এডিটিং আর কভার এর কাজ আর বইয়ের কাজ। বাপরে বাপ। কেমনে পারেন ! দেখেছি আর অবাক হয়েছি।
মেলার লাস্ট কিছুদিন পার হয়েছে সব্যসাচীর সাথে ঘুরাফেরা করে আর দৌড়াদৌড়ি করে। সে প্রতিদিন বলে রোমেল দা আজকে ঘুরতে ঘুরতে আমরা ঘোড়া হয়ে যামু আর দেখা যেতো আমরা আক্ষরিক অর্থেই ঘোড়া হয়ে গিয়েছি। :v
আজ গুরু মেলার এন্ডীং পার্টি দিলেন হাতির পুল এর ক্যাফে ফাইভে। ছিলেন মেহেদী ভাই, মিতু আপু, সম্পদ ভাই, মাহবুব ভাই, আসিফ ভাই, শোভন, শাহ আলম, সব্যসাচী আর আমি। দারুন একটা আড্ডা শেষে হায়দারাবাদি বিরিয়ানি দিয়ে পেটপুজো করে নিচে নেমে আবার চা আর আড্ডা। আড্ডা শেষে আমি আসিফ ভাই আর শোভন চলে এলাম বাতিঘর লাইব্রেরী তে। বাকিরা নিজ নিজ ডেরায়। চিটাগাং এর বাতিঘর এ যাওয়া হয়েছে অনেকবারই। কিন্তু ঢাকার বাতিঘর এ যাওয়া হয়নি। আজ চলে গেলাম। বই কিনলাম কিছু সেবা প্রকাশনির। ওখান থেকে বেরিয়ে সোজা সিনেপ্লেক্স। ব্ল্যাক প্যান্থার দেখলাম তিনজনে। মুভি দেখা শেষে বাসায় এসে শান্তি। 

বইমেলার মাঝেই মাথায় বেশ কিছু গল্পের আইডিয়া এসেছে। এদের মধ্যে একটার অরিজিন প্লট মোটামুটি গুছিয়ে এনেছি বইমেলার মধ্যেই। এই মাসের মধ্যেই নামিয়ে দেওয়ার ইচ্ছা আছে প্লটটাকে কমিক্স হিসেবে। দেখা যাক কি হয়। আলসেমি আর বাইক্যা কাজ বাদ দিতে হবে। এইসব করে করে নিজের বারোটা বাজাচ্ছি। -_-  

