Friday, June 30, 2017

ঈদের পর স্টুডিও || দৈনন্দিন কড়চা

সকালে কল করে ঘুম ভাঙাল সম্রাট। দরজা খুলে দিয়েই আবার ঘুমিয়ে পড়লাম। দুপুরে ওর হাঁকডাকে ঘুম ভাঙল। খেয়েদেয়ে সম্রাট চলে গেলো নন্দিতা কে পিক করবে বলে। আমি রুমে এসে বসেছি মাত্র এমন সময় মাহাতাব কল করে বলল স্টুডিওতে চলে আসেন রোমেলদা। আসিফ ভাইও আছে। স্নান করেই বের হয়ে গেলাম। এমনিতেই একটু একঘেয়ে লাগছিলো... স্টুডিওতে গিয়েই আড্ডা, অনগোয়িং কমিক্স আর ড্রয়িং টেকনিক নিয়ে আলোচনা, গান শোনা। আসিফ ভাই নেপাল থেকে ঘুরে দেশে এসেছে গতকাল। একগাদা কমিক্স আর জিনিসপাতি কিনে এনেছে। আর নেপাল স্কেচবুক। আমি আর মাতাভ উলটেপালটে দেখলাম সব। মাহাতাবের পিচ্চি স্কেচবুকে দাগালাম দুজনে।

ঈদ পরবর্তী অফিশিয়াল সেলফি :v

সন্ধ্যার দিকে তিনজনেই স্টুডিও থেকে বের হয়ে দড়িছিঁড়া হাঁটা শুরু। হেঁটে হেঁটে চলে গেলাম মেহেদী ভাইয়ের অফিসে। ওখান থেকে সবাই মিলে সোজা "বিগ বাইট" রেস্টুরেন্টে। খেয়ে দেয়ে আড্ডা দিয়ে আবার চা পর্ব। এরপর মাহাতাব চলে গেলো ওর বাড়িতে আর আসিফ ভাই চলে গেলো ধানমন্ডিতে উনার বন্ধুর বিয়েতে। আমি আর মেহেদী ভাই সিএনজি নিয়ে চলে এলাম। মেরুল থেকে মিতু আপুকে পিক করা হলো। আর আমি অলক বিরিয়ানি হাউস এর তন্দুর রুটি-মুগ ডাল মেরে দিয়ে চলে এলাম বাসায়। সিএনজি তে বাড়ি ফেরার সময় বসে বসে অ্যানাটমি, কমিক্স আর অ্যানিমেশন নিয়ে টিপস পেলাম মেহেদী ভাইয়ের কাছ থেকে। নেক্সট টার্গেট অ্যানিমেশন। :D  সবাই মিলে আস্তে আস্তে শেখার কথা বলছেন গুরু। এর মধ্যেই উনি আর আসিফ ভাই কিছুটা এগিয়ে গিয়েছেন। আমাকে আর মাহাতাব কে বলছেন শুরু করে দিতে। আপাতত এটাও টুকটাক ধরতে হবে। আর বেসিক এর জন্য তো গুরুরা আছেনই। এক জীবনে কত কি যে চাওয়া। কিছু চাওয়া পুরন হয়ে গিয়েছে!

Wednesday, June 28, 2017

ভোল্‌গা থেকে গঙ্গা

রাহুল সাংকৃত্যায়ন এর এই বইয়ের কথা প্রথম জেনেছিলাম মেহেদী ভাইয়ের একটা রিভিউ পোস্ট থেকে। বইটা নীলক্ষেত থেকে সংগ্রহ করার পর অনেকদিন পড়ে দেখা হয়নি। গত মাসের শেষ/এ মাসের শুরুর দিকে পড়া শুরু করেছিলাম। জাস্ট দারুণ... পড়তে যাই আর প্রায় কয়েক পেজ পরপরপই কয়েকবার করে গুগল আর উইকিপিডিয়া ঘাঁটি। অসাধারণ ইনফরমেটিভ একটি বই আর গল্প বলার ধরন পুরোই অন্যরকম। এরকম আরেকটি বই পড়েছিলাম পলিটেকনিকে পড়াকালিন সময়ে। সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় এর "সেই সময়" । এই বইটিও এরকমই। গল্প বলার ধারায় ইতিহাস বলেছেন সুনীল বাবু। আমি সাধারনত একটু স্পিডী রিডার। কিন্তু এই বইটি আস্তে আস্তে সময় নিয়েই পড়ছি। পড়া শেষ হলে আবার পড়তে হবে। "সেই সময়" কিনে এনে রেখেছি আবার পড়ব বলে।

