Wednesday, March 6, 2019

প্রজেক্ট টিকটালিক - খুলনা

গত বছর(২০১৮) এর বইমেলার পরের কথা। মিতু আপু প্রজেক্ট টিকটালিক এর জন্য একটা সাইন্স কমিক্স প্রজেক্টে কাজ করব কিনা জানতে চাইলেন। আমি টিং করে রাজি হয়ে গেলাম।কমিক্সের নাম "জংগলে গণ্ডগোল"। ফান্ডিং ইউনাইটেড স্টেটস ডিপার্টমেন্ট এর। এই বই ফ্রি তে বিলানো হবে ঘুরে ঘুরে স্কুলের ছেলেমেয়েদের কাছে ।

কাজ শুরু হয়ে গেলো। বইয়ের থাম্বলিং করে দিলেন মিতুপু আর আমি বসে বসে ড্রয়িং শেষে ইংকিং আর কালারিং করে ফেললাম। কিছু টেকনিক্যাল পেইজের ড্রয়িং করেছেন মিতু আপু। কাজের সাবমিশন ছিল মার্চের ২০ তারিখে কিন্তু মার্চের ১৭-১৮ তে গিয়ে দেখা গেলো মাত্র ইংকিং শেষ হয়েছে। এদিকে ২০ তারিখে আবার আমার সমাবর্তন। আর ৩২ পেইজের কালার বাকি। এগিয়ে এলেন মেহেদী ভাই। এক সেশনেই এই পাবলিক প্রায় দশ পেইজের কালার নামিয়ে দিলেন। আর কভারও মেহেদী ভাইয়ের করা। বাকি কাজ আমি শেষ করলাম বিশ তারিখ রাতে বসে বসে। সারারাত না ঘুমিয়েই কাজ শেষ করে সকালে সম্রাট আর মিথুনের সাথে রওনা হলাম গাজীপুরে ডুয়েটের উদ্দেশ্যে।

এরপর বই বের হল জুলাই মাসে আর মিতু আপু দলবল নিয়ে দেশের পাঁচ বিভাগের (ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী,সিলেট ও খুলনা) সিলেক্টেড স্কুলে এই ফ্রি কমিক্স বিলাতে বের হলেন। সিলেটে মিতুপুর সাথে গেলো মাহাতাব আর সালমান।
প্রিন্টেড কমিক্স

চট্টগ্রামের সফরে আমার যাওয়ার কথা ছিল আর মেহেদী ভাইয়ের খুলনায়। কিন্তু একটা বিশেষ(!) কারনে আমার চট্টগ্রামে যাওয়া হলোনা। তাই ঠিক হলো মিতুপুর সাথে আমি যাব খুলনায় আর মেহেদী ভাই গেলেন চট্টগ্রামে।
সেপ্টেম্বরের ১৬ তারিখে মিতু আপুর সাথে গাট্টিবোঁচকা, ব্যানার নিয়ে রওনা হলাম খুলনার পথে। প্রথমে ঢাকা টু যশোর বাই এয়ার। এরপর যশোর এয়ারপোর্ট থেকে বাংলাদেশ বিমানের বাসেই খুলনা।

(আমার প্রথম বিমান ভ্রমন ছিল এটা। অন্যরকম অনুভূতি।
কিজানি হয়তোবা প্রথম বিমানে চড়সি দেখে লাগসিলো ওরকম।)

যশোর পৌঁছুলাম বিকালের দিকে। এরপর বাসে উঠে খুলনার দিকে যাত্রা। লক্করঝক্কর রাস্তায় ঝাঁকি খেতে খেতে খুলনায় পৌঁছুলাম রাতের নটা সাড়ে নটার দিকে। এসি বাস হওয়ায় রক্ষা পেয়েছিলাম। মিতু আপু যেতে যেতেই বললেন আমাদের রিসিভ করতে আসবেন সুবর্না দি। জিজ্ঞেস করলাম কে এই পাবলিক। মিতুপু বললেন আসলেই দেখবা। আমরা খুলনায় রয়েলের মোড়ে নামলাম আর আমাদের রিসিভ করতে আসলেন সুবর্না দি । সাথে দিদির মেয়ে রোদসী। এরপর অটোতে করে সোজা খাওয়াদাওয়ার জন্য যাত্রা। এই যাত্রাপথেই বুঝে গেলাম সুবর্নাদি একখান মজার মানুষ। উনি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর। মিতু আপু যখন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর ছিলেন তখন সুবর্নাদি ছিলেন ওখানে কলিগ। পরে তিনি খুলনায় চলে এসেছেন আর মিতু আপু তো চাকরিই ছেড়ে দিয়েছেন ওই সময়ে এসে। অনেকদিন পর মিতু আপুকে পেয়ে অটোতে হিহি হোহো করছেন মিতু আপুর সাথে আর কিছুক্ষণ পর আবিষ্কার করলাম মনে হচ্ছেইনা সুবর্নাদির সাথে আমার আগে কোনদিন দেখা হয় নাই। এতই মিশুক আর দারুন একজন মানুষ।
এইবার আসি খাওয়াদাওয়ার পালায়। আমাদের তখন খিদে পেয়েছে আর সারাদিনের জার্নি তো ছিলই। খুলনার বিখ্যাত চুঁইঝালের তরকারি খাওয়ার ইচ্ছা ছিল অনেকদিন ধরে। সুবর্নাদিকে বললাম চুঁইঝালের তরকারি খাবো। এরপর সোজা জিরো পয়েন্ট। জীবনে প্রথমবারের মতো চুঁইঝালের তরকারি খেয়ে আমি মুগ্ধতায় থ হয়ে গেলাম। এ এক অন্যরকম ঝাল!


