ঘটনাক্রমে আজ আমার জন্মদিন। :D অনেকেই জিজ্ঞেস করছে কি করছি, পার্টি দিচ্ছি নাকি হেনতেন। আমি দাঁত কেলিয়ে বলছি ছবি আঁকছি। আহমাদ ভাইয়ের বইয়ের কাজ আমার মাথায় সিন্দাবাদের ভুতের মতো চেপে বসেছে। কাজ করছি তো করছিই তার আর শেষ নাই।
আজ আবার গেলাম স্টুডিওতে। কিছু মিষ্টি নিয়ে গেলাম গুরু আর মিতু আপুর জন্য। ভাগ্য ভাল। মিতু আপু রাজশাহী ব্যাক করবে বলে বের হচ্ছিলো । পেয়ে গেলাম। মিতু আপু যাওয়ার পর কিছুক্ষণ কাজ করলাম রূপকথার কমিক্সটি নিয়ে। এরপর একটা ফ্রিল্যান্স লোগো ডিজাইন নিয়ে কাজ করলাম আর মেহেদী ভাইয়ের সাথে টুকটাক আড্ডা। এই আড্ডাগুলি বেশ কাজের। আড্ডার ফাঁকেই আর দীপিকার মোড়ের টংয়ের দোকান গুলিতে চা খেতে খেতেই গুরু শেখান এটাসেটা, এই ট্রিক ওই ট্রিক, কোন পডকাস্ট শুনতে হবে, কোন টিউটোরিয়াল দেখতে হবে, এনভায়রনমেন্ট স্টাডি এসব আর আমি জীবন ধন্য এই খুশিতেই লাফ দেই মনে মনে। আজ একটা নতুন বিষয় সম্পর্কে জেনেছি। বিষয়টা হচ্ছে Pomodoro Technique . প্রোডাক্টিভিটি বাড়ানোর একটা মেথড। বাসায় এসে অ্যাপ্লাই করে দেখছি মেথডটা। আর খেয়াল করলাম আসলেই বেশ কাজের জিনিস। :D
স্টুডিও থেকে বের হয়ে নিচের মার্কেটের নতুন চালু হওয়া ঝিল রেস্টুরেন্টে বসে নান আর গ্রিল চিকেনের জন্য ওয়েট করতে করতে গুরু এই ক্যারিকেচারটি এঁকে দিলেন বার্থডে গিফট হিসেবে। আহা XD
বন্ধু অ্যাড্রিয়েনের আঁকা গিফট
জুনিয়র স্বর্ণাভ এর আঁকা গিফট।
কাল রাতে কাজ করছিলাম। দেখি ফেসবুকে বন্ধু চুইল্লা আসিফের মেসেজ। শালা মালয়েশিয়া থেকে উকুলেলে তে হ্যাপি বার্থডে এর সুর তুলে ভিডিও করে পাঠিয়েছে। মনটাই ভাল হয়ে গেলো। সারারাত আর আজ সারাদিন ছিল ফোন, ফেসবুক আর ইন্সটাগ্রামে শুভকামনা আর বার্তা। লাইফ ইজ গুড। B{