Monday, June 26, 2017

June Diary

এই মাসটা মোটামুটি প্রোডাকটিভ ছিল আমার জন্য। অফ ডে মানেই কিছু না কিছু আঁকছি, শিখছি, ভুল খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি, গল্প নিয়ে ভাবছি (ওয়াশরুমে গেলেই গল্প নিয়ে বেশি ভাবা হয় সাধারনত :D) আরো ব্লাহ ব্লাহ ব্লাহ । জেশ্চার নিয়ে প্রবলেম ছিল (এখনো আছে) । সেটা একটু কাটিয়ে উঠেছি। প্রতিদিন প্র্যাকটিস এর রেজাল্ট ভয়াবহ। আর প্রতিদিনই ইংক আর ওয়াটারকালারে কিছু না কিছু এঁকে স্কেচবুকের পাতা ভরাচ্ছি। স্কেচবুকের ইংকিং এ ইদানীং ইন্সপাইরেশন Jim Mahfood এর আর্টওয়ার্ক গুলি। উনার আঁকাগুলি দেখি আর তাব্দা খাই! অনেক রকম স্টাইলেই আঁকেন উনি। তবে উনার রাফলি করা ইংক আর কালারের কাজগুলি অসাধারণ লাগে। দেখে মনে হয় কোনরকমে এঁকেছেন কিন্তু দেখতে ভাল লাগে। ওভাবে ইদানীং আঁকতে গিয়ে টের পেলাম ব্যাপারটা বেশ কঠিন বটে! অ্যানাটমি আছে আবার নাই! যাই হোক ওভাবে আঁকতে গিয়ে টের পেলাম মজা আছে ব্যাপারটায়। ইচ্ছে মতো পেন আর ইঙ্ক দিয়ে দাগানো আর রং ঢালা। একটা ফ্রিডম পাওয়া যায়। ভুল হলে তো আরো বেশি মজা। ইচ্ছে করে ভুল করতে গেলে হাত চলেনা :| । জাস্ট এঁকে মজা পাওয়া যায় তাই আঁকা। অ্যান্ড এটাই মূল ব্যাপার। মজা পেতে হবে এঁকে। মজা না পেলে আঁকার দরকার নেই। (গুরুর বচন)
কিছুদিন আগে স্টুডিওতে আসিফ ভাইয়ের সাথে হাত-পায়ের অ্যানাটমি নিয়ে ডিসকাশন হলো কিছুক্ষণ। হালকা ধারনা দিলেন বোনস আর মাসল নিয়ে। গতকাল খুঁজে খুঁজে হাতের অ্যানাটমি রিলেটেড কিছু ভিডিও আর পিন বের করলাম ইউটিউব আর পিন্টারেস্ট থেকে। এরপর দেখা শুরু করলাম। মেহেদী ভাইয়ের ব্লগ আর বইয়ের লেখাগুলিও বের করলাম। অ্যান্ড অ্যানাটমি স্টাডি শুরু। হাত আঁকাটা বেশি কঠিন রে বাপ... :{ ডেইলি টু-ডু লিস্টে জেশ্চারের পরে নতুন টাস্ক অ্যাড হইলো। অ্যানাটমি। দেখি কতদূর আগাইতে পারি। 
জিম ইন্সপায়ার্ড  হারলে কুইন 

Monday, June 19, 2017

Anubis - CDC

Anubis
Ancient Egyptian God of Afterlife
ওয়ার্ম আপ এর জন্য কি আঁকব ভাবছিলাম। পরে এ মাসের Character Design Challenge এর জন্য রাফলি করে ফেললাম। এই স্টাইলে স্কেচবুকে এঁকে মজা পাচ্ছি ইদানীং। জাস্ট নিজের ভাল লাগার জন্য আঁকা। লুজলি, রাফলি, টুথব্রাশ কটন বাড, তুলি দিয়ে ইংকিং, ওয়াটার কালার, রনেলের পাঠানো মাইক্রন পেন দিয়ে দাগাদাগি। জীবন সুন্দর। :)
এটা অরিজিনাল ভার্সন 
ডিজিটালি কালার মারলাম এক পোঁছ। :3  

Saturday, June 17, 2017

Wonder Woman

ইদানীং অফিসের কাজ বা ফ্রিল্যান্স কাজের বাইরে তেমন একটা ফিনিশড ড্রয়িং করা হয়না ডিজিটালি। ইচ্ছে হলে ইংক আর পেনে বা মার্কারে স্কেচবুকে আঁকি। ডিজিটালি করছিনা আপাতত কারন এসবে যে সময়টা যায় সে সময়ে জেশ্চার প্র্যাকটিস বা অন্যান্য ফিচার প্র্যাকটিস করা যায়। আরো বেশ কিছুদিন জেশ্চার নিয়ে পরে থাকব জাস্ট। ব্যাপারটার আলাদা বেনেফিট পাচ্ছি। সেটা নিয়ে পরে একদিন লিখব। ডিজিটালি কালারিং এর স্টাইল চেঞ্জ করতে হবে আপাতত মাথায় এটা আছে।
ইদানীং ভালই কাটছে সময়। বন্ধুরা আসছে। তাদের নিয়ে ঘুরছি, মুভি দেখছি, স্টুডীওর কাজ থাকলে করি, অফিসের ব্যস্ততা কমেছে। বাবলু ভাইকে ধরে এনে সেদিন কিকিট এর গল্প নিয়ে বসলাম। সারারাত বসে থেকে দুজনে গল্পটা আবার গুছালাম। এখন আমার কাজ শুরু। এ মাসের মধ্যে ঈদের বন্ধ সহ ব্যাস্ততা একটু কম। ইচ্ছে আছে এর মধ্যেই মোটামুটি কাজটা গুছিয়ে ফেলবো । গতকাল দেখে এলাম Wonder Woman মুভিটা। জাস্ট অসাধারণ। লাভ ইট।
Here are two fan arts :p