এমনিতেই আমি খাদক প্রাণী। বহুল কাঙ্ক্ষিত চুঁইঝালের তরকারি পেয়ে বেশি খেয়ে ফেললাম। খেয়েদেয়ে হোটেলে ফেরার পথে অটোতে আমার নড়াচড়া বন্ধ। হোটেলে চেকইন করে আমি আমার রুম বুঝে নিয়েই দিলাম একটা ঝাক্কাস শাওয়ার। ঝিকঝাক দারুন রুম। শাওয়ার নেওয়া শেষে এটা সেটা সেরে নিয়ে দিলাম ঘুম। পরেরদিন যেতে হবে খুলনা পাইওনিয়ার স্কুলে কমিক্স বিতরণের কাজে।

পরেরদিন ভোরে মিতু আপু কল করে ডেকে দিলো। দুই ভাইবোনে ব্রেকফাস্ট সেরে নিয়ে রেডি হয়েই দিলাম দৌড়। ব্যানার, টিশার্ট এইসব ব্যাগ ব্যাগেজ নিয়ে হাজির হলাম পাইওনিয়ার মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে । স্কুলের হেডমিস্ট্রেস আপা আর অন্যান্য শিক্ষকেরা বেশ সাহায্য করেছিলেন। একটা বড় ক্লাসে ক্লাস নাইন টেন এর পিচ্চিদের জড়ো করা হল। এরপর তাদের মধ্যে থেকে কয়েকজনকে ভলান্টিয়ার বানিয়ে তাদের সাথে কথাবার্তা বলা, কমিক্স নিয়ে বিজ্ঞান নিয়ে ছবি আঁকা গল্প করতে করতেই দুপুর গড়িয়ে গেলো। বেশ মিশুক ছিল পিচ্চিগুলি।
পিচ্চিগুলিকে ছবি আঁকতে দিয়েছিলেন মিতুপু

মিতু আপু বুঝাচ্ছেন আমরা কারা, আমরা কি করি।


বই হাতে ছাত্রীরা


(বইয়ের সাথে ছিল নোটপ্যাড, কলম আর ভলান্টিয়ারদের জন্য টিশার্ট।)

স্কুল থেকে বিদায় নিয়ে দুপুরে আবার সুবর্নাদির সাথে খাওয়াদাওয়া। খেয়েদেয়ে হোটেলে ফিরে এলাম আমরা। আবার বের হলাম বিকেলে। যাত্রা সুবর্নাদির মামাবাড়ি বয়ারভাঙ্গা গ্রামে। সে গ্রামের এক স্কুলে বই দেওয়ার কথা বলেছেন সুবর্নাদি। প্রথমে গেলাম খুবিতে(খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে)। ওখান থেকে ল ডিপার্টমেন্টের ডিন স্যার সহ একদল হুল্লোড়ে আর মিশুক ইয়াং লেকচারারের দল (সুবর্নাদির গ্যাং) নিয়ে খুবির একটা মাইক্রোবাসে রওনা দিলাম বয়ারভাঙ্গা গ্রামের পথে। সুবর্নাদির মামাতো ভাইও(নাম ভুলে গেছি দাদাটার) খুবির শিক্ষক। গ্রামে আগেই খবর পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। গ্রামে গিয়ে পৌঁছুলাম ঘণ্টাখানেক জার্নির পরেই। যেতে যেতে মনে হচ্ছিলো আমি আমার গ্রামের বাড়ি রাউজানে চলে এসেছি। রাস্তার দুপাশে গাছের সারি। বেশ দারুন একটা পরিবেশ। গ্রামে গিয়ে দেখি মোটামুটি ব্যাপক আয়োজন। স্কুলের গেটে আমাদের রিসিভ করলেন সুবর্নাদির মামা, স্কুলের হেড টিচার, স্কুল কমিটির পুরনো নতুন সদস্যাবৃন্দ আর গ্রামের অনেক গণ্যমান্য ব্যাক্তিরা।

