Friday, May 11, 2018

বিগিনার কার্টুনিস্ট/আর্টিস্টদের জন্য ফ্রিল্যান্সিং ০১

প্রথমেই বলে রাখি এই ব্লগপোস্ট ধরতে গেলে একদম বিগিনার আর্টিস্টদের জন্যই যারা কার্টুন/কমিক্স/ছোটখাটো গ্রাফিক ডিজাইন এসব কে পুঁজি করে প্রফেশনালি আঁকাআঁকি করার কথা ভাবছেন বা কাজ খুঁজছেন। সিনিয়র আর গুরু লেভেলের মানুষদের জন্য এই পোস্ট কাজে আসবেনা। উনাদের কাছে কাজ আসে। নিজেদের খুঁজতে হয়না। :D আর নতুন আঁকাআঁকি শিখছেন এমন কারো জন্য এই পোস্ট প্রযোজ্য না। এই মুহূর্তে মোটামুটি লেভেলের আঁকাআঁকি পারেন এমন আর্টিস্ট দের জন্যই এই ব্লগপোস্ট।

ফ্রিল্যান্সে দেশি বিদেশি কাজ করা যায়। মূলত বিদেশি ফ্রিল্যান্স কাজ নিয়েই এই পোস্ট। বিদেশি কাজের জন্য আমি মূলত দুটি মার্কেটপ্লেসে কাজ করি। কিছুদিন আগে একটাতে হাফ সেঞ্চুরি পূরণ করলাম মানে ৫০+ প্রজেক্ট কমপ্লিট করেছি ১০০% রেটিং রেখে। তাই ভাবলাম এই উপলক্ষে অভিজ্ঞতা বা কিভাবে কি করা যায় তা শেয়ার করা যাক। হয়তোবা মোটামুটি দাগাদাগি করে সারভাইভ করতে চান এমন কারো উপকারে আসতে পারে এই পোস্ট।

আমার বিশ্ববিদ্যালয় জীবন শেষ হয় ২০১৫ এর শেষদিকে এসে। মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়ালেখা ছিল আমার। পাশ করার পর কিছুদিন জিআরই, কিছুদিন বিসিএস, কিছুদিন সরকারি চাকরির জন্য প্রস্তুতি এসব করেই দিন কাটছিল। ঠিক বুঝে উঠতে পারছিলামনা কি করব। যাই হোক, এরমধ্যে একদিন এক ব্যাচমেট ভাইয়ের সাথে চায়ের আড্ডায় উনি বললেন, রোমেল ভাই আপনি তো আঁকাআঁকি করেন। ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেসে তো ভালই চাহিদা আছে এসবে। আপনি ফ্রিল্যান্সে কাজ করেন না কেন। পরে ওই ভাই যে মার্কেটপ্লেসে কাজ করেন সেখানে আমার অ্যাকাউন্ট করার ব্যাপারে হেল্প করলেন। কিভাবে বায়ারদের কাছে প্রপোজাল পাঠাতে হয়, কিভাবে ব্যালেন্স ট্রান্সফার করতে হয় এসব ব্যাপারে বুদ্ধিশুদ্ধি দিলেন। উনার বুদ্ধি নিয়েই অ্যাকাউন্ট করি, বিভিন্ন প্রজেক্টে প্রপোজাল পাঠাতে থাকি। 


টানা তিনমাস আমি প্রপোজাল পাঠাতে থাকি দিন রাত। এভাবে একদিন একটা কাজ পেয়ে যাই এবং ফ্রিল্যান্সে কাজ করা শুরু করি। দেখলাম বাহ মজা তো! যে কাজটা করে আনন্দ পাই সে কাজটাই যদি প্রফেশন হিসেবে নিতে পারি তবে তো বেশ দারুন হবে। সে থেকে কাজ করছি আর দুবেলা ডালভাত খেয়ে সারভাইভ করতে পারছি। ব্লা ব্লা ব্লা ব্লা ...... এইবার মূল কাহিনীতে আসা যাক । অ্যাকশন অ্যাকশন ডাইরেক্ট অ্যাকশন... 

