গত সপ্তাহ ধরেই বইমেলায় বইপ্রেমীদেড় ভিড় বেড়েছে আর বেড়েছে আমাদের ব্যস্ততা। এর মধ্যে গত কদিন ছিল পহেলা ফাল্গুন-ভ্যালেনটাইনস ডে - শুক্রবার - শনিবারের ব্যস্ততা। শিশু অ্যাকাডেমির কমিক্সটার কাজ করার সময়ও বেশ কবার যাওয়া হয়েছিল মেলায়। ওটার কাজ কমপ্লিট করার পরে বেশিরভাগ দিনই দুপুরে ঘুম থেকে উঠে ছুটতে হয়েছে স্টুডিওতে। ওখান থেকে বইয়ের বান্ডেল নিয়েই হয় আমি আর মেহেদী ভাই অথবা আমি অথবা স্টলের সেলসের কেউ না কেউ মিলে আবার বইমেলায়। এরপর স্টলে সময় দেওয়া, বন্ধুবান্ধব, ইউনিভার্সিটির সিনিয়র জুনিয়র, পরিচিত আর্টিস্ট, ভাই বেরাদারদের সাথে দেখাসাক্ষাৎ, সবাই মিলে মেলায় বই দেখে বেড়ানো এইসব করে করেই এই মাস কিভাবে যেন শেষ হয়ে যাচ্ছে টেরই পাচ্ছিনা। প্রত্যেকটা দিনই মজার আর আনন্দের। অনেকের সাথে দেখা হচ্ছে যাদের সাথে শুধুমাত্র অনলাইনেই পরিচয় ছিল। এই পার্টটা বেশ মজার। ঢাকা কমিক্সের হার্ডকোর ফ্যানদের সাথে দেখা হচ্ছে, কথা হচ্ছে স্টলে। তাদের অভিমত জানতে পারছি। প্রিয় লেখকদের সাথে আর্টিস্টদের সাথে দেখা হয়ে যাচ্ছে, কমিক্সের মার্কেট অবজার্ভ করছি। বেশ দারুন সব অভিজ্ঞতা। রাতে বস আহসান হাবিব এর নেতৃত্বে সবাই মিলে বইমেলা প্রাঙ্গন ছেড়ে বাসার দিকে রউনা দেওয়া, এগারটার দিকে বাসায় ফিরে ফ্রেশ হয়ে ফেসবুকে ইন্সটাগ্রামে সারাদিনের কাজকর্মের জাবর কাটা। লাইফ ইজ টু গুড।
এর মধ্যে তেমন কোন কাজকর্ম করতে পারিনি। কাজ করতে চেয়েছিলাম কিন্তু দেখি হয়না। পরে মেলায় মিতু আপুর সাথে আড্ডায় এক ফাঁকে এটা বলায় বললেন এই মাসে ব্যস্ততায় কিছু হবেনা। বাদ দাও। মেনে নিয়ে আর জোর করিনি নিজের উপর। কোন রকম সিরিয়াস আঁকাআঁকি ছাড়াই কাটাবো ধরতে গেলে এই মাস।
অনেক দিন পর আজ দিন কাটালাম ঘুমিয়ে আর বসে থেকে থেকে। দুপুরে ঘুম থেকে উঠে মেহেদী ভাইয়ের মেসেজ পেলাম। তারপরেই স্টুডিওতে গিয়ে স্টলের একজন সেলসপার্সন কে বইয়ের বান্ডেল বুঝিয়ে দিয়ে সিএনজি তে করে মেলায় পাঠানোর পর বাসায় ফিরে এসে খেয়েদেয়ে আঁকতে বসলাম। কাল রাতে একটা ভুতের ছা এঁকেছিলাম। আজকে বাকিগুলো আঁকলাম। কালার নিয়ে এক্সপেরিমেন্ট করলাম। গত সপ্তায় শুধুমাত্র একটা মুভি দেখেছি। Moana. মুভিটির কালার প্যালেট আর কনসেপ্ট আর্ট দেখে আমি মুগ্ধ। ভয়াবহ রকম মুগ্ধ।
একদল ভূতের বাচ্চা
No comments:
Post a Comment