Tuesday, February 20, 2018

এবারের বইমেলার হতাশা এবং অন্যান্য

আমি ফ্রিল্যান্সে প্রফেশনালি আঁকা শুরু করি ২০১৫ এর শেষ দিকে এসে।
একজন জুনিয়র আর্টিস্ট হিসেবে প্লাস বাইরের দেশের ক্লায়েন্টদের সাথে কাজ করার কারনে সেই সময় নিজের জন্য কিছু কোড বা অভ্যাস ডেভেলপ করি আমি। কোডগুলি ছিল
১) কারো জন্য কাজ করার সময় সিকিউরিটি হিসেবে আ্যডভান্স নিয়ে রাখা কাজের শুরুতেই।
২) ক্লায়েন্টের চাহিদাকে প্রাধান্য দিয়ে নিজের সাজেশন আর সামর্থ্য অনুযায়ী কাজ করে দেওয়া।
৩) যত যাই হোক ডেডলাইন মিস না করা।
আর
৪) স্পেসিফিক কিছু পার্সন ছাড়া আর নিজের মন না চাইলে আর কারো জন্যই ফ্রী তে বা কারো রিকুয়েস্টের কাজ না করা।
২০১৬ থেকে দেশি ক্লায়েন্টদের জন্য, বইমেলার জন্য কাজ করা শুরু করি আর একেক রকম তিক্ত মধুর (বেশিরভাগই তিক্ত) অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হই।
এবারের বইমেলায় আমার গুরুর প্রকাশন ঢাকা কমিক্স এর বিভিন্ন প্রজেক্টে কাজ করার পাশাপাশি কাজ করেছি বইমেলার জন্য আরেকটি বইয়ের কাজে। যেখানেই সব ঝামেলার শুরু।
বইয়ের লেখক অখ্যাত কিন্তু ভাল লিখেন। আমাকে ডেকে বললেন ভাই রোমেল আমার জন্য কিছু কাজ করে দাও। আমি কিন্তু তোমাকে তেমন কোন টাকাপয়সা দিতে পারবোনা। অনেকটা জোর করেই গছিয়ে দিলেন আমাকে উনার কাজ। যাই হোক, লেখাগুলি আমার বেশ ভালই লাগলো। আমিও ভাবলাম থাক কাজটা আমি করে দেই উনার জন্য। টাকা না পাই কিন্তু কাওকে দেখানোর মতো একটা কাজ হবে। টোটাল ৭০ টার মতো কার্টুন আর ইলাস্ট্রেশন। এই বইমেলার ব্যস্ততায় বিশাল কাজ ধরতে গেলে। আমি ঢাকা কমিক্স আর আমার কিছু ফ্রিল্যান্স কাজের ফাঁকেই উনার এই বিশাল কাজ নামিয়ে দিলাম ঘুমিয়ে না ঘুমিয়ে, রাত জেগে, এক্সট্রা গ্রাফিক ডিজাইনারের হেল্প নিয়ে, ব্যাক পেইনের মতো প্যারা নিয়ে।
যে কাজটা আমাকে বিনিময়ে দিয়েছে
১) অমানুষিক পরিশ্রম
২) ঢাকা কমিক্সের প্রজেক্টের ডেডলাইন মিস করা
৩) এক ছোট ভাইয়ের কমার্শিয়াল কাজের ডেডলাইন মিস করা
৪) অতি অল্প পারিশ্রমিক। যার এক ভাগ আমি দিয়ে দিয়েছি আমাকে যে গ্রাফিক ডিজাইনার হেল্প করেছিল ওকে।
৫) কভার চেঞ্জ করার মতো ঝামেলা।
এতো কিছুর পরেও একটা আশা ছিল ভাল একটা বই হবে যেটা আমি কাওকে দেখাতে পারবো। যে বইয়ের প্রতি পাতায় আমার আঁকা কার্টুন আর ইলাস্ট্রেশন।
যাই হোক, কাল আমি আর ছোট ভাই রিফাত সে বই দেখতে গেলাম স্টলে। বই দেখেই আমার মন-মেজাজ ভাল(!) হয়ে গেলো। কারন
১) বইয়ের কভার। ফ্ল্যাপসহ কভারের প্লেসমেন্ট কেমন হবে সেটা বুঝানোর জন্য আমি একটা মকআপ/স্যাম্পল দিয়েছিলাম। তারা সে মকআপটাকেই কভার করে ফেলেছে। যার কারনে কভারের ডিজাইন, বইয়ের নাম এসব দেখাই যাচ্ছেনা। অত্যন্ত বাজে একটা কভার হয়েছে না চাইলেও যেটার ক্রেডিট আমার।
২) ভেতরের কিছু কিছু ইলাস্ট্রেশনে আমার আঁকা সরিয়ে গুগুল থেকে ডাউনলোড করা ছবি বসিয়ে দিয়েছে। কেউ যখন এই বই দেখবে তখন তার ধারনা হবে আমি এই কাজ করি কারন অলংকরনে আমার নাম জ্বলজ্বল করছে। বাহ বাহ বাহ কি সুন্দর অ্যাড আমার।
৩) আমার নামের বানান ভুল। আমার লেটারারের নামের বানান ভুল।
৪) বাজে বাইন্ডিং
৫) বাজে প্রিন্টিং
কল করলাম লেখককে। লেখক এখনো সে বই ভালমতো দেখেন নি কারন তিনি এখনো বইমেলায়ই যান নি! গরম মাথায় যাচ্ছে তাই শোনালাম। আর বলে দিলাম আর কখনো যেন আমার সাথে যোগাযোগ না করেন। বইটা কাওকে দেখানো তো অনেক অনেক দূরের কথা নিজের কপিই আর সংগ্রহ করিনি। আসলে নিজেরি ভুল। বাসায় এসে নিজেকে থাপ্পড় মেরে মেরে বললাম, আরো কর ফ্রি কাজ, দেখা আরো মানবতা, নিজের কোড ভাং আরো, শিক্ষা নে গর্ধব কোথাকার।
কিছুদিন আগে দেখলাম এক লেখক স্ট্যাটাস দিয়েছেন। আর্টিস্টরা তাদের সাথে তাংফাং করেন। বলতে ইচ্ছে হলো। এটাই করতে হবে এই দেশে। রোমে থাকতে গেলে রোমান না হয়ে উপায় নেই। বা*ছা*



বিঃ দ্রঃ  সেলফ রিমাইন্ডার হিসেবে লেখাটা ব্লগে তুলে রাখা। 

Sunday, February 18, 2018

জন্মদিন গিফট ফর ফ্রেন্ডস অ্যান্ড ফেভস

আঁকাআঁকিতে আমার দুর্বলতার মাঝে একটা হচ্ছে ক্যারিকেচার! অনেক কাহিনীর পর হাল ছেড়ে দিয়েছি। মাঝেমাঝে মন চাইলে আঁকতে বসি আর কিভাবে যেন মোটামুটি চেহারা মিলিয়ে ফেলি। আবার যখন কারো ক্যারিকেচার করবো সিদ্ধান্ত নিয়ে আঁকতে বসি তখন আর মেলে না। এ মাসের এগারো তারিখে ছিল বন্ধু চুইল্লা আসিফ আর সোবহান ভাই (ইনার লেখা আমার ভাল্লাগে) এর জন্মদিন। হঠাৎ মনে হলো এদের ক্যারিকেচার করা যাক। ধুপধাপ নামিয়ে ফেললাম ।    
চুইল্যা আসিফ
সোবহান ভাই


ভূত এর বাচ্চা!