(বয়ার ভাঙ্গা বিশ্বম্ভর মাধ্যমিক বিদ্যালয়। আমার মনে পড়ছেনা ঠিক এই মুহূর্তে। 
তবে যতটুক মনে পড়ে তার থেকে বলতে পারি, এই স্কুলের জায়গা আর স্কুলের গোড়াপত্তন করেছিলেন সুবর্নাদির দাদু অথবা দাদুর বাবা। এবং গ্রামের সব স্কুলের মধ্যে এই স্কুলেই নাকি প্রথম বিজ্ঞান বিভাগ চালু হয়েছিল।) 

আমরা সবাই যাব শুনে অনেককেই নাকি খবর দেওয়া হয়েছিল। গ্রাম আর গ্রামের মানুষজনদের দেখে মনে হচ্ছিলো শরৎচন্দ্রের বইয়ের কোন জমিদার তালুকে টাইম ট্রাভেল করে চলে গিয়েছি। এর মধ্যে রটে গিয়েছিল আমাদের সাথে মুহম্মদ জাফর ইকবাল স্যার থাকবেন। সবাই খুব উত্তেজিত। শুনে আমাদের কি হাসি। স্কুলের হলঘরে আমাদের বসানো হল। সামনে টিচাররা, গ্রামের গণ্যমান্য ব্যাক্তিরা আর ছাত্রছাত্রিরা। আমাদের ফুল দিয়ে বরন করে নেওয়া হলো।

সুবর্নাদি  
খুবির ল ডিপার্টমেন্টের ডিন স্যার। 


মিতু আপুর স্পীচ




এরপর ফরমাল প্রোগ্রাম। মিতু আপু সহ একে একে অনেকেই কথা বললেন। আমরা কারা কেন এসেছি, সায়েন্স কমিক্স কি সব বিষয়ে। স্কুলের টিচারদের কথা শুনলাম। এক অন্যরকম অনুভূতি।  আমার পাশে ছিল পুনম, সুমন ভাই সহ খুবির একঝাঁক তরুন শিক্ষকের দল। পুনম কিছুক্ষণ পরপর একটা একটা কথা বলছে আর আমি দাঁতমুখ চেপে হাসছি। এ ধরনে ফরমাল প্রোগ্রামে আমি সাধারণত অভ্যস্ত না। সিরিয়াস অনুষ্ঠানে হাসাহাসি। এক বিটকেলে পরিস্থিতি আমার জন্য। দারুন একটা সময় পার করলাম। প্রোগ্রাম শেষে খাওয়াদাওয়ার আয়োজন। খেয়েদেয়ে ফেরার পালা। সবার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে ফিরে এলাম খুলনা শহরে। সেদিন যে সম্মান পেয়েছিলাম খুলনার বয়ারভাঙ্গা গ্রামে সে স্মৃতি আমার আঁকিয়ে ক্যারিয়ারে এক গুরুত্বপূর্ণ চ্যাপ্টার হয়ে থাকবে।

(শহরে ফেরার পথে সবচেয়ে আনএক্সপেক্টেড জিনিসটা দেখলাম আমরা। এমু পাখির খামার। দেখে আমরা থ! একি এই জিনিস এখানে কেন। উটপাখি না এমু পাখি এ নিয়ে তর্ক চলল কিছুক্ষণ। পরে কনফার্ম হওয়া গেলো এমু পাখি। এই গ্রামে এই পাখি কে আনলো কেনো আনল সেটা এখনো আমাদের কাছে রহস্যই থেকে গেলো।) 

ফিরে এসে গেলাম খুবি ক্যাম্পাসে। ক্যান্টিনে কোক পুরী চপ দিয়ে নাস্তা আর আড্ডা শেষে আমি আর মিতুপু ফিরলাম হোটেলে। বেশ মজা পেলাম সুবর্নাদির গ্যাং এর সাথে আড্ডা দিয়ে।
(সুবর্নাদির গ্যাং। আরো কয়েকজন আছে। ছবিতে নেই উনারা। দারুন
সব মানুষ। মিশুক হাসিখুশি আর আড্ডাবাজ) 

(খুবি ক্যাম্পাস। সুন্দর ছিমছাম সবুজে ঢাকা ক্যাম্পাস। পছন্দ হয়েছে।)

রাতে বের হলাম আমি আর মিতু আপু। প্রথমে গেলাম সুবর্নাদির বাসায়। ওখান থেকে দিদি আর রোদসী সহ গেলাম চুঁইঝালের তরকারির জন্য বিখ্যাত আব্বাস হোটেলে। ওখানে গিয়ে যথারীতি আমার খাদক সত্বা বের হয়ে এলো। গলা পর্যন্ত খেয়ে দেয়ে অটোতে গা এলিয়ে দিয়ে ফিরে এলাম হোটেলে।


