Saturday, January 20, 2018

জন্মদিন!

ঘটনাক্রমে আজ আমার জন্মদিন। :D অনেকেই জিজ্ঞেস করছে কি করছি, পার্টি দিচ্ছি নাকি হেনতেন। আমি দাঁত কেলিয়ে বলছি ছবি আঁকছি। আহমাদ ভাইয়ের বইয়ের কাজ আমার মাথায় সিন্দাবাদের ভুতের মতো চেপে বসেছে।  কাজ করছি তো করছিই তার আর শেষ নাই।
আজ আবার গেলাম স্টুডিওতে। কিছু মিষ্টি নিয়ে গেলাম গুরু আর মিতু আপুর জন্য। ভাগ্য ভাল। মিতু আপু রাজশাহী ব্যাক করবে বলে বের হচ্ছিলো । পেয়ে গেলাম। মিতু আপু যাওয়ার পর কিছুক্ষণ কাজ করলাম রূপকথার কমিক্সটি নিয়ে। এরপর একটা ফ্রিল্যান্স লোগো ডিজাইন নিয়ে কাজ করলাম আর মেহেদী ভাইয়ের সাথে টুকটাক আড্ডা। এই আড্ডাগুলি বেশ কাজের। আড্ডার ফাঁকেই আর দীপিকার মোড়ের টংয়ের দোকান গুলিতে চা খেতে খেতেই গুরু শেখান এটাসেটা, এই ট্রিক ওই ট্রিক, কোন পডকাস্ট শুনতে হবে, কোন টিউটোরিয়াল দেখতে হবে, এনভায়রনমেন্ট  স্টাডি এসব আর আমি জীবন ধন্য এই খুশিতেই লাফ দেই মনে মনে। আজ একটা নতুন বিষয় সম্পর্কে জেনেছি। বিষয়টা হচ্ছে Pomodoro Technique . প্রোডাক্টিভিটি বাড়ানোর একটা মেথড। বাসায় এসে অ্যাপ্লাই করে দেখছি মেথডটা। আর খেয়াল করলাম আসলেই বেশ কাজের জিনিস। :D
স্টুডিও থেকে বের হয়ে নিচের মার্কেটের নতুন চালু হওয়া ঝিল রেস্টুরেন্টে বসে নান আর গ্রিল চিকেনের জন্য ওয়েট করতে করতে গুরু এই ক্যারিকেচারটি এঁকে দিলেন বার্থডে গিফট হিসেবে। আহা XD  

বন্ধু অ্যাড্রিয়েনের আঁকা গিফট
জুনিয়র স্বর্ণাভ এর আঁকা গিফট।


কাল রাতে কাজ করছিলাম। দেখি ফেসবুকে বন্ধু চুইল্লা আসিফের মেসেজ। শালা মালয়েশিয়া থেকে উকুলেলে তে হ্যাপি বার্থডে এর সুর তুলে ভিডিও করে পাঠিয়েছে। মনটাই ভাল হয়ে গেলো। সারারাত আর আজ সারাদিন ছিল ফোন, ফেসবুক আর ইন্সটাগ্রামে শুভকামনা আর বার্তা। লাইফ ইজ গুড। B{

Friday, January 19, 2018

সবাই একখানে :D

গতকাল স্টুডিওতে গেলাম মেহেদী ভাইয়ের কাছ থেকে রুপকথার কমিক্সের কাজটা বুঝে নেওয়ার জন্য। কাজ বুঝে নিয়ে অন্যান্য বিষয়ে আলাপ করছিলাম। একে একে উপস্থিত হলেন মিতু আপু, সম্পদ ভাই আর আসিফ ভাই। হুইহুই আড্ডা শেষে সম্পদ ভাইয়ের বাইকে চেপে চলে এলুম বাসায়। ঢাকা কমিক্সের প্রায় সবাইকেই একসাথে পেয়ে সেলফি খিঁচার চান্স মিস করলামনা!
প্রাক্তন কলিগ (দৈনিক যুগান্তর) আহমাদ উল্লাহ ভাইয়ের একটি ছড়ার বইয়ের ইলাস্ট্রেশনের কাজ দিয়েছেন এইবারের বইমেলার জন্য। ৭২ টি কার্টুন+ইলাস্ট্রেশন করতে হচ্ছে ওটার জন্য। আমার জান বেরিয়ে যাচ্ছে। হাতে সময় আছে মাত্র তিন-চার দিন। সাথে আছে শিশু অ্যাকাডেমীর রুপকথা কমিক্সের কাজ। জীবন চাপ-ময় সুন্দর :{ 