Sunday, June 11, 2017

পোর্টফলিও, কাজের মান, প্রফেশনালিজম আর অন্যান্য

আমার আঁকাআঁকির শুরু মূলত ছোটবেলা থেকেই। তবে ২০১২ সালটা আমার কাছে ইম্পরট্যান্ট। কারন তখন থেকেই আমি অন্য একটি জগতের সন্ধান পাই। সে লম্বা ইতিহাস । যাই হোক অনেক আগে থেকেই আঁকতাম কিন্তু কখনো ওসব রাখা হয়নি। ২০১২ থেকেই আবার আঁকাআঁকি শুরু হয় আর ফেসবুকে আঁকাগুলি পোস্ট করতাম। ফিডব্যাক নিতাম। ২০১৫ এর প্রথম দিককার সময়ের কথা। তখন আমাদের ফাইনাল ইয়ার ফার্স্ট সেমিস্টার শেষ হবে। এক ভাই ফেসবুকে আমার কাজ দেখে আমাকে নক দেন ওনার হয়ে কাজ করব কিনা জানার জন্য। আমি রাজি হয়ে যাই এবং উনার জন্যই প্রথম কার্টুন এঁকে আমি কামাই করি। প্রথম কার্টুনটা এঁকে আমি বিল পাই ৫০০ টাকা। :D ওনার জন্য ফ্রিল্যান্সে অনেক কাজই করেছিলাম। এখানে একটা ব্যাপার আছে। আমার কাজ কিন্তু উনি দেখেছিলেন আমার ফেসবুক পেইজে। আর আমার কাজ দেখেই উনার মনে হয়েছিল আমি উনার কাজ করতে পারবো। ফেসবুক পেজ আমার জন্য পোর্টফলিও হিসেবে কাজ করেছিল।

