Saturday, May 27, 2017

বই কমিক্স গ্রাফিক নভেল আর অন্যান্য

পাঠ্যবইয়ের বাইরে আমার পড়ার অভ্যাস তৈরি হয়েছিল প্রাইমারি স্কুলে পড়াকালীন সময় থেকেই। বাবা দোকানের জন্য পেপার কিনতো। আর আমি দোকানে গেলেই ছোটদের পাতা, বিজ্ঞান পাতা ওসব পড়তাম। হাইস্কুলে পড়াকালীন সময় থেকেই আমার পড়ালেখার গণ্ডি একটু বড় হয়। হাতে তিন গোয়েন্দা, রহস্য পত্রিকা আর সেবা প্রকাশনীর বিভিন্ন বই আসতে থাকে স্কুলের বন্ধুদের কাছ থেকে। একদিন ক্লাসে দেখলাম রাফেল চাকমা নামের এক বন্ধু একটা বই পড়ছে যে বইয়ের পুরো পৃষ্ঠা জুড়ে ছবি আর লেখা। সেটা ছিল "লম্বু মোটু আর কালোচিতা" নামের একটা বই এবং আমার দেখা প্রথম কমিক্স। মজার ব্যাপার হচ্ছে লজ্জার মা-বাপ মেরে আমি সেটা রাফেলের কাছ থেকে চেয়ে বসলাম।ইন্ডিয়ান কমিক্স (চাচা চৌধুরী, পিংকি, বিল্লু, ডাইনামাইট, লম্বু মোটু এসব) আরো পড়ার সুযোগ হয় কাজিন তনুদি-পিয়াদির সাথে পরিচয় হওয়ার পর। বছর শেষে গ্রাম থেকে বাবা আমাদের শহরে আনতো এখানসেখান ঘুরানোর জন্য। তনুদিরা, সুজয়রা সহ সবাই মিলে ঘুরতাম আর বাড়ি ফিরতাম তনুদির কাছ থেকে পাওয়া কমিক্স , ডিজনির বই এসব নিয়ে। ক্লাস নাইন টেনে উঠার পর থেকেই প্রয়াত স্যার হুমায়ূন আহমেদ এর বই পড়া শুরু হয় আর সমরেশ বাবুর বই 'গর্ভধারিণী' হাতে পাই। ২০০৫ এ এসএসসি পাশের পর অনেক বছর আর কমিক্স পড়া হয়নি। পলিটেকনিকে পড়ার সময় খুব বই পড়তাম আমি আর তামিম। ব্র্যাক লাইব্রেরীর সদস্য ছিলাম। অনেক বই পড়েছিলাম সে সময়। দিনরাত বই নিয়ে পড়ে থাকতাম। ইউনিভার্সিটিতে পড়ার সময় আবার কমিক্স পড়া শুরু করি। তখন পড়তাম শুধুমাত্র দেশিগুলো। ঢাকা কমিক্স এর কমিক্সগুলি। ২০১৫ এর শেষদিকে পড়াশুনা শেষে কিছুদিন এটাসেটা করার পর ফ্রিল্যান্সিং শুরু। গাজীপুরে থাকার সময় আর্টিস্টদের সাথে তেমন একটা দেখা সাক্ষাত