গত সপ্তাহ ধরেই বইমেলায় বইপ্রেমীদেড় ভিড় বেড়েছে আর বেড়েছে আমাদের ব্যস্ততা। এর মধ্যে গত কদিন ছিল পহেলা ফাল্গুন-ভ্যালেনটাইনস ডে - শুক্রবার - শনিবারের ব্যস্ততা। শিশু অ্যাকাডেমির কমিক্সটার কাজ করার সময়ও বেশ কবার যাওয়া হয়েছিল মেলায়। ওটার কাজ কমপ্লিট করার পরে বেশিরভাগ দিনই দুপুরে ঘুম থেকে উঠে ছুটতে হয়েছে স্টুডিওতে। ওখান থেকে বইয়ের বান্ডেল নিয়েই হয় আমি আর মেহেদী ভাই অথবা আমি অথবা স্টলের সেলসের কেউ না কেউ মিলে আবার বইমেলায়। এরপর স্টলে সময় দেওয়া, বন্ধুবান্ধব, ইউনিভার্সিটির সিনিয়র জুনিয়র, পরিচিত আর্টিস্ট, ভাই বেরাদারদের সাথে দেখাসাক্ষাৎ, সবাই মিলে মেলায় বই দেখে বেড়ানো এইসব করে করেই এই মাস কিভাবে যেন শেষ হয়ে যাচ্ছে টেরই পাচ্ছিনা। প্রত্যেকটা দিনই মজার আর আনন্দের। অনেকের সাথে দেখা হচ্ছে যাদের সাথে শুধুমাত্র অনলাইনেই পরিচয় ছিল। এই পার্টটা বেশ মজার। ঢাকা কমিক্সের হার্ডকোর ফ্যানদের সাথে দেখা হচ্ছে, কথা হচ্ছে স্টলে। তাদের অভিমত জানতে পারছি। প্রিয় লেখকদের সাথে আর্টিস্টদের সাথে দেখা হয়ে যাচ্ছে, কমিক্সের মার্কেট অবজার্ভ করছি। বেশ দারুন সব অভিজ্ঞতা। রাতে বস আহসান হাবিব এর নেতৃত্বে সবাই মিলে বইমেলা প্রাঙ্গন ছেড়ে বাসার দিকে রউনা দেওয়া, এগারটার দিকে বাসায় ফিরে ফ্রেশ হয়ে ফেসবুকে ইন্সটাগ্রামে সারাদিনের কাজকর্মের জাবর কাটা। লাইফ ইজ টু গুড। 

এর মধ্যে তেমন কোন কাজকর্ম করতে পারিনি। কাজ করতে চেয়েছিলাম কিন্তু দেখি হয়না। পরে মেলায় মিতু আপুর সাথে আড্ডায় এক ফাঁকে এটা বলায় বললেন এই মাসে ব্যস্ততায় কিছু হবেনা। বাদ দাও। মেনে নিয়ে আর জোর করিনি নিজের উপর। কোন রকম সিরিয়াস আঁকাআঁকি ছাড়াই কাটাবো ধরতে গেলে এই মাস। 
অনেক দিন পর আজ দিন কাটালাম ঘুমিয়ে আর বসে থেকে থেকে। দুপুরে ঘুম থেকে উঠে মেহেদী ভাইয়ের মেসেজ পেলাম। তারপরেই স্টুডিওতে গিয়ে স্টলের একজন সেলসপার্সন কে বইয়ের বান্ডেল বুঝিয়ে দিয়ে সিএনজি তে করে মেলায় পাঠানোর পর বাসায় ফিরে এসে খেয়েদেয়ে আঁকতে বসলাম। কাল রাতে একটা ভুতের ছা এঁকেছিলাম। আজকে বাকিগুলো আঁকলাম। কালার নিয়ে এক্সপেরিমেন্ট করলাম। গত সপ্তায় শুধুমাত্র একটা মুভি দেখেছি। Moana.   মুভিটির কালার প্যালেট আর কনসেপ্ট আর্ট দেখে আমি মুগ্ধ। ভয়াবহ রকম মুগ্ধ। 