তো যাই হোক, ২০১৫ এর শেষ দিকে পড়ালেখা শেষে ফ্রিল্যান্সে আঁকাআঁকি শুরু করি এবং সবচে বড় চ্যালেঞ্জটা ফেস করি পোর্টফলিও নিয়ে। কারন কোন সম্ভাব্য ক্লায়েন্টকে দেখানোর মতো পোর্টফলিও আমার ছিলনা। আর এসব ক্লায়েন্ট রা ফেসবুকের পোস্টকে সাধারনৎ গোনেনা! এরপর আস্তে আস্তে কাজ করতে থাকি এবং পোর্টফলিও এর আইটেম বাড়াতে শুরু করি। আমি যত ধরনের কাজই পারি তার সব ধরনের কাজই পোর্টফলিওতে আপলোড করতে থাকি। এবং শুধুমাত্র পোর্টফলিওর জন্যই অনেক ছবি আঁকি আমি সে সময়ে। যখনই ফ্রিল্যান্সে কাজের জন্য প্রপোজাল পাঠাতাম তখন আমার পোর্টফলিও বলতো আমি কি ধরনের কাজ পারি। ২০১৬ এর মাঝামাঝি সময়ে কালের কণ্ঠ পত্রিকার রম্য ম্যাগাজিন "ঘোড়ার ডিম" এর সম্পাদক মেহেদী আল মাহমুদ ভাই আমাকে নক করেন উনাদের জন্য আঁকবো কিনা এই বলে। আমিও গুরু মেহেদী ভাইয়ের সাথে আলাপ আলোচনা করে রাজি হয়ে যাই। কয়েক ইস্যুতে এঁকেছিলাম যে অভিজ্ঞতা আমার পরে কাজে লেগেছিলো। প্রিন্ট মিডিয়ার জন্য আঁকার ক্ষেত্রে কি কি বিষয় কন্সিডার করতে হয় সেটা মাথায় ঢুকেছিল তখন। এখানেও একই ব্যাপার। আকান্তিস গ্রুপে আমার আঁকা দেখে ঘোড়ার ডিম থেকে আমার সাথে যোগাযোগ করেছিলেন ওনারা। আমাকে গিয়ে ধর্না দিতে হয়নি। কিন্তু তখন একটা অভিজ্ঞতা হয়। আমার অন্যান্য কাজ গুলি দেখানোর জন্য বলেছিলেন মেহেদী আল মাহমুদ ভাই। তখন কাজ দেখাতে গিয়ে খেয়াল হলো শুধুমাত্র আমার কাজ জমা রাখার জন্য একটা পোর্টফলিও দরকার আমার। কারন আগের পোর্টফলিওটা ছিল পিপল পার আওয়ার সাইটে যেখানে আমি ফ্রিল্যান্স কাজ করি। সেটা পিপল পার আওয়ারের বাইরে তেমন একটা কাজের না কাওকে দেওয়ার মতো। তখন আমি আমার প্রথম পোর্টফলিও সাইট তৈরি করি। যেটা পড়ে আবার কাজে লেগেছিল। বিচ্ছুর রিলঞ্চ এর জন্য একজন কার্টুনিস্ট খুঁজছিল দৈনিক যুগান্তর। নতুন এডিটর সিয়াম ভাই কে আমার পোর্টফলিও দেখিয়েছিল মাহাতাব। পোর্টফলিও দেখে আমাকে যুগান্তরে ডাকা হয় এবং আমার গুরু মেহেদী ভাই আর সিয়াম ভাই এস সাথে কথাবার্তা শেষে জয়েন করি অক্টোবর, ২০১৬ তে। এখনো চলছে বিচ্ছুগিরি... আমি জানি আমার পোর্টফলিওতে খুব হাই ক্লাস কাজ নেই কারন আমি এখনো নতুন। এখনো আমি সময় পেলেই পোর্টফলিও আপডেট করি। কিন্তু এতে কাজ চলে যাচ্ছে আপাতত। কারন কাওকে কাজ দেখানোর জন্য আমার পিসির ফোল্ডার বা স্কেচবুক ঘাঁটতে হয়না বা নতুন করে সময় নিয়ে এঁকে দিতে হয়না। সব এক জায়গায় অরগানাইজ করা আছে। জাস্ট লিংকটাই দিয়ে দেই। যতটুক পারি স্মার্টলি কাজ করার চেষ্টা করি। দুটা জায়গাতেই কিন্তু আমাকে ডাকা হয়। কারন তারা আমার কাজ দেখেছিল এবং তাদের মনে হয়েছিল আমি তাদের কাজ করতে পারবো। আমাকে নিজ থেকে ধর্না দিতে হয়নি কারো কাছে গিয়ে। এটাই আসলে নিয়ম। ক্রিয়েটিভ সেক্টরে আপনি যদি কাজ পারেন তবে আপনাকে কাজ খুঁজতে হবেনা। কাজই আপনাকে খুঁজে নেবে। কারন নিয়মিত কাজ করে এমন লোকের ধরতে গেলে অভাব চলছে। আমরা নিজেরাই বিচ্ছুতে কন্ট্রিবিউট করার জন্য কার্টুনিস্ট এর অভাবে থাকি মাঝেমাঝে। ইয়ার্কি ডট কমে গ্রাফিক ডিজাইন করার জন্য কাওকে পাওয়া যাচ্ছেনা। সেদিন আমার কাছে bengal beats এর রনি ভাই এলেন কি করা যায় তা নিয়ে পরামর্শ করার জন্য। উনাদের ও কার্টুনিস্ট আর ডিজাইনার দরকার। আমি মাহাতাব, ইরন সহ কয়েকজনের পোর্টফলিও দেখিয়ে তাদের কথা সাজেস্ট করলাম। কাজ করার লোকই পাওয়া যাচ্ছেনা... তবে এ কাজ কিন্তু কোনরকমে বুঝিয়ে দেওয়া কাজ নয়। মোটামুটি একটা কোয়ালিটি থাকতে হবে কাজে। যারা আপনার সার্ভিস নিচ্ছে তারা আপনাকে পে করছে কাজের জন্য। সুতরাং আপনি যদি এটা ভেবে থাকেন যে কোনরকমে কাজ করেই গছিয়ে দেবেন তবে সেটা কিন্তু হবেনা। তারা প্রফেশনাল লোকজন, কাজের জন্যও খুঁজে প্রফেশনাল কাওকে।