হতোনা বললেই চলে। এর মাঝেই মেহেদী ভাইয়ের কার্টুনিং কোর্স আর এরপর আসিফ ভাইয়ের কমিক্স ড্রয়িং কোর্স করে ফেললাম গাজীপুর থেকে আসা যাওয়া করেই। এর মাঝেই গেল বছর সেপ্টেম্বরে গাজীপুর থেকে ঢাকায় মুভ করলাম। কমিক্স কোর্সের শেষ দুই ক্লাস করেছিলাম ঢাকায় মুভ করার পর। আস্তেধিরে মাহাতাব প্রসূন অ্যাড্রিয়েন দের সাথে ঘুরাঘুরি, মুভি দেখা, স্কেচবুকিং শুরু। এ সময় থেকে বিদেশী কমিক্সের সাথে আমার পরিচয়। আসিফ ভাই, অ্যাড্রিয়েন মাহাতাব এদের সাথে আলোচনা হতো কমিক্সের ব্যাপারে, রিভিউ পেতাম। নীলক্ষেতের ম্যাগাজিন গলিতে মাহাতাব এর সাথে অভিযানে যাই। আর সেকেন্ডহ্যান্ড ভাল কোন গ্রাফিক নভেল, কমিক্স বা মাঙ্গা পেলেই কিনে নিয়ে আসি। এর মাঝে ভাল একটি কালেকশন পেয়ে গেছিলাম। বিখ্যাত জাপানী মাঙ্গা আর্টিস্ট এবং স্টুডিও গিব্লির সহ প্রতিষ্ঠাতা Hayao Miyazaki এর NAUSICA of the valley of the wind এর সাতটি বইই পেয়ে গেলাম। আমাকে আর পায় কে! কিনে নিলাম। এখনো পর্যন্ত আমার কালেকশনের সবচে দারুণ কালেকশন এটা। :D এরকম কিনে নেওয়া বেশ কিছু গ্রাফিক নভেল আর কমিক্স জমে গিয়েছে যেগুলি এখনো পড়া হয়নি। তাছাড়া কোন কমিক্সের আঁকার স্টাইল ভাল লাগলেও কিনে নেই (যদি টাকা থাকে মানিব্যাগে -_-) । আর অনলাইনে তো কমিক্স পড়িই। আগে পড়তে পারতাম না । এখন অভ্যেস হয়ে গেছে। ইদানীং পড়ছি Saga. গল্প আঁকা সব মিলিয়ে দুর্দান্ত এক গ্রাফিক নভেল। ইমেজ কমিক্সের কমিক্সগুলির ভক্ত হয়ে গেলাম। আর নীলক্ষেতে গেলে বই কেনা হয় । ইদানীং পড়ছি রাহুলজির "ভোলগা থেকে গঙ্গা"। দারুণ একখান বই। সেদিন পাড়ার মাঠে দেখলাম বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের লাইব্রেরীর ভ্যানটা। সদস্য হয়ে গেলাম টুক করে আবার।
"Nausicaa of the valley of the Wind"    
by "Hayayo Miyazaki"