১) একজন কার্টুনিস্ট/কমিক আর্টিস্ট/ইলাস্ট্রেটর হিসেবে কি কি করার সুযোগ আছে ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেসে

এডিটরিয়াল কার্টুন, ফিচার কার্টুন, কমিক্স স্ট্রিপ, ক্যারেক্টার ডিজাইন, কারটুনাইজড লোগো/ফ্লাইয়ার/বুকলেট এসব, কমিক্স বুক, ইলাস্ট্রেশন, চিল্ড্রেন বুক, ফ্ল্যাট ইলাস্ট্রেশন, ক্যারিকেচার, অ্যাভাটার, কোম্পানি মাস্কট, পোর্ট্রেট ......... কিছু কি বাদ রেখেছি? (চিন্তিত ইমো হবে) 
 এইসব কাজ কি পারেন আপনি? যদি পারেন তবে শয়ে শয়ে কাজ ওয়েট করছে আপনার জন্য।  (হাজার হাজার বলি নাই কারন মার্কেটপ্লেস একটু টাফ :3)
  • এসবের সাথে যা জানা থাকলে সুবিধা পাবেন;

ফ্রিল্যান্স মার্কেটে শুরুর দিকে কাজ পাওয়া একটু নয়, বেশ কষ্টকর। তাই শুধুমাত্র কার্টুন কমিক্স ক্যারিকেচারের উপর ভরসা করে এগিয়ে যাওয়া একটু টাফ ব্যাপার হবে মার্কেটে টিকে থাকার জন্য। আপনি যদি হালকা পাতলা গ্রাফিক ডিজাইন জেনে থাকেন তবে সেটা প্লাস। এই যেমন ধরেন, ছোটখাটো লোগো, আইকন, লিফলেট,বিজনেস কার্ড ইত্যাদি। এসবের কাজ অনেক থাকে। এইসব কাজ জানা থাকলে কাজ পাওয়া তুলনামুলক সহজ। এসব কাজ করে করে রেটিং বাড়ালেন এরপর যখন বেশ কিছু কাজ করে ফেলবেন তখন আপনার মেইন যে কাজগুলি(কার্টুন কমিক্স এইসব) সেগুলিই করলেন। ক্লায়েন্ট ও আপনার আগের কাজের রিভিউ দেখে বুঝতে পারবে আপনি আপনার কাজের ব্যাপারে কতটুকু সিনসিয়ার আর ক্লায়েন্টদের ডিমান্ডকে কতটুকু কেয়ার করেন।

২) যা যা দরকার হবে শুরু করার জন্য 
  • আপনার স্কিল 
  • গুছানো পোর্টফলিও
  • কম্পিউটার আর ভাল ইন্টারনেট কানেকশন
  • ডিজিটালি কাজ করতে চাইলে গ্রাফিক ট্যাব আর ট্র্যাডিশনালি কাজ করতে চাইলে স্ক্যানার আর আঁকাআকির টুলস
  • ইংলিশে ফ্লুয়েন্ট চ্যাটিং আর কথা বলার ভাল স্কিল। কথা বলার খুব একটা দরকার পড়েনি আমার।
  • কমিউনিকেশন স্কিল
  • ধৈর্য। এটাই সবচেয়ে বেশি দরকার। নতুন নতুন মার্কেটপ্লেসে কাজ পাওয়া খুব সহজ না। আর ক্লায়েন্ট হ্যান্ডেলিং ও একটু কঠিন আছে। আমার প্রথম জব পেতে তিন মাস সময় লেগেছিল। আর তৃতীয় জব এর পেমেন্ট পেয়েছিলাম সাত পাউন্ড। (সাতশ টাকার মতো) ধৈর্য ধরে এগোতে থাকলে একদিন দেখবেন কোন ধরনের ক্লায়েন্টের সাথে কিভাবে কথা বলতে হয় শিখে যাবেন। 