এখন কিছু তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা বলি। যুগান্তরে জয়েন করার পরের ঘটনা। একদিন এক জুনিয়র নক দিয়ে বললো সে আঁকতে চায়। বললাম বাহ তোমার কাজ দেখাও দেখি। সে বললো দাঁড়ান ভাই আমি এঁকে দেখাই। মেজাজ গেলো খারাপ হয়ে। সে একটা পেপারে আঁকতে চায় কিন্তু দেখানোর মতো কোন কাজ তার নেই। যাই হোক সে কিছুক্ষণের মধ্যেই একটা আঁকা নিয়ে ফেরত এলো। যে ধরনের আঁকাগুলি আমরা দেখতে পাই নারসারি বা ক্লাস ওয়ান টু এর বাচ্চাদের খাতায়। বললাম ভাই আরো ভাল করো আগে এরপর আমাদের সাথে যোগাযোগ করো। সে মানতেই চায়না। সে বলতে লাগলো ভাই আমাকে টাকা দিতে হবেনা। আমি আপনাদের ওখানে এঁকে এঁকে ভাল করবো আস্তে ধীরে। বললাম ভাই আমরা তো ফ্রি তে নিবনা তোমার কাজ আর আমরা একটু ক্লিনলি আঁকা একটু কোয়ালিটিফুল কাজ প্রেফার করি কারন এটা প্রফেশনাল ফিল্ড। ফেসবুক পোস্ট নয়। সে মানতেই চায়না। আরেকটা সাম্প্রতিক ঘটনা, এক কার্টুনিস্ট বিচ্ছুতে আঁকবে। আমাকে বিভিন্ন জনে ফোনে কল করে বলছে তার আঁকা বিচ্ছুতে ছাপা হওয়ার জন্য আমি যেন একটু দেখি/কথা বলি। বিরক্ত হয়ে গেলাম। আরে ভাই আগে নিজের কাজকে তো একটা লেভেলে আনেন। পরে খবর পেলাম সে এ ব্যাপারে আরো বেশ কজন ফেলো আর্টিস্টকে জ্বালাচ্ছে। একজন কার্টুনিস্ট তো বলেই বসলো ভাই এর মেসেজের রিপ্লাই দেবেন না। সে খুব ডেস্পারেট আর অসহ্য পাবলিক। সে এক অ্যাম্ব্যারাসিং পরিস্থিতি! আর মিডীয়ায় কাজের সময় দেওয়া হয় খুব কম। আজকে চার বক্স ছয় বক্স কার্টুন দিয়ে বলা হয় কালকে ডেলিভারি দেওয়ার জন্য। ঠিক সময়ে ডেলিভারি না পেলে মেকআপ এর সময় ঝামেলায় পড়ে যায় এডিটর। পনেরো বিশ মিনিটেই কার্টুন নামিয়ে দেওয়ার ঘটনা কম নয়। আমি নিজেই উঠতি একজন কার্টুনিস্ট এখনো। নিত্যই নতুন কিছু শিখছি। তবে কাজ চালানোর মতো একটা কোয়ালিটি আমার কাজে আছে এবং ওটা আনার জন্য খাটছি সে ২০১২ থেকে। পাঁচ বছরে একটা অবস্থানে এসেছি। আমার কাজ পারফেক্ট নয় সেটা আমি নিজে জানি তাই নিজের স্কিলকে ব্যাকগ্রাউন্ডে আপডেট করার চেষ্টা করছি প্রতিদিন। আসলে কেউই পারফেক্ট নয়। এ ব্যাপারে মেহেদী ভাইয়ের একটা পোস্ট আছে। অসাধারণ লিখেছেন গুরু। লেখাটি পাওয়া যাবে এখানে। তো এসব এখন কে বুঝাবে এসব পাবলিকদের !!! দেখে মনে হয় তাদের দু দিনের চেষ্টাতেই ফেম আর সাকসেস দরকার! এই লাইনে এসে একটা ব্যাপার ক্লিয়ার। এই লাইনে দুই দিনে কিছু হয়না আর শর্টকাট বলে কিছু নেই। ইটস অ্যা লং প্রসেস। হতাশা, সাফল্য, ব্যর্থতা সবকিছুর দেখা পাবেন এখানে।

আপনি যদি প্রফেশনালি কাজ করতে চান তবে আপনার একটা পোর্টফলিও রাখা ভাল। কারন আপনি কি কাজ পারেন সেটা ক্লায়েন্টকে বলে বুঝানো যাবেনা। আর ক্লায়েন্টও বুঝতে চাইবেনা।  তাকে আপনার দেখাতে হবে আপনি কি কাজ পারেন। এখানে পোর্টফলিও হিসেবে আপনার নিজের ওয়েবসাইট বা ব্লগই বা কোন বইয়ে/ম্যাগাজিনে/পেপারে করা কাজই বেশি প্রেফারেবল। ফেসবুকের পোস্ট এর লিংক দেওয়া প্রফেশনালিজম নয়। বা ক্লায়েন্টকে দেখানোর জন্য এখানওখান থেকে পুরনো কাজ খুঁজে রেডি করে দেখানোও প্রফেশনালিজমের মধ্যে পড়েনা। একটা পোর্টফলিও বানানো তেমন কোন কঠিন কাজ নয়। ফ্রিতেই Blogspot/woprdpress/tumblr/.... ইত্যাদি সাইটে সুন্দর পোর্টফলিও বানানো যায়। অথবা ফেসবুকের একটি সুন্দর গুছানো পেজও পোর্টফলিও হতে পারে যেখানে শুধুমাত্র আপনার আঁকা থাকবে (এটা আমি প্রেফার করিনা যদিওবা)। জাস্ট নিজের করা ভাল এবং বিভিন্ন ধরনের কাজগুলির ছবি তুলে রাখলেন পোর্টফলিও ব্লগ/সাইটে/পেইজে। কেউ যদি আপনার কাজ দেখতে চায় তবে চট করে লিংকটি দিয়ে দিলেন। ব্যস হয়ে গেলো। তাকে আর ঝামেলা করতে হলোনা। সে আপনার পোর্টফলিও ঘুরেই বুঝে যাবে আপনাকে দিয়ে তার কাজ চালানো যাবে কি যাবেনা। অনেক বক বক করে ফেললাম। হ্যাপি কারটুনিং। :)

আমার আঁকিয়ে হয়ে উঠাঃ ছেলেবেলা থেকে বড়বেলা !