"The art of Simon Bisley"
এবার পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে চিটাগাং গিয়েছিলাম। তখন একদিন সুজয় কে নিয়ে ঘুরছিলাম জিইসি এর মোড়ে। অমর বইঘরে গেলাম টাইম পাস করার জন্য। তখন এক কোণায় দেখি পুরনো কমিক্সের সাথে এই বইটা। আমাকে আর পায় কে। কাউন্টারে গিয়ে বললাম দাম কত। দোকানদার বলল, ৩০০ টাকা দেন। আমি খুশিতে লাফটা দিলাম না খালি। মানিব্যাগ খুলে দিয়ে দিলাম টাকাটা। :D দোকানি আমাকে গছাতে পেরে খুশি আর আমি পেয়ে খুশি। কেউ মনে হয় কিনছিলোনা এই বই। ৯০+ পেইজ কালার ইলাস্ট্রেশন। সাইমন বিজলে এর আঁকা সব। অসাধারণ। ফ্র্যাঙ্ক ফ্রাজেত্তা এর আঁকার টেস্ট পাওয়া যায়। 

ম্যাগাজিন গলি থেকে পাওয়া স্ট্যান্ড অ্যালোন গ্রাফিক নভেল আর বাংলাদেশি কমিক্স। 

Conan, The death of Groo (legend Sergio Aragone's), The Town that didn't exist, Tintin
চিল্ড্রেন বুকস। বেশিরভাগই মহাগুরু সব্যসাচী মিস্ত্রী দার আঁকা। মাঝেমাঝেই খুলে দেখি। চোখে আরাম লাগে।
পাঞ্জেরী, মাইটি পাঞ্চ, সহ DC, Image, Marvel এর পুরনো কমিক্স
সবই ঢাকা কমিক্স এর কমিক্স। ঢাকা কমিক্সের মোটামুটি সব কমিক্সই কালেকশনে আছে আমার। অল্প কিছু ইস্যু শেষ হয়ে গেছে বলে পাচ্ছিনা।
উপরের বইটি গুরু মেহেদী ভাইয়ের "কার্টুন আঁকিবার ক, খ, গ এবং ক্ষ।" আমার কার্টুনিংয়ের ভিত্তিপ্রস্তর। আর সবচে নিচের বইটি দ্যা গ্রেট "সুকুমার রায়" এর আবোলতাবোল। অরিজিনাল কলকাতা ভার্সন।
উন্মাদ আর বিচ্ছু। উন্মাদের কিছু ইস্যু হারিয়ে গেছে। আর বিচ্ছুর অনেক ইস্যুই নাই আমার কাছে। প্রথম ইস্যুটাই নাই মাইরি। :/
এই শেলফ ভরবো আমি কেমন করে??????



Friday, May 26, 2017

বিচ্ছু (মার্চ ২০১৭ - মে ২০১৭)

বিচ্ছুর জন্য কার্টুন ছাড়াও গ্রাফিকের কাজ করা হয় অনেক। সাধারনত গ্রাফিকের কাজ গুলি ব্লগে তোলা হয়না। সব কার্টুন নিজের পছন্দও হয়না। অনেক কার্টুন আঁকতে হয় তাড়াহুড়ো করে আবার অনেক কার্টুনের জন্য ভালই টাইম পাওয়া যায়। এর মাঝে অনেক কাজ করে মজা পাই আবার অনেক কাজ জাস্ট করতে হবে বলেই করা হয়। 
প্রিয় কিছু কাজ তুলে রাখি। বাকি সব পাওয়া যাবে এখানে

ব্যাকগ্রাউন্ডে সলিড কোন কালার রেখে ফোরগ্রাউন্ডে জাস্ট সাদাকালোতে কার্টুন এর এই স্টাইলটা ডেভেলপ করেছিলাম বিচ্ছুর প্রিন্ট ভাল হয়না বলে। প্রিন্টে ভালই আসে এই স্টাইলে আঁকা কাজগুলি।















এই কাজটা করে দারুণ মজা পেয়েছিলাম। মেহেদী ভাই আর আসিফ ভাই দেখে বললেন ভালই হয়েছে। পার্সপেক্টিভে ঝামেলা আছে দেখে কারেকশন দিলেন। এরপর বেশ কিছুদিন ছিলাম পার্সপেক্টিভ নিয়ে। 