আপাতত এগুলিই। 

৩) ডিজিটাল নাকি ট্র্যাডিশনাল মিডিয়াম ? কোন সফটওয়্যার এর কাজ জানা থাকতে হবে?
দুই মিডিয়ামেরওই চাহিদা আছে। ওয়াটার কালার পোর্ট্রেটএর ক্লায়েন্ট, পেন্সিল স্কেচের ক্লায়েন্ট, ডিজিটাল ড্রয়িং এর ক্লায়েন্ট সব ধরনের ক্লায়েন্টই আছে ফ্রিল্যান্স মার্কেটে। সফটওয়্যার স্কিলের ক্ষেত্রে বলব ফটোশপ, ইলাস্ট্রেটর (ভেক্টর সফটওয়্যার), ক্লিপ স্টুডিও, ইন-ডিজাইন, ফ্ল্যাশ... যে সফটওয়্যারে আপনি কাজ করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন সেটাই লাগবে কাজ নামানোর জন্য। ভেক্টর সফটওয়্যার এর কাজ জানা থাকা মাস্ট বলে মনে করি আমি যদি আপনি আর্ট ফিল্ডে ফ্রিল্যান্সিং করতে চান। এটা জানা না থাকলে আপনি অনেক কাজ পেয়েও হারানোর সম্ভাবনা আছে। 

৪) পোর্টফলিও
একজন বিগিনার হিসেবে কারো পোর্টফলিও তেমন একটা রিচ হওয়ার কথা না আসলে। এরপরেও কিছু না কিছু নিয়ে মাঠে নামতে হবে। মনে করেন একজন মাল্টি আর্টিস্ট হিসেবে আপনি কার্টুন, ক্যারিকেচার, চিল্ড্রেন বুক, ইলাস্ট্রেশন আর ক্যারেক্টার ডিজাইন এই পাঁচটি কাজ পারেন। এখন আপনি আপনার এই পাঁচটি সেকশনের জন্য পাঁচটি করে কাজ রেডি করেন। টোটাল পঁচিশটি কাজ।
এই পঁচিশটি কাজ হবে আপনার সাধ্যের মধ্যে সেরা কাজগুলি। কোনরকমে তাড়াহুড়ো করে নামিয়ে দেওয়া কাজ না। এর মধ্যে মনে করেন একটা চিল্ড্রেন বুকের প্রজেক্টে প্রপোজাল পাঠাবেন। তখন আপনি চিল্ড্রেন বুকের উপর করা আপনার ওই পাঁচটা কাজ ক্লায়েন্টকে দেখাবেন। এক্ষেত্রে পাঁচটা কাজের স্টাইলে ভ্যারিয়েশন থাকলে ভাল। ক্লায়েন্ট কাজ দেখে বুঝতে পারবে আপনি বিভিন্ন স্টাইলে কাজ করতে পারেন। মনে রাখবেন আপনি এই কাজগুলি ফেসবুকে বন্ধুদের দেখাচ্ছেন না যে কেউ দেখেই লাইক মেরে বলবে "নাইস হয়েছে দোস্ত। তুই জোশ!"। এই কাজগুলি আপনি দেখাচ্ছেন ক্লায়েন্টকে যে আপনাকে পে করবে কাজের জন্য। তাই পোর্টফলিও এর জন্য যে কাজগুলি করবেন সেগুলি আপনি সময় নিয়েই করবেন যাতে একজন পটেনশিয়াল ক্লায়েন্ট আপনার কাজ দেখে আপনাকে দিয়ে কাজ করানোর কথা ভাবতে পারে। এভাবে বিভিন্ন ধরনের কাজের জন্য পোর্টফলিও রেডি রাখুন।

(আমার ফ্রিল্যান্স সাইটের পোর্টফলিও তে আমার কাজের পাশাপাশি আমার প্রিয় একজন আর্টিস্ট+মেন্টর আসিফ ভাইয়ের কাজও আছে। আমি ক্যারিকেচার পারিনা, পেইন্টারলি স্টাইলের কমিক্সের কাজগুলি পারিনা। তাই এই ধরনের কাজগুলি পেলে আমি আসিফ ভাইয়ের কাজ দেখাই ক্লায়েন্টকে। ক্লায়েন্ট রাজি হলে কাজ নিয়ে আসিফ ভাইয়ের কাছে চালান করে দেই। প্রাইমারি লেভেলে এই কাজটা না করাই ভাল। কারন বুঝতে একটু সময় লাগবে।) 