একদল ভূতের বাচ্চা

ভূতের বাচ্চাদের কালারিং এ আমি মোয়ানা থেকে ইন্সপায়ার্ড। এই ছবিতে প্রিয় শিল্পী মামুন ভাইয়ের কমেন্টসহ ওয়াও রি-অ্যাকশন আর ভয়াবহ প্রিয় শিল্পী উদয় দেব এর লাভ রি-অ্যাকশন পেয়ে আমার জম্বির মতো দশা হয়েছে। বুঝতে পারছিনা কি করিলাম, কি আঁকিলাম! :D 

Friday, February 9, 2018

SM Sultan

ম্যালা দিন বাদে আজ একটু ফ্রি হলাম। গত মাস থেকেই বইমেলার ব্যস্ততা শুরু হয়েছিল। এর মাঝেই মাল্টিপল কাজ করা হয়েছে। একটা ছড়ার বইয়ের কাজ করলাম যেটার জন্য প্রায় সত্তর টা কার্টুন+ইলাস্ট্রেশন করা হয়েছে আর সাথে দুইটা কভার ডিজাইন। এক ছোট ভাইয়ের জন্য ব্রান্ড ডিজাইন, রবিন ভাইয়ের একটা কাজ আর শিশু একাডেমীর জন্য একটা রূপকথার কমিক্স। এই কমিক্সটি ভালই সময় নিয়েছে আর কাজটি ছিল আমার জন্য চ্যালেঞ্জিং যার কারনেই বেশি সময় নিয়েছে আর করার সময় বেশ ভয়ে ভয়ে ছিলাম। কারন কাজটি করেছি ঢাকা কমিক্স এর হয়ে। পেন্সিলিং ছিল আসিফ ভাইয়ের, মেহেদী ভাইয়ের আর আমার। আমার সম্পূর্ণ কাজ হলে ভংচং করে একটা নামিয়ে দিতাম। কিন্তু আসিফ ভাই আর মেহেদী ভাই যেহেতু ছিল সেহেতু চেষ্টা ছিল যা জানি পারি তা সম্পূর্ণ দেওয়ার। দিয়েছিও। মেহেদী ভাই আর আসিফ ভাই দেখে বলেছে ভাল হয়েছে। এরপরে শান্তি। ওটার কভার সহ অন্য কাজগুলির ফাইলপত্তর পাঠিয়ে আজ একটু নিঃশ্বাস ফেললাম। এর মাঝে বইমেলায় যাওয়া হয়েছে বেশ কবার স্টলের কাজে। বইপত্তরও কেনা হয়েছে অল্প কিছু। আরো যেতে হবে অনেকবার এইবারের বইমেলায়। এই মাসে নিজের জন্য ধরতে গেলে কিছুই আঁকা হয়নি। এই একটা ক্যারিকেচার ছাড়া। তাও অসীম এর বাংলাক্যাচার গ্রুপের জন্য নামানো ধুপধাপ। আবার মিতু আপুর নতুন কমিক্সে হাত দিতে হবে আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই আর একটা ব্র্যান্ডিং এর কাজ আছে হাতে। পিপিএইচে নতুন একটা কাজের জন্য নক পেলাম আর প্রথম আলো এর "রস-আলো" তে ফ্রিল্যান্স কাজের অফার পেলাম এর মাঝেই। চাকরি থেকে নাই হয়ে যাওয়ার পর ব্যস্ততা বেড়ে গেছে শতগুণে। আজ অনেকদিন বাদে ভাবলাম কোন কাজ-কাম করবোনা। মুভি দেখি আর ঘুমাই টুমাই। কিন্তু মুভি দেখতে দেখতে ক্লান্ত হয়ে গেছি। ভাল্লাগছেনা হুদাই বসে থাকতে। :D  
ক্যারিকেচারঃ এসএম সুলতান

চার তারিখের কথা। ঘুমাতে গিয়েছি সকালে কিন্তু আমার ঘুম আসেনা। মোটামুটি প্যানিকড হয়ে গেলাম। শিশু একাডেমী এর কাজটা নিয়ে। মেহেদী ভাইকে ওটা কমপ্লিট করে দেওয়ার কথা ছিল পাঁচ তারিখে। কিন্তু তখনো তিন পেইজ ইংকিং আর পাঁচ হয় পেইজ কালার আর কভারের কাজ বাকি। আমি ঘামতে শুরু করলাম ওই শীতের সকালে। আর ভাবতে লাগলাম কি করেছি এই কদিনে। কিছুই তো করিনি। না ঘুমিয়ে আবার কাজ শুরু করবো কিনা যেই ভাবতে গেছি তখন একটা গল্পের আইডিয়া পপ করলো মাথায়। সেই গল্পের কমিক্স নামিয়ে ফেলবো ভাবছি এর মধ্যে সম্ভব হলে। মার্চ মাস থেকে বড় একটা প্রজেক্টের কাজ শুরু করবে বলে ভাবছেন গুরু। দেখা যাক কি হয়। জীবন সুন্দর। B{