গত দু সপ্তা নড়তেচড়তে পারিনি ধরতে গেলে। ঢাকা কমিক্সের বোর্ড এর বইয়ের কাজ আর অফিসের ঈদ সংখ্যার একগাদা ইলাস্ট্রেশনের কাজ নিয়ে ব্যস্ত ছিলাম খুব। দম ফেলার ফুরসত পাইনি ধরতে গেলে। আজ অফিসে গিয়ে দিয়ে আসলাম সব। ওখানে বসেও দুই তিনটা কাজ করতে হয়েছিল :|
ব্লগে একটা বিষয় নিয়ে লিখব লিখব করে লেখার সময় পাচ্ছিলামনা। তবে যা বুঝলাম তাতে ফ্রি হওয়া বলে কিছু নাই। সব মিডিয়ার সৃষ্টি।

আমার আঁকাআঁকির শুরু ছোটবেলা থেকেই। ক্লাস থ্রি - ফোর এই দুবছর ছিলাম মামাবাড়িতেই। কারন ছিল স্কুল কাছে আর সেজোমামা! সেজোমামা মেঝোমাসি এই দুজনেই মাস্টার। তাই আমার, রনেলের আমাদের দুজনের পড়ালেখা করাতেন সেজোমামা। মামার কাছে আরো কজন প্রাইভেট পড়তে আসতো আর আমরাও তাদের সাথে বসে যেতাম। কখনো মার খাইনি কারন সেজো মামা নরম স্বভাবের মানুষ। তবে ছোট মাসির কাছ থেকে ভালই মার খেয়েছিলাম আমরা। :D
যাই হোক, মামার বাড়ির ছাদে আমি আর আর রনেল প্রায় সময়ই হানা দিতাম। গ্রামের বাঁশের বেড়ার ঘরের ছাদ মানে অন্য রকম ব্যাপার। চালের নিচে আর রুমের সিলিং এর মাঝখানের যে ফাঁকা জায়গাটা থাকে সেখানে বিভিন্ন রকম জিনিসপত্র রাখা হতো। হাঁড়িপাতিল। আলুর বস্তা, পুরনো জিনিসপত্র এসব। এখানে আমি উঠে বসে থাকতাম আর পুরনো ম্যাগাজিনের পাতা উল্টাতাম। সেখানেই একদিন পেয়ে যাই মেঝো মাসির প্রাইমারি স্কুল ট্রেনিং এর লগ খাতা। এর মধ্যে কিছু খাতা ছিল আঁকাআঁকির। অনেক রঙিন রঙিন আঁকা। ওসব আঁকা দেখেই আঁকা শুরু। কপি করতাম দেখে দেখে। রনেলের জন্য রং পেনসিল আনতো মেঝো মেসো। সে ওসবের ধারেকাছে ছিলনা। ওসবের সদব্যাবহার করতাম আমি। হাই স্কুলে উঠার পর বাবা প্যাস্টেল কালার কিনে দেয় আর স্কেচবুক। আঁকাআঁকির শুরু। টিভিতে কার্টুন শো দেখতাম আর ক্যারেক্টারগুলিকে আঁকার চেষ্টা করতাম।

সুইডিশ পলিটেকনিকে পড়ার সময় আঁকাআঁকির পরিমাণ বেড়ে যায়। দিনভর হৈহল্লা, বই পড়া, চিল্লাচিল্লি আর আঁকাআঁকি নিয়ে ব্যস্ত থাকতাম। হোস্টেলের রুমের দেয়ালে, ডেস্কে, টিশার্টে, জিন্সে, নোটে সবখানে চলতো। তখন সুমিতদার কাছে আলপনা আঁকায় হাতেখড়ি। এরপর ভার্সিটি অ্যাডমিশনের জন্য প্রায় এক বছর আঁকাআঁকি বন্ধ রাখি ২০১০ এ। ১১ তে যেয়ে ইউনিভার্সিটি লাইফ শুরু। ক্লাস যেদিন শুরু হবে তার আগের রাতে বড় ভাইরা ডেকে নিয়ে আমাকে, সুজয়কে আর রানাকে বলল, আলপনা কর। আবার শুরু। তিনজনে মিলে ক্যাম্পাসের এখানেওখানে, সংগঠনের প্রোগ্রামে, ডিপার্টমেন্টের প্রোগ্রামে, সৃজনী এর প্রোগ্রামে সবখানে রং এর বালতি আর ব্রাশ নিয়ে রংবাজি করে বেড়াতাম। এর মধ্যে বন্ধু সুজয় আমাকে ফটোশপ এর কাজ শেখায় আর আমিও ইউটিউব থেকে দেখে দেখে অনেক কিছু হাতে আনলাম ফটোশপের।