৫) কোন সাইটে কাজ করবেন, অ্যাকাউন্ট করা এবং পেমেন্ট কিভাবে নেবেন এইসব
ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেস অনেক আছে। Freelancer, Upwork, People Per Hour, Fiverr, 99designs....... সহ আরো অসংখ্যা। একেকটা মার্কেট প্লেসে একেকরকম ভাবে কাজ করতে হলেও মোটামুটি বেসিকটা সবার এক। আমি কাজ করি People Per Hour (PPH) আর Fiverr এ।
এইসব সাইটে কেউ কাজ করতে চাইলে বুদ্ধিশুদ্ধি দিয়ে হেল্প করতে পারবো।
অন্যান্য সাইটগুলিতে অনেকে কাজ করে। উনাদের কাছ থেকে চাইলে কেউ শিখে নিতে পারেন। আর শিখতে চাইলে গুগল ইউটিউব তো আছেই!
পেমেন্ট নেওয়ার জন্য আছে ব্যাংক ট্রান্সফার, পেয়োনিয়ার, পেপ্যাল এসব। পেপ্যালের কথা জানিনা ঠিক। কখনো ট্রাই করিনি। আমি পেয়োনিয়ার এর মাস্টারকার্ড ইউস করি। আমি যেদুটি মার্কেটপ্লেসে কাজ করি ওরা পেয়োনিয়ার সাপোর্ট করে। আর পেয়োনিয়ার অফিশিয়ালি বাংলাদেশে স্বীকৃত। ক্লায়েন্টের কাছ থেকে পেমেন্ট পেলে সেগুলি সাইটে জমা হয়। সেই ব্যালেন্স যখন প্রয়োজন হয় তখন 
আমার পেয়োনিয়ার অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার করে ফেলি। যেহেতু মাস্টার কার্ড সো ডিবিবিএল ব্র্যাক এইসব ব্যাংকের বুথ থেকে টাকা তোলা যায়। 

৬) আমি যেভাবে প্রপোজাল পাঠাই
আপওয়ার্কে আমি কাজ করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু বুঝতে পারিনি কিভাবে কি করতে হয়। ফাইভার আর পিপল পার আওয়ারে আমি কাজ বুঝেছি তুলনামূলক সহজেই।
ফাইভারে প্রপোজাল পাঠানো যায় কিনা আমার আইডিয়া নেই। ওখানে আছে Gig সিস্টেম। গিগ মানে সহজ ভাষায় প্যাকেজ । মনে করেন আপনি ক্যারিকেচার করবেন। তাহলে স্যাম্পল সহ একটা গিগ বা প্যাকেজ দিবেন। সেখানে আপনি আপনার কাজের স্যাম্পল দেবেন। সাথে দেবেন প্যাকেজ । এই যেমন ৫ ডলার হলে আপনি সিম্পল কার্টুন বা ক্যারিকেচারের লাইনআর্ট করবেন। দশ ডলার হলে কালার সহ করবেন। পনেরো ডলার হলে ফুল ফিগার করবেন। এরকম অফার দিয়ে দেবেন। গিগে দেওয়া থাকবে আপনি কতদিনে এই গিগ ডেলিভারি দিতে পারবেন। কোন ক্লায়েন্টের যদি আপনার অফার ভাল লাগে তবে আপনার গিগে আপনাকে মেসেজ পাঠাবে। এরপর ক্লায়েন্টের সাথে কথা বলে ঠিকঠাক হলে কাজটা কনফার্ম করবেন।  