Sunday, January 14, 2018

Winter Winter

গত কদিনে বেশ কিছু ব্যাপার ঘটে গিয়েছে।
প্রথমত আমি আর "দৈনিক যুগান্তর" এ কাজ করছিনা!
দ্বিতীয়ত কনসেন্ট্রেশন পুরোপুরি কমিক্সে দেব বলে ভাবছি।
মোটামুটি ব্যাস্ততা দিয়েই ২০১৮ শুরু হলো। মেহেদী ভাইয়ের আঁকা ছোটকাকু কমিক্স এর কালার শেষ করলাম কাল। আহমেদউল্লাহ ভাইয়ের ছড়ার বইয়ের কাজ ধরিয়ে দিয়েছেন উনি। যেটা এবারের বইমেলায় প্রকাশিত হবে। ওটার কাজ করছি। নতুন একটা প্রজেক্ট নিয়ে ভাবছেন গুরু। ওটার একটা পার্ট আমাকে করতে বলছেন। আমি এক্সাইটেড। ওটার জন্যও পড়াশুনা শুরু করেছি। দেখা যাক কি হয়। পাশাপাশি ইদানীং কাটছে পার্সপেক্টিভ, কম্পোজিশন আর কয়েকজন সিলেক্টিভ আর্টিস্ট এর কাজ স্টাডি করে। কমিক্সের ক্ষেত্রে আঁকার স্টাইলে চেঞ্জ আনার প্রয়োজনিয়তা টের পাচ্ছি। 
শীতকালের সমস্যাঃ ০১
শীতকালের সমস্যাঃ ০২
গত রাতে কাজ করার ফাঁকে মুহম্মদ জাফর ইকবাল স্যার এর "কাবিল কোহকাফী" পড়তেসিলাম। এমন সময় রনবী স্যারের আঁকা কাবিল কোহকাফী দেখছিলাম মুগ্ধ হয়ে আর কাবিল এর এই রূপ আমার মাথায় পপ করে। এমনি এমনিই করা হাল্কা স্ক্রিবলটাকে প্রসুনের সাথে ফোনে কথা বলতে বলতে পেন্সিলিং করে ফেলি। পড়ে ধুপধাপ পেন আর ইঙ্ক ।

Saturday, January 6, 2018

২০১৮ এর প্রথম ব্লগপোস্ট

দুপুরে নাইম এর ফোন কল পেয়ে ঘুম ভাঙল। রোমেল ভাই ঢাকা কমিক্স স্টুডিওতে যাচ্ছি। ডিরেকশনটা দেন। ওকে ডিরেকশন দিয়েই আমিও লাফ দিয়ে বিছানা ছাড়লাম। স্নান করে খেয়েদেয়ে আমিও রওনা দিলাম স্টুডিওর উদ্দেশ্যে। সাথে নিলাম এ বছরের বইমেলার নতুন কাজটার পাণ্ডুলিপি। উদ্দেশ্য মেহেদী ভাইকে দেখানো। কারন কাজটা নিয়ে একটু কনফিউজড আমি। ওটা নিয়ে একটু আলোচনা করা। ওখানে গিয়ে দেখি মিতু আপু মেহেদী ভাই আর নাইম এর দারুন আড্ডা চলছে। কিছুক্ষণ পর আসিফ ভাই আসলেন। এরপর সবাই মিলে জম্পেশ আড্ডা। আসিফ ভাই নাঈম এর নতুন আইপ্যাড প্রো তে অ্যাপল পেন্সিল দিয়ে ঝটপট আমাদের বাকি চারজনের চারটা ক্যারিকেচার করে ফেললেন এই ফাঁকে। :D সন্ধ্যা হয়ে গিয়েছিল তাই এরপরেই সবাই বেরিয়ে আজমীর হোটেল এর ডাবল মোগলাই আর চা পান। হোটেল থেকে বের হয়েই দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে আরেক প্রস্থ আড্ডা। মেহেদী ভাই আর মিতু আপু চলে গেলো কোথাও এক কাজে, আসিফ ভাই বাসায়, আমি আর নাঈম চলে এলাম আমাদের এলাকায়। এসে চা সিগারেট খেয়ে সোজা আমার বাসায়। আবার আমার আর নাঈম এর আড্ডা। এই পাবলিকটার সাথে আড্ডা দিতে মজা পাই। আড্ডার টপিকের কোন শেষ নাই।   কমিক্স, মুভি, ফেভারিট আর্টিস্ট, ধর্ম, কালচার, আর্ট কালচার, ঘুরে বেড়ানো, নতুন গল্পের প্লট কি নাই টপিকে! আড্ডা শেষে নাঈম চলে গেলো তার বাসায় আর আমায় দিয়ে গেলো চনমনে একটা দিন। আমার ক্যারিকেচার এঁকে দিয়ে। :D
আজমীর হোটেলের সামনে আড্ডা শেষে সেলফী।
জানুয়ারি,১৮ স্কেচবুকে নাঈমের হাতে আঁকা  আমার ক্যারিকেচার।
নাঈমের আইপ্যাডে আমার আঁকা ওর ক্যারিকেচার।