Friday, March 23, 2018

সোনার কাঠি রুপার কাঠি

এই বছরের জানুয়ারির শেষ দিকের কথা। স্টুডিওতে গেছি একটা কাজে। মেহেদী ভাই বললেন, শিশু একাডেমীর দুইটা কমিক্স আছে। করবা নাকি? একটা আমি করি আরেকটা তুমি করো। গল্পগুলি হচ্ছে দক্ষিণারঞ্জন মিত্র মজুমদার এর ঠাকুরমার ঝুলি থেকে নেওয়া "ডালিম কুমার" আর "সোনার কাঠি রুপার কাঠি"। ধুম করে রাজি হয়ে গেলাম। থাম্বনেল মেহেদী ভাইয়ের করাই ছিলো। এরপর থাম্বনেল টা দেখে আমার কেন যেন মনে হতে লাগলো এই কাজ আগে করা হয়েছে। আসিফ ভাইয়ের কাছে দেখেছি এই গল্পের একটা পেজ। পরে আসিফ ভাইকে একদিন পেলাম স্টুডিও তে। তখন শিউর হলাম। এই কমিক্স বের হওয়ার কথা ছিল আগের বছর। কিন্তু তখন বের হয়নি। ওই সময় আসিফ ভাই এক পেজ আর ক্যারেক্টার ডিজাইন করেছিলেন। উনার কাছে এই কমিক্সের কিছু পেজ পেন্সিলিং করা আছে শুনে আমি লাফ দিলাম। পরে আসিফ ভাই রেডিমেড প্যানেল করা আর স্পিচ বাবলসহ ক্লিপ ফাইল পাঠিয়ে দিলেন আমাকে । আর আমি কাজ শুরু করলাম। বাকি পেজ গুলি পেন্সিলিং করা, লাইব্রেরী বানানো এসবের মধ্যেই কেটে গেলো কিছু দিন। আর ছিল বইমেলার বাকি কাজ। সাবমিশন ছিল ফেব্রুয়ারির পাঁচ তারিখে। এদিকে ফেব্রুয়ারির চার তারিখে টের পেলাম কাজ অনেক বাকি।  টেনশনে আমার ঘুম উধাও। এর মধ্যেই মেহেদী ভাই আর আসিফ ভাইয়ের হেল্প নিয়ে সাত তারিখে কাজ নামিয়ে দিলাম। দশ তারিখের মধ্যেই মেহেদী ভাই প্রুফ দেখে এডিট করে, লেটারিং সহ সব পেরা শেষ করে পাঠিয়ে দিলেন শিশু একাডেমীতে। এরপর আর এই বই প্রকাশিত হয়না । পনেরো বিশ তারিখ পঁচিশ তারিখ শেষ হয়ে বইমেলাও শেষ হয়ে গেলো। কিন্তু বই আর প্রকাশিত হলোনা। ইংলিশ ভার্সন বাংলা ভার্সন এর চক্করে পড়ে। এর মধ্যে মেহেদী ভাইকে অনেক পেরা সহ্য করতে হয়েছে এই বইয়ের জন্য। 
যাই হোক এই মাসের ষোল তারিখ থেকে শুরু হলো শিশু একাডেমীর বইমেলা আর এই মেলাতে এই বই এলো। এই কদিন ব্যস্ত ছিলাম খুব। একসাথে দেশি বিদেশি ফ্রিল্যান্স কাজ, মিতু আপুর কমিক্সের কাজ, কনভোকেশন সব মিলিয়ে নড়াচড়া করতে পারিনি ধরতে গেলে। এর মধ্যে যুক্ত হয়েছে হৃদয়ঘটিত ব্যাপারস্যাপার।  সব মিলিয়ে আমি ছিলাম চাপের মধ্যে। আজ অনেকদিন পর বিভিন্ন প্রজেক্ট ডেলিভারি দিয়ে একটু নিঃশ্বাস ফেললাম। আর এর মধ্যে এসে পৌঁছাল ঘোড়া সব্যসাচী। ওর সাথে গেলাম শিশু একাডেমীর মেলায়। ঢাকা কমিক্সের স্টলে বসলাম, মেহেদী ভাই আসিফ ভাই উনারাও আসলেন। শিশু একাডেমীর স্টল থেকে একটা বই কালেক্ট করলাম স্যাম্পল হিসেবে। সৌজন্য কপি আরো পাওয়ার কথা আছে। আনতে যেতে হবে। রুপকথার গল্প নিয়ে এই প্রথম কাজ করা হলো। ইচ্ছা আছে আরো কাজ করার। করবো শীঘ্রই। :B 




আপাত কিছু পেজের ছবি তুলে রাখা যাক।    

Saturday, March 10, 2018

Message in a Bottle

I Was listening to "Message in a Bottle" By Sting and this one popped in my head.
Warm up + experimenting with watercolor texture.