"পিপল পার আওয়ার" এর ক্ষেত্রে আমার ফিল্ডের জব ব্রাউজ করতে থাকি। মনে করেন একটা জব পেলাম "I need a comic book artist to draw my superhero comics"
তখন আমি সেই জবের ডিটেলস পড়ে দেখি, স্যাম্পল কমিক্স থাকলে তাও দেখি। এরপর যদি মনে হয় এই কাজটা আমি করতে পারব তখন নিজের যে পেমেন্ট পেলে পোষাবে সে আমাউন্টটা দিয়ে প্রপোজাল পাঠাই। প্রপোজাল পাঠানোর ক্ষেত্রে আমি সরাসরিই বলি আমি একজন কমিক বুক আর্টিস্ট। আর আমার কাজের স্যাম্পল হিসেবে বিভিন্ন স্টাইলে করা আমার চারটা কমিক্সের পেজ পাঠাই। করার জন্য কতদিন সময় দেওয়া হবে, কি কি ফরম্যাটে, সাইজে কাজটা ডেলিভারি দেওয়া লাগবে, আঁকার জন্য কোন স্টাইল সাজেশন আছে কিনা এসব জিজ্ঞেস করি। আর সবশেষে আমার প্রোফাইল ভিজিট করে আমার রিভিউ দেখার জন্য আমন্ত্রন জানাই যাতে সে আমার অন্যান্য কাজগুলি আর আমার পুরনো ক্লায়েন্টদের রিভিউগুলি দেখে বুঝতে পারে আমার সার্ভিস কিরকম। 

  • আমি প্রপোজাল পাঠানোর সময় যা করি
    জব ডিটেলস ভালমতো পড়ে দেখি, ক্লায়েন্টের দেওয়া স্যাম্পল দেখি, ডেডলাইন, বাজেটের কথা প্রপোজাল লেটারে জিজ্ঞেস করি, ক্লায়েন্ট রেসপন্স দিলে সে কি চাচ্ছে সেটা কথা বলে অথবা স্যাম্পল দেখাতে বলে ক্লিয়ার হয়ে নেই।
  • আমি প্রপোজাল পাঠানোর সময় যা করিনা
    যে কাজের জন্য প্রপোজাল পাঠাচ্ছি সেটার রিলেটেড ছাড়া অন্য স্যাম্পল পাঠাইনা। মনে করেন আমি বিজনেস কার্ড ডিজাইনের কাজে প্রপোজাল পাঠাচ্ছি। তখন আমি প্রপোজালে বলি আমি গ্রাফিক ডিজাইনার। আমি যে কার্টুন কমিক্স পারি তা উল্লেখ করিনা বা তার স্যাম্পল দেইনা। আমি জাস্ট আমার করা বিজনেস কার্ড ডিজাইনের স্যাম্পল দেই। ক্লায়েন্টের সাথে কথা বলে যদি দেখি ডেডলাইন খুব কম কিন্তু আমার হাতে অন্য কাজ আছে। অর্থাৎ কাজটা নিলে ঠিক সময়ে করতে পারবোনা। তখন কাজটা আমি নেইনা। কারন ঠিক সময়ের মধ্যে ডেলিভারি দিতে না পারলে বাইরের ক্লায়েন্টরা খুশি হয়না। ব্যাড রিভিউ দেয়। তখন পোলাইটলি বলে দেই দুঃখিত কাজটা আমার পক্ষে করা সম্ভব না। অন্য কোন ট্যালেন্টেড সেলার কে খুঁজে নেন কাইন্ডলি।