এই কাজটা করে মজা পেয়েছিলাম।








Tuesday, May 23, 2017

ভাল জেশ্চার = রিলিফ

আঁকাআঁকির শুরু থেকেই বড় একটা প্রবলেম, এখনো প্রবলেম হচ্ছে জেশ্চার বা ভঙ্গিমা । অফিশিয়াল বা প্র্যাকটিস পারপাসে অনেক আঁকা হয় কিন্তু অনেক সময় কাজ শেষে দেখা যায় রিদম টা মিসিং! আর রং স্টাইল সব দারুণ হলেও রিদম না থাকার কারনে আঁকা মার খেয়ে যায়। অনেক দিন হবেনা আসলে, ধরতে গেলে আঁকাআঁকির শুরু থেকেই জেশ্চার নিয়ে প্রবলেমে আছি আমি। আঁকতে গেলে প্রায় সময়ই রেফারেন্স প্রয়োজন হয়। যেটা হয়েছে মাথার ভেতর প্রচুর পরিমানে ভঙ্গিমার লাইব্রেরি না থাকার কারনে।
গেল বছর ডিসেম্বরে পাঞ্জেরী পাবলিকেশনের জন্য কমিক্স আঁকতে গিয়ে প্রবলেমটা বেশি ফীল করতে থাকি। যদিওবা বাচ্চাদের কমিক্স ছিল বলে কাটিয়ে দিতে পেরেছি। একদিন স্টুডিওতে মেহেদী ভাই আমাদের বললেন, কমিক্স করার জন্য ঢাকা কমিক্সের জন্য। একটু সিরিয়াস ধরনের। এবং ওটাতে হাত দিতে গিয়েই টের পেলাম জেশ্চার এর প্রবলেমকে পাশ কাটিয়ে চলার মজা ! এমনিতে নর্মাল কার্টুন আঁকতে গেলে ঝামেলা হয়না। কিন্তু কমিক্সে এক পেজেই অনেক প্যানেল। শয়ে শয়ে আঁকা । মাথার ভেতর জেশ্চারের লাইব্রেরি না থাকার কারনে প্রতিটি আঁকা আঁকতে গিয়ে পারফেক্ট রেফারেন্স খুঁজতে গেলে আর আঁকা হবেনা! এরপর থেকে হতাশা ভর করল। আমি মাহাতাব আমরা না এঁকে বসে থাকলাম। অন্যান্য কাজ করে ফেলছি কিন্তু কমিক্সে হাত দিতে গেলেই আমরা জম্বি হয়ে যাই। গোল হচ্ছে কমিক আর্টিস্ট হওয়া কিন্তু কিচ্ছু হচ্ছেনা। সব মিলিয়ে গত মাস থেকে চরম হতাশা আর কনফিউশনে ছিলাম। রাগ লাগতো খুব... নিজের উপর, সিদ্ধান্তের উপর, সবকিছুর উপর।
এরপর গত দু তিন সপ্তাহ থেকে আসিফ ভাইয়ের লাইন ইন্সট্রাকশন আর মেহেদী ভাইয়ের পেলভিস-টরসো [প্র্যাকটিস টেকনিক কম্বাইন করে নিজে একটা স্টাইল ডেভেলপ করলাম জেশ্চার আঁকার। এরর অ্যান্ড ট্রায়াল পদ্ধতি মনে করে ঐ স্টাইলে পাগলের মতো প্রতিদিন ২০- ৩০-৪০ টা করে টাইমড জেশ্চার প্র্যাকটিস শুরু করলাম। পাতার পর পাতা আঁকতে গিয়ে স্কেচবুক ফেলে A4 পেপারের রিম নিয়ে এসে চারকোল পেনসিল আর লিভো কালার পেনসিল দিয়ে আঁকতে থাকলাম একের পর এক ফিগার। কিছুদিন পর টের পেলাম নাহ্‌ মনে হয় কিছু একটা হচ্ছে। চরম হতাশার দিনেও জেশ্চার আঁকা ছাড়লাম না। দিনের পর দিন আঁকতে থাকলাম। প্রতিদিন আঁকতে আঁকতে অভ্যাস হয়ে গেলো ব্যাপারটা। ইদানীং আমার ডেইলি To-Do লিস্টের প্রথমেই থাকে জেশ্চার ড্রয়িং!
মাঝে মন খারাপ থাকায় স্টুডিওতেও যাইনি বেশ কদিন। কি মিজারেবল কিছু সপ্তাহ যে পার করেছি! প্রতি রাতে ঘুমাতে গেলে শুয়ে শুয়ে ভাবতাম, ধুর বাল এইসব করবোনা আর। যাই বাপের কথা মেনে কোন ইঞ্জিনিয়ারিং জবে ঢুকে পড়ি। থ্যাংকস গড, দিনগুলির অবসান হচ্ছে আস্তেধিরে।

ইদানীং আসিফ ভাইয়ের সাথে কলাব করে ফ্রিল্যান্স কাজ শুরু করেছি। ফ্রিল্যান্স সাইট ফাইভারে দুজনে মিলে একটা কাজ করে কমপ্লিট করলাম গতরাতে। অ্যান্ড বুমমম! ওভারল ফাইভ স্টার রেটিং। এ কাজের জন্য পরশু স্টুডিওতে গিয়েছিলাম। আঁকা কিছু জেশ্চার নিয়ে গেলাম। প্রায় দুই তিনশ ফিগার। আসিফ ভাইকে দেখালাম। আসিফ ভাই দেখে বললেন আররি, জোশ হইসে তো! দারুণ ইম্প্রোভ করসো। করো করো। রিদম ঠিক আছে। এরপর কিছু কারেকশন আর হাতের রিদম দেখিয়ে দিলেন। আড্ডাইলাম, চা খেলাম এরপর চলে এলাম। গতকাল গেলাম আবার। মেহেদী ভাই ছিলেন। ছোটকাকু কমিক্সের কাজটার ব্যাপারে কথা বললাম। দেখি মনে হয় ওটা করতে পারি।
লাইফ ইজ বিয়িং সুন্দর এগেইন। মেবি... 