২০১২ এর দিকে ফেসবুকে একটা পোস্ট দেখি। ট্র্যাডিশনালি কার্টুন এঁকে ডিজিটাল মিডিয়ামে কালার করার একটা টিউটোরিয়াল। ওটা ছিল কার্টুনিস্ট মেহেদী হক এর (পরে যার হাত ধরে আমার কার্টুনিস্ট হওয়া। আমার পরম গুরু)। সেটা দেখে আমার সামনে একটা নতুন জগত খুলে গেলো। এর আগে রস আলো আলপিন বিচ্ছু এসব ফান সাপ্লিমেন্টের কার্টুন গুলি দেখতাম আর ভাবতাম এতো স্মুথলি কালার কন্ট্রোল কিভাবে করে আর্টিস্টরা! সে রহস্যের সমাধান পাই মেহেদী ভাইয়ের সেই পোস্টে। ফেসবুকেই ভাইয়ের সাথে যোগাযোগ এবং উনার ব্লগ ফলো করা শুরু। ফেসবুকে আকান্তিস গ্রুপে আঁকা দেখতাম নিজেও আঁকার চেষ্টা করতাম। ফিডব্যাক নিতাম আর প্রচুর পরিমানে ভুলভাল এঁকে যেতাম। শুভ ভাই, আসিফ ভাই, মেহেদী ভাই সহ আরো অনেক আর্টিস্টদের কাজ দেখে দেখে রিয়েলিস্টিক, চিবি, স্টাইলাইজড কোন রকম আঁকার চেষ্টাই বাদ দেইনি। পোর্ট্রেট, ক্যারিকেচার সব রকম আঁকার চেষ্টা ছিল। আস্তে আস্তে হাত আসা শুরু করলো বুঝতে চেষ্টা করতে থাকলাম কোন টাইপ এর ড্রয়িং আমাকে স্যুট করে। ২০১৪ এর বইমেলায় গুরু মেহেদী ভাইয়ের সাথে আমার সামনাসামনি প্রথম দেখা। উনার "কার্টুন আঁকিবার ক, খ, গ ও ক্ষ" বইটা হাতে পাওয়া। উনাকে বলেছিলাম ভাইয়া আমিও কার্টুনিস্ট হতে চাই। উনি বলেছিলেন গ্রেট। সে থেকে শুরু। কোচিং এর ক্লাস নিয়ে পাওয়া টাকা দিয়ে গ্রাফিক ট্যাবলেট কিনলাম (যেটা ছিল ভুল এবং ঠিক কাজ দুটোই )। কার্টুন আঁকতাম ভুলভাল। হার্ডকোর অ্যানাটমির জন্য প্রোকো এর চ্যানেল আবার স্টাইলাইজড ড্রয়িং এর জন্য ইউটিউবের শত শত চ্যানেল সব রকম টিউটোরিয়াল দেখা ফলো করার কারনে গিট্টু খেয়ে গিয়েছিলাম। শতের উপর টিউটোরিয়ালে হার্ডড্রাইভ ভর্তি হয়ে গেলো। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হচ্ছিলোনা, ক্লাসে স্কেচবুক নিয়ে যেতাম, আঁকতাম এটাওটা। প্রচুর সময় ব্যয় করতাম ফটোশপ আর স্কেচবুকে। এরপরেও ভাল হতোনা। এখন এসে বুঝতে পারি আসলে তখন আমার শেখার পদ্ধতিতে গণ্ডগোল ছিল। (এখনো গণ্ডগোল থেকেই গিয়েছে :D)

