Saturday, September 29, 2018

লাস্ট কয়েক মাসের লগ

অনেকদিন বাদে ব্লগে ব্লগরব্লগর করছি। এর মাঝে কিছু কিছু পোস্ট দিয়েছিলাম কিন্তু ওগুলি ছিল অনেকটা দায় সারার মতো। এই বছর নিজের জন্য কাজ খুব কমই করেছি আমি। কম মানে খুবই কম। ক্লায়েন্টের কাজ এখানকার ওখানকার কাজই করা হয়েছে আর অ্যানাটমি আঁকা শেখার চেষ্টা চলছে। এটা আঁকতে গেলে দেখা যায় ওটা পারিনা। ওটা শিখতে গেলে এটা পারিনা। এক বিতিকিচ্ছিরি অবস্থা। কিন্তু এরপরেও লাইফ ইজ গুড। এটা সেটা এঁকে স্কেচবুক ভরিয়েছি প্রায় প্রতি মাসেই। এটা একদিক থেকে ভালই হয়েছে। পেন আর ইংকে আঁকা হয়েছে। বাইরের ফ্রিল্যান্সের কাজ চলছে প্রায় প্রতিমাসেই। পিপিএইচের পাশাপাশা ফাইভারে নিজের একটা অবস্থান আনার চেষ্টা করছি এই বছরের শুরু থেকেই। বইমেলার পরে উল্লেখযোগ্য কাজের মধ্যে মিতু আপুর সাথে প্রজেক্ট টিকটালিক এর জন্য "জংগলে গণ্ডগোল" কমিক্সের কাজ করেছি। বেশ মজার একটা অভিজ্ঞতা। এটা নিয়ে একটা আলাদা পোস্ট লিখতে হবে। আর UNHCR এর জন্য কমিক্সের পোস্টার করেছি। এই পোস্টার নিয়ে পরে মেহেদী ভাই ঢাকা কমিক্স থেকে অ্যানিমেশন করেছেন UNHCR এর জন্য। এই প্রজেক্টেও ছিলাম। এখান থেকে ইন্সপায়ার্ড হয়ে আমরা অ্যানিমেশন শেখার চান্সে আছি। রস+আলো এডিটর রনি ভাই মাঝেমাঝে ফোনে কল করে কাজ ধরিয়ে দেন। সময় থাকলে ওগুলিও করা হয়। সব মিলিয়ে ব্যস্তই থাকি। টের পাই নিজের জন্য কাজের পরিমান বাড়াতে হবে। কিন্তু করা হয়ে উঠছেনা।
এই মাসে(সেপ্টেম্বর) নতুন বাসায় উঠলাম । আগের বাসা ছেড়ে দিতে হয়েছে বাড়িওয়ালা আর ব্যাচেলরদেরকে ভাড়া দিবেনা বলে। নতুন বাসা খুঁজা নিয়ে কিছুদিন ঝামেলায় ছিলাম। এরপর বাসা পেলাম বাড্ডা হোসেন মার্কেট এরিয়ায়। নতুন বাসা ছয় তলায়। প্রথম কয়েকদিন জান বের হয়ে গিয়েছিল। এরপর আস্তে আস্তে অভ্যাস হয়ে গেল। বড় বড় জানালা আর ব্যালকনিওয়ালা বেশ সুন্দর একটা রুম পেলাম। আগের বাসার রুমের চেয়ে বড়। নিজের ওয়ার্কস্টেশন গুছিয়ে ফেলেছি। বেশ ভাল্লাগে নতুন পরিবেশে। স্টুডিওতে যাওয়াও সহজ হয়ে গেছে এখান থেকে। বাসা থেকে দশ মিনিট হাঁটলেই গুদারাঘাট। ওখান থেকে সোজা হাতির ঝিলের ওয়াটার বোটে করে স্টুডিও এর লোকেশনে। প্রায় সময়ই যাওয়া হয় বিভিন্ন কাজে আর আড্ডা দেওয়ার জন্য।
শুক্রবারে নিজেকে ছুটি দেই যেটা আগে ছিলোনা। একদিন চেষ্টা করি কোন কাজ না করার। সপ্তাহে অ্যাট লিস্ট দুই দিন চেষ্টা করি একজনের সাথে সময় কাটাতে। খুনসুটি আহ্লাদ রিকশায় ঘুরাঘুরি, হাত ধরে হাঁটা দারুন সব দিন। মেহেদী ভাই আর মিতু আপু গ্রিনরোডে বাসা নিয়েছেন। মাঝে মাঝে ওখানেও যাওয়া হয় । জীবন সুন্দর - লাইফ ইজ গুড। 
অনেক কিছুই আঁকতে ইচ্ছে করে। আবার আঁকা হয়না। 
Joker
The Prince of Anarchy

টেকআউট
যেখানের বার্গার আহামরি কিছু লাগে না।
কিন্তু এরপরেও আমরা যাই বসার ভাল জায়গা আছে বলে।
এখানকার চিকেন চিজি বাইটটা বেশ ভাল।
আমি - তোকে সুন্দর লাগছে :D
সে - তুই দাড়িগোঁফ ছাটিস নাই কেন? >_<

No comments:

Post a Comment