Monday, May 15, 2017

ঢাকা কমিক্স

গেল বছর নভেম্বর মাসের একদিন। বিকেল বেলায় গুরু মেহেদী ভাইকে কল দিলাম, ভাইয়া কোথায় আপনি? মেহেদী ভাই বললেন, স্টুডিওতে আছি। চলে আসো। হুট করে দিলাম দৌড়। হাতির ঝিল মোড়ে নেমে একে ওকে ধরে দীপিকার মোড় চিনলাম এরপর কিছুক্ষণ দিকবিদিক ঢুঁ খেয়ে অবশেষে স্টুডিওতে। আমার এমনিতেই প্লেস চেনার ব্যাপারে সুখ্যাতি(!) আছে। XD গিয়ে দেখি মেহেদী ভাই আর স্টাফ জুনায়েদ (এখন আর নেই এই বান্দা। এক মাস কাজ করেই পালিয়ে গেছে  :D ) স্টুডিও পরিষ্কার করছে। আমিও কাজে হাত দিলাম। কিছুক্ষণ পর এলো মাহাতাভ আর অ্যাড্রিয়েন। এরপর সবাই মিলে কার্পেট বসানো, সিলিং ফ্যান লাগানো ঝাড়ু দেওয়া সব শেষ করলাম। কাজ শেষে আজমির হোটেলের পুরি আর সেভেনআপ :D
সে থেকে আমাদের প্রাণের কেন্দ্র এই স্টুডিও। এমনিতে আসিফ ভাই আর মেহেদী ভাই স্টুডিওতে যান। আমি মাহাতাব অ্যাড্রিয়েন আমরা কোন কাজ পড়লেই বুঝে নিয়ে আসি বা নিজেদের কোন কাজে সমস্যা হলে গিয়ে মেহেদী ভাই বা আসিফ ভাইয়ের কাছ থেকে সল্ভ করে আসি। এমনিতেও অফ ডে আর ফ্রি থাকলে যাওয়া হয়। যাই কাজ করি, কাজ দেখি, বুঝে নেওয়ার চেষ্টা থাকে কোনকিছুতে ঝামেলা থাকলে, নতুন কোন গল্পের আইডিয়া পেলে শেয়ার করি, কমিক্স, মুভি, আঁকাআঁকি নিয়ে আড্ডা ডিসকাশন হয়, প্রফেশনাল টিপস অ্যান্ড ট্রিক্স পাই। 

মাঝে মাঝে মিতু আপু আসে রাজশাহী থেকে আসলে। উনার সাথেও বেশ আড্ডা হয়। স্টুডিওতে গেলেই কেমন যেন একটা অন্যরকম অনুভূতি কাজ করে। একসময় যাদের কাজ দেখে আঁকাআঁকির জগতে প্রবেশ তাদের কাছ থেকে দেখা, শেখা, আড্ডা দেওয়া। এ এক অন্যরকম অনুভূতি। মেহেদী ভাই সেদিন আমার অবস্থা শুনে অনেকক্ষণ কিভাবে কি করতে হবে বুঝিয়ে দিলেন... আমি শুনি আর জম্বির মতো হতভম্ব হয়ে বসে থাকি। এতদিন পরেও আমার এখনো বিশ্বাস হয় না, আমি মেহেদী ভাই আর আসিফ ভাইয়ের পাশে বসে আছি। স্বপ্ন স্বপ্ন মনে হয়! 
স্টুডিওতে প্রথম দিন (১৩ই নভেম্বর, ২০১৬) প্লায়ার্স হাতে অ্যাড্রিয়েন তৈরি। সিলিং ফ্যান লাগাতে হবে :D 
দুই কারিগর মাহাতাব আর অ্যাড্রিয়েন
সব শেষে পুরিভক্ষণ

আসিফ ভাইয়ের সাথে

কোন একদিন আড্ডার ফাঁকে
মিতু আপু