৭) মার্কেটপ্লেসে আমি যা করি আর করিনা

  • যা করি 
    * যে কাজটা পারি সেটার জন্যই প্রপোজাল পাঠাই
    * ক্লায়েন্টের ডিমান্ড সম্পর্কে প্রপোজাল ফাইনাল করার আগেই কথাবার্তা বলে নেই।
    * ক্লায়েন্টের সাথে খারাপ ব্যাবহার করিনা যত পেরাই দিক না কেন।
    * ক্লায়েন্টের সাথে ফ্রেন্ডলি রিলেশন বিল্ড করার চেষ্টা করি। স্যার বস এইসব ডাকার ধারেকাছেও যাই না আমি। প্রপোজালে সরাসরি অ্যাড্রেস করি "Hello Bob, this is Romel...." এভাবে। কোন ক্লায়েন্টের যদি আপনার কাজ আর ব্যাবহার ভাল লেগে থাকে তবে সে তার নেক্সট কাজের জন্যও আপ্নাকেই হায়ার করার চেষ্টা করবে।
    * ৭০-৮০% অ্যাডভান্স নিয়ে রাখি কাজ কনফার্ম করার সময়।
  • যা করি না
    * যদি দেখি একটা কাজ করা সম্ভব নয় বা হাতে সময় নেই তবে কাজ নেইনা। কোন ক্লায়েন্ট নিজ থেকে যোগাযোগ করলেও না।
    * ডেডলাইন মিস করিনা। বাইরের ক্লায়েন্টরা ডেডলাইনের ব্যাপারে খুবই সেনসিটিভ। কখনোই আমি ডেডলাইন মিস করিনি। করা উচিতও না।
    * ক্লায়েন্টের সাথে সব যোগাযোগ মার্কেটপ্লেসেই করি। অন্য কোন মাধ্যমে(স্কাইপ, ইমেইল এসব) যোগাযোগ ক্লায়েন্ট চাইলেও করিনা। এটা করলে মার্কেটপ্লেস থেকে ব্যানড হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। কারন মার্কেটপ্লেস কখনোই চাইবেনা তার ক্লায়েন্ট তার সাইট থেকে বাইরে গিয়ে একজন ফ্রিল্যান্সার এর সাথে যোগাযোগ করুক। এতে তারা তাদের কমিশন পাবেনা। এটা ছাড়াও আরেকটা কারন আছে। সিকিউরিটি। একজন ক্লায়েন্ট এর জন্য কাজ করলেন। কাজ করার আগে অ্যাডভান্স নিয়ে রাখলেন। সেইতার নিশ্চয়তা দেবে সাইট। বিনিময়ে সাইট একটা কমিশন নেবে। কিন্তু আপনার টাকা মার যাবেনা। সাইটের বাইরে গিয়ে কাজ করলে ক্লায়েন্ট আপনার টাকা না দিয়ে ভেগে যেতে পারে।
       
৮) কাজ যেভাবে করি আর ডেলিভারি যেভাবে দেই
কোন ক্লায়েন্ট যদি কথাবার্তা বলার পর আমার প্রপোজাল অ্যাকসেপ্ট করে তবে তার কাজ করা শুরু করি। কাজের প্রগ্রেস দেখাই ডেইলি অথবা টাইম টু টাইম ডেডলাইনের উপর নির্ভর করে। ক্লায়েন্টের সাজেশন নেই ফিডব্যাক নেই। এরপর কোন কিছু চেঞ্জ করার দরকার পড়লে প্রাইমারি(স্কেচ) লেভেলেই করি। সবশেষে ক্লায়েন্ট যখন বলে "Great Work Romel." তখন ফাইনাল ফাইল ডেলিভারি দেই।  অবশ্যই আমি চেষ্টা করি ক্লায়েন্ট যাতে কাজ পেয়ে খুশি হয়। কারন নতুন ক্লায়েন্টের সাথে কাজ করার সময় আমার ইনটেনশনই থাকে যাতে সে পরের কোন কাজের জন্যও আমাকে হায়ার করে। কাজ ডেলিভারি দেওয়ার পর পেমেন্ট নেই আর বলি "See you soon Bob."
কাজ শেষ করার পর একটা উড়াল দিয়ে আসি। :D

দেশি ফ্রিল্যান্স কাজ করতে চাইলে বেশ ভাল কিছু টিপস পাবেন মেহেদী ভাইয়ের এই পোস্টে আর এই পোস্টে । আমি নিজে এগুলি মেনটেন করার চেষ্টা করি দেশি কাজের ক্ষেত্রে। মাঝখানে অফিস জবের কারনে প্রায় দেড় বছরের মতো আমি অনিয়মিত ছিলাম বাইরের ফ্রিল্যান্স মার্কেটে। এই বছর থেকে আবার শুরু করেছি। আমার পিপল পার আওয়ার এর প্রোফাইল দেখতে চাইলে ব্লগের ডানদিকের উপরের কোনায় লিংক আছে। গিয়ে ঘুরে আসতে পারেন।  :D

আজ এই পর্যন্তই। নিজের এক্সপেরিয়েন্স থেকে যতটুক মাথায় আসে লিখার চেষ্টা করলাম। এরপরেও যদি কারো কিছু জানার থাকে তবে কমেন্টে জানান। আমি আমার যথাসাধ্য চেষ্টা করবো হেল্প করার। আর কারো যদি কিছু জানানোর থাকে তবে তো কথাই নেই। :D অগ্রিম ধন্যবাদ আর চা এর আমন্ত্রন। 







Sunday, May 6, 2018

Fan Art: Batman

After a long time drew something only for me and studied some technique in work break. Been following Marco Bucci's tutorials for months and finally got some time and courage to concentrate on applying one of them. This technique was fun. Look forward to do more fan art with this technique.