( চুঁইঝালের খাসি। বেশি জোশ খেতে। এখন কোথাও খেতে গেলে অথবা ভাল খাবারের কথা উঠলে আর ওই জায়গায় যদি আমি আর মিতু আপু থাকি তাইলে হইসে। আমরা চুঁইঝালের তরকারির কথা বলি আর হাহুতাশ করি XD)


পরেরদিন যেতে হবে খুলনার আমেরিকান কর্নারের প্রোগ্রামে। সারাদিনের দৌড়াদৌড়িতে ক্লান্ত ছিলাম। হোটেলের বাথটাবে ডুব দিয়ে থাকলাম অনেক্ষন। শাওয়ার নিয়ে টুকিটাকি কাজ সেরে ঘুমিয়ে পড়লাম।
পরদিন ভোরে ঘুম থেকে উঠে নাস্তা সেরে নিলাম। এরপর রেডি হয়ে জিনিসপত্র নিয়ে মিতুপুর সাথে রওনা হলাম খুলনা আমেরিকান কর্নারের পথে। পৌঁছে আমারিকান কর্নারের কর্মরত আপু ভাইদের সহায়তায় ব্যানার টাঙিয়ে প্রস্তুত হয়ে নিলাম আমরা।









( প্রোগ্রাম শেষে আমার মুখ চ্যাগানো সেলফি :/
ভাল একটা সেলফি তোলা শেখা হলোনা আমার এখনো। -_- )


বেশ কয়েকটা স্কুল থেকে ছেলেমেয়ে আর টিচাররা এসেছিলেন আমেরিকান কর্নারের প্রোগ্রামে। যথারীতি প্রোগ্রাম শেষে ফিরে এলাম হোটেলে। বিকেলে আবার বের হলাম। এইবার আর কাজে নয়। এইবার বের হলাম বেড়ানোর জন্য। সুবর্নাদির সাথে প্রথম গেলাম খুবি ক্যাম্পাসে। ওখান থেকে সুবর্নাদির গ্যাং এর কয়েকজন সহ খুবি ক্যাম্পাসে অটো নিয়ে চক্কর দিলাম। একটা জুসের দোকান আছে। ওই দোকানে জুস খেয়ে বের হয়ে এলাম আমরা। সোজা চলে গেলাম বাজারে। আমার ভার্সিটির এক জুনিয়র ফেসবুকে সাজেস্ট করেছিল ইন্দ্রমোহন সুইটস্‌ এর মিষ্টি খাওয়ার জন্য। এটা নাকি বিখ্যাত। আমি এমনিতেই মিষ্টি পাগল মানুষ। সুবর্নাদিকে বললাম মিষ্টি খাব। তথাস্তু। সবাই হাজির হলাম ইন্দ্রমোহন সুইটস্‌ এ।

আমি চারটা রসগোল্লা আর দুইটা পান্তোয়া খেয়ে ক্ষান্ত দিলুম। জোশ মিষ্টি। মিষ্টি খেয়ে বের হয়ে গেলাম গ্যাং এর সুমন ভাইয়ের বাসায়। সুমন ভাইয়ের বাসার কাজের খালার চুঁইঝালে রান্না করা হাসের মাংসের বেশ সুনাম করেছিলেন সুবর্না দি। আমরা যেদিন খুলনায় নেমেছিলাম সেদিন থেকেই তিনি সেই কাজের খালার শিডিউল নেওয়ার জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন। রাত্রে সবাই আসলো। একদল মানুষজন মিলে চুঁইঝালে রান্না করা ঝাল ঝাল হাসের মাংস আর কাঁকড়া দিয়ে ঝরঝরা ভাত খেয়ে আড্ডা দিয়ে ফেরার পথে খেলাম গফফরের মিষ্টি পান। যথারীতি খেয়েদেয়ে আমার নড়ার অবস্থা ছিলনা। হোটেলে এসে দিলাম ঘুম।

পরেরদিন আমি আর মিতু আপু ঢাকার পথে রওনা দিলাম। সুবর্নাদি এসেছিলেন বিদায় জানাবার জন্য। প্রথমে বিমানের বাসে যশোর। এরপর প্লেনে সোজা ঢাকায়। দারুন একখান ট্যুর হয়ে গেলো আমার। এখনো খাওয়াদাওয়ার কথা উঠলে আমি আর মিতু আপু খুলনার খাবারের কথা বলি আর উহু আহা করি। খুলনার ছিমছাম শহর, খাবার, দারুন সব মিশুক মানুষেরা, বয়ারভাঙ্গা গ্রামে পাওয়া সম্মান। দারুন একটা অভিজ্ঞতা হয়ে থাকবে আমার জন্য। আবার যাব কখনো সুযোগ পেলে।