২০১৫ এর শেষ দিকে এসে ইউনিভার্সিটি লাইফ শেষ হলো। কিছুদিন আম্রিকা যাওয়ার জন্য জিআরই আবার কিছুদিন সরকারি চাকরীর জন্য পড়াশোনা, পরিবার আর এরওর চাপে পড়ে বিসিএস এর একটু আধটু স্বপ্ন সবকিছুই দেখেছিলাম গ্র্যাজুয়েশন শেষে। পরে সব শেষে এক ভাইয়ের সাথে আড্ডায় উনার বুদ্ধিতে শুরু করলাম ফ্রিল্যান্সে আঁকাআঁকি আর মজা পেয়ে গেলাম।
আরে বাহ! জোশ তো! ছবি এঁকে তো দেখি কোনরকমে চলার মতো ইনকাম করা যায়! এটাই করিনা কেন তাইলে? বাবা মা চাচা চাচি ফুফু মামা তামা সবার চোখরাঙ্গানি দাঁতখিঁচুনি কে পাত্তা না দিয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং ছেড়ে প্রফেশনাল লাইফ শুরু করলাম আঁকাআঁকিতেই... মাথায় এটাই ছিল দেখি কি হয়। আর কিছু না হলে তো ডিগ্রী আছেই। ডিগ্রী কাজে লাগিয়ে চাকরি নেব।
প্রফেশনালি আঁকতে গিয়ে আস্তে আস্তে টের পেলাম কেন আমার আঁকা ভাল হচ্ছিলোনা। সমস্যাটা ছিল, "এক লাফেই আকাশ ছোঁয়ার চেষ্টা"। স্কেচবুকে পেনসিলকে হাতে আনার আগেই ডিজিটাল মিডিয়ামের প্রতি ইন্টেরেস্ট দেখাতে গিয়েই সব লেজেগোবরে করে ফেলেছিলাম। এখন কোন নতুন কেউ যদি আমার কাছে পরামর্শ চাইতে আসে কিভাবে আঁকবে বা শুরু করবে, আমি প্রথমেই বলি যেন ডিজিটাল মিডিয়াম থেকে এক হাজার হাত দূরে থাকে। যে ভুলটা আমি করেছিলাম আমি চাইনা সেটা আর করুক। ডিজিটাল মিডিয়াম যে খারাপ সেটা না। অনেক সুবিধাই পাওয়া যায়। কিন্তু পেনসিলকে বাগে আনার আগে ডিজিটাল মিডিয়ামে হাত দেওয়া বোকামি। অনেকে মনে করে ওয়াকম ট্যাবলেট হাতে পেলেই আর্টিস্ট হওয়া যায়! দেখে হাসি পায়। আমিও মনে করতাম একসময়। এখন টের পাই আঁকতে জানলে মিডিয়াম ব্যাপার না। তবে মেহেদী ভাই আসিফ ভাই সবারই সাজেশন স্কেচবুক। এরপর বাকি সব। আমিও এটাই বলি। এটাই আদি ও আসল। আমি এখন যত কার্টুনই আঁকি সবগুলির থাম্বনেল আগে স্কেচবুকে এঁকে নেই যতই ব্যস্ততা থাকুক। এরপর ডিজিটাল মিডিয়ামে বাকি কাজ। কাজ অনেক কমে যায়। কারন আমার কাছে সাজেশন থাকে কোথায় কোন লাইনটা হবে।

২০১২ থেকে ২০১৫ এই কবছরে যে কিছুই শিখিনি তা নয়। অনেক কিছুই শিখেছি। ডিজিটাল মিডিয়াম এর বেসিক এই সময়টাতেই হাতে আসে আর ভুল করেছিলাম অনেক। সে ভুলগুলির থেকে পাওয়া শিক্ষা তো আছেই। যাই শিখি কোন কিছুই আসলে বৃথা যায়না। ২০১৫ এর প্রথম দিকে ফাইনাল ইয়ার ফার্স্ট সেমিস্টারে আমি আমার প্রথম কমিশন কাজ পাই। এক ভাই ফেসবুকে আমার কাজ দেখে আমাকে নক দেন ওনার হয়ে কাজ করব কিনা জানার জন্য। ওনার জন্য ফ্রিল্যান্সে অনেক কাজই করেছিলাম। সে অভিজ্ঞতাও কাজে লেগেছে। সব ভুল শুদ্ধ মিলিয়েই গ্র্যাজুয়েশন শেষে ২০১৫ এর শেষ দিক থেকে ফ্রিল্যান্সে প্রফেশনালি কার্টুন আর ইলাস্ট্রেশন আঁকা শুরু। এর ফাঁকেই আকান্তিস স্কুল এ মেহেদী ভাইয়ের বেসিক কার্টুনিং ওয়ার্কশপ করলাম আর আকান্তিস স্কুল আর ঢাকা কমিক্সের আয়োজনে আসিফ ভাইয়ের কমিক্স ড্রয়িং ওয়ার্কশপ করলাম। সবসময় এই দুইজন  মানুষের কাছ থেকে হেল্প পেয়ে এসেছি। এখনো পাই সবসময়ই। অনেক কিছুই শিখেছি জেনেছি এখনো শিখি ইনাদের কাছ থেকে।

২০১৬ এর মাঝামাঝি সময়ে "কালের কণ্ঠ" পত্রিকার "ঘোড়ার ডিম" সাপ্লিমেন্টের জন্য কাজ করেছিলাম কন্ট্রিবিউটর হিসেবে আর ২০১৬ এর শেষ দিকে এসে "দৈনিক যুগান্তর"এ কার্টুনিস্ট হিসেবে চাকরি শুরু। সে আরেক কাহিনী। ওটার পাশাপাশি ফ্রিল্যান্স চালাচ্ছিলাম অল্পস্বল্প। এই সময়ে এসে টের পাই প্রিন্ট মিডিয়ায় কাজ করা অনেক ইম্পরট্যান্ট একটা ব্যাপার। শেখা যায় অনেক কিছুই। ভুল ত্রুটি শেখা সব মিলিয়ে কাহিনীর আর শেষ নাই। চলছে চলবে। তো যাই হোক হ্যাপি কার্টুনিং। :)