I shared this on AKANTIS and got this correction from Asif bhai.
I messed up the piece at value design.


BANCARAS - Wacom Exhibition 2018

গত মাসে বাড়ি থেকে ঘুরে আসার পর থেকেই চরম ব্যস্ততায় দিন কাটছে। দেশি বিদেশি ফ্রিল্যান্স প্রজেক্ট, রস আলো, কিশোর আলো, প্রসূন এর ওয়াটারকালার ওয়ার্কশপ সব মিলিয়ে দম নেওয়ার সময় পাচ্ছিনা। এই মাসের তিন তারিখ থেকে পাঁচ তারিখ পর্যন্ত মোট তিনদিন  দৃক গ্যালারিতে হয়ে গেলো BANCARAS - Wacom young cartoonist award and Exhibition 2018 নামে কার্টুন প্রদর্শনি। এই প্রথম ওয়াকম অফিশিয়ালি বাংলাদেশি কোন ইভেন্টকে স্পন্সর করলো। এক্সিবিশনে আমার দুটি আর্টওয়ার্ক স্থান পেয়েছিল। তাও লেট সাবমিশন। ক্যাটাগরি ছিল মোট তিনটা, Future of Art, Caricature আর Free theme.
ফিউচার অফ আর্টে বিজয়ী নাজমুস সাকিব, ক্যারিকেচারে প্রসূন হালদার আর ফ্রি থিমে বিজয়ী সালমান সাকিব শাহরিয়ার। প্রথম দুইদিন গিয়েছিলাম। শেষের দিন যেতে পারিনি একটা ফ্রিল্যান্স প্রজেক্টের সাবমিশন ছিল বলে। ক্যারিয়ারে এটা দ্বিতীয়বারের মতো কোন এক্সিবিশনে আমার অংশগ্রহন ছিল। বরাবরের মতোই প্রথম দুইদিনেই বেশ মজা পেয়েছিলাম। পরিচিত আর্টিস্টদের সাথে দেখা হওয়া, চা আর আড্ডা, ওর এক্সিবিশনে আসা, বন্ধুদের সাথে দেখা হওয়া সব মিলিয়ে দারুন। কিছু ছবি আপ করে রাখি।
ব্রোশিউর
প্রথম দিনে আমি আর সব্য দুপুরেই চলে গেলাম মেহেদী ভাইয়ের ডাকে। গিয়ে টুকটাক হেল্প করলাম ফ্রেমড আর্টওয়ার্ক গুলি অরগানাইজের কাজে। এক ফাঁকে আমরা এক চিপায় গিয়ে ভুনা খিচুড়ি আর চা খেয়ে এলাম।

বস আহসান হাবিব আর বানকারাস এর প্রেসিডেন্ট বেনু ভাই
সেলফি সেলফি।
(আবু ভাইয়ের ফেসবুক ওয়াল থেকে নেওয়া ছবি)
এক্সিবিশন মাত্র শুরু হল 
মিতু আপু, মাতাভ, সালমান আর মেহেদী ভাই 
পরাগ, আহনাফ ভাই, তীর্থ ভাই, আমি আর সব্য
আমার সাবমিশনঃ ০১
আমার সাবমিশনঃ ০২
Post apocalyptic Virtual Reality
Category: Future of art
Inspiration: Moebius
SM Sultan
Category: caricature 
(এটা একদম এক্সিবিশনের আগের রাতের তারাহুরা সাবমিশন। মেহেদী ভাই বললেন আঁকা পাঠাও। আমিও একটা ট্র্যাডিশনালি আঁকা এসএম সুলতানের ক্যারিকেচারের উপর ধুমধাম জিপেন চালিয়ে পাঠিয়ে দিলাম।)
দ্বিতীয় দিন ছিল লাইভ ক্যারিকেচার এর আয়োজন

লাইভ ক্যারিকেচার