Friday, June 30, 2017

ঈদের পর স্টুডিও || দৈনন্দিন কড়চা

সকালে কল করে ঘুম ভাঙাল সম্রাট। দরজা খুলে দিয়েই আবার ঘুমিয়ে পড়লাম। দুপুরে ওর হাঁকডাকে ঘুম ভাঙল। খেয়েদেয়ে সম্রাট চলে গেলো নন্দিতা কে পিক করবে বলে। আমি রুমে এসে বসেছি মাত্র এমন সময় মাহাতাব কল করে বলল স্টুডিওতে চলে আসেন রোমেলদা। আসিফ ভাইও আছে। স্নান করেই বের হয়ে গেলাম। এমনিতেই একটু একঘেয়ে লাগছিলো... স্টুডিওতে গিয়েই আড্ডা, অনগোয়িং কমিক্স আর ড্রয়িং টেকনিক নিয়ে আলোচনা, গান শোনা। আসিফ ভাই নেপাল থেকে ঘুরে দেশে এসেছে গতকাল। একগাদা কমিক্স আর জিনিসপাতি কিনে এনেছে। আর নেপাল স্কেচবুক। আমি আর মাতাভ উলটেপালটে দেখলাম সব। মাহাতাবের পিচ্চি স্কেচবুকে দাগালাম দুজনে।

ঈদ পরবর্তী অফিশিয়াল সেলফি :v

সন্ধ্যার দিকে তিনজনেই স্টুডিও থেকে বের হয়ে দড়িছিঁড়া হাঁটা শুরু। হেঁটে হেঁটে চলে গেলাম মেহেদী ভাইয়ের অফিসে। ওখান থেকে সবাই মিলে সোজা "বিগ বাইট" রেস্টুরেন্টে। খেয়ে দেয়ে আড্ডা দিয়ে আবার চা পর্ব। এরপর মাহাতাব চলে গেলো ওর বাড়িতে আর আসিফ ভাই চলে গেলো ধানমন্ডিতে উনার বন্ধুর বিয়েতে। আমি আর মেহেদী ভাই সিএনজি নিয়ে চলে এলাম। মেরুল থেকে মিতু আপুকে পিক করা হলো। আর আমি অলক বিরিয়ানি হাউস এর তন্দুর রুটি-মুগ ডাল মেরে দিয়ে চলে এলাম বাসায়। সিএনজি তে বাড়ি ফেরার সময় বসে বসে অ্যানাটমি, কমিক্স আর অ্যানিমেশন নিয়ে টিপস পেলাম মেহেদী ভাইয়ের কাছ থেকে। নেক্সট টার্গেট অ্যানিমেশন। :D  সবাই মিলে আস্তে আস্তে শেখার কথা বলছেন গুরু। এর মধ্যেই উনি আর আসিফ ভাই কিছুটা এগিয়ে গিয়েছেন। আমাকে আর মাহাতাব কে বলছেন শুরু করে দিতে। আপাতত এটাও টুকটাক ধরতে হবে। আর বেসিক এর জন্য তো গুরুরা আছেনই। এক জীবনে কত কি যে চাওয়া। কিছু চাওয়া পুরন হয়ে গিয়েছে!

No comments:

Post a Comment