এই মাসটা মোটামুটি প্রোডাকটিভ ছিল আমার জন্য। অফ ডে মানেই কিছু না কিছু আঁকছি, শিখছি, ভুল খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি, গল্প নিয়ে ভাবছি (ওয়াশরুমে গেলেই গল্প নিয়ে বেশি ভাবা হয় সাধারনত :D) আরো ব্লাহ ব্লাহ ব্লাহ । জেশ্চার নিয়ে প্রবলেম ছিল (এখনো আছে) । সেটা একটু কাটিয়ে উঠেছি। প্রতিদিন প্র্যাকটিস এর রেজাল্ট ভয়াবহ। আর প্রতিদিনই ইংক আর ওয়াটারকালারে কিছু না কিছু এঁকে স্কেচবুকের পাতা ভরাচ্ছি। স্কেচবুকের ইংকিং এ ইদানীং ইন্সপাইরেশন Jim Mahfood এর আর্টওয়ার্ক গুলি। উনার আঁকাগুলি দেখি আর তাব্দা খাই! অনেক রকম স্টাইলেই আঁকেন উনি। তবে উনার রাফলি করা ইংক আর কালারের কাজগুলি অসাধারণ লাগে। দেখে মনে হয় কোনরকমে এঁকেছেন কিন্তু দেখতে ভাল লাগে। ওভাবে ইদানীং আঁকতে গিয়ে টের পেলাম ব্যাপারটা বেশ কঠিন বটে! অ্যানাটমি আছে আবার নাই! যাই হোক ওভাবে আঁকতে গিয়ে টের পেলাম মজা আছে ব্যাপারটায়। ইচ্ছে মতো পেন আর ইঙ্ক দিয়ে দাগানো আর রং ঢালা। একটা ফ্রিডম পাওয়া যায়। ভুল হলে তো আরো বেশি মজা। ইচ্ছে করে ভুল করতে গেলে হাত চলেনা :| । জাস্ট এঁকে মজা পাওয়া যায় তাই আঁকা। অ্যান্ড এটাই মূল ব্যাপার। মজা পেতে হবে এঁকে। মজা না পেলে আঁকার দরকার নেই। (গুরুর বচন)
কিছুদিন আগে স্টুডিওতে আসিফ ভাইয়ের সাথে হাত-পায়ের অ্যানাটমি নিয়ে ডিসকাশন হলো কিছুক্ষণ। হালকা ধারনা দিলেন বোনস আর মাসল নিয়ে। গতকাল খুঁজে খুঁজে হাতের অ্যানাটমি রিলেটেড কিছু ভিডিও আর পিন বের করলাম ইউটিউব আর পিন্টারেস্ট থেকে। এরপর দেখা শুরু করলাম। মেহেদী ভাইয়ের ব্লগ আর বইয়ের লেখাগুলিও বের করলাম। অ্যান্ড অ্যানাটমি স্টাডি শুরু। হাত আঁকাটা বেশি কঠিন রে বাপ... :{ ডেইলি টু-ডু লিস্টে জেশ্চারের পরে নতুন টাস্ক অ্যাড হইলো। অ্যানাটমি। দেখি কতদূর আগাইতে পারি।
জিম ইন্সপায়ার্ড হারলে কুইন
No comments:
Post a Comment