Friday, March 9, 2018

A piece in workbreak

Been very busy with freelance works for various platforms and clients. I need a break from this workload badly. Gonna take a break after completing all projects. I will be drawing things for myself. Just for myself. ^_^
oppsy that's a dream..... goddammit -_-
nowadays whenever I try to draw something for me, my inner pro reminds me.... No No No you are not gonna draw something for yourself now.. You got some unfinished task to do for your clients. ughhhhhhh 
I wish I could take a free fall from all these work pressure like this. SIGH.
Life is good though. Teehee

Thursday, March 1, 2018

বইমেলা ২০১৮

শেষ হয়ে গেলো প্রাণের মেলা বইমেলা। কিভাবে কিভাবে যেন ২৮ টা দিন পার হয়ে গেলো টেরই পেলাম না। অসাধারন সব দিন কেটেছে কিছু ঝামেলা ছাড়া। প্রথম দশ দিন পর্যন্ত ব্যস্ত ছিলাম বই আর কমিক্সের কাজ নামানো আর ডেলিভারি নিয়ে। সেই সাথে ছিল কিছু দেশি ফ্রিল্যান্স কাজ। এর মাঝে কয়েকবার স্টলে যাওয়া হয়েছে। সব কাজ ডেলিভারি শেষে আর নতুন কোন কাজ নেইনি। এরপর বেশিরভাগ দিনই গিয়েছি হয় স্টলের জন্য বই নিয়ে অথবা বন্ধুবান্ধবের ডাকে। মেহেদী ভাইয়ের নেতৃত্বে সবাই সিএনজি নিয়ে স্টুডিও থেকে বইয়ের বান্ডেল নিয়ে প্রথমে যেতাম দোয়েল চত্বর বা টিএসসি। এরপর সেখান থেকে কাঁধে মাউন্টেন ব্যাগে করে ট্র্যাকিংয়ে যাওয়ার মতো করে বই নিয়ে স্টলে যেতাম। কোন কোন দিন আগেভাগে বের হতে পারলে মেলা শুরু হওয়ার আগেই সিএনজি নিয়েই মেলাতে সোজা স্টলের সামনে। বেশ মজার ব্যাপার ছিল সব। একেকদিন একেক রকম পরিস্তিতি। স্টলে বসতাম ছুটির দিন আর বিশেষ দিনগুলিতে। মোটামুটি সব স্টলে উপচে পড়া ভিড় থাকে ছুটির দিনগুলিতে। একেক ধরনের কাস্টমার এর সাথে একেক ভাবে ডিল করার অভিজ্ঞতা। বিভিন্ন ধরনের ক্যারেক্টার দেখতে পাওয়া সহ হাস্যকর অথবা বিরক্তিকর ঘটনার সম্মুখীন হওয়া, দেশের কমিক্স রিডারদের সাথে সরাসরি যোগাযোগ, তাদের মতামত শোনা সব মিলিয়ে দারুন। আর প্রায় প্রতিদিনই পরিচিত কারো না কারো সাথে দেখা হয়ে যাওয়ার ব্যাপারটা আরো দারুন। পরিচিত আর্টিস্ট, লেখক রা স্টলে আসলে আড্ডা হতো আর বন্ধুরা বা সিনিয়র জুনিয়র ভাই বোনেরা মেলায় আসলেই কল করে চলে আসতো স্টলে। চলতো ঘুরাফেরা, কফি খাওয়া, বই কেনা আর আড্ডাবাজি। সারাদিন শেষে রাত নটা বাজে স্টল বন্ধ করে আমরা ঢাকা কমিক্স এর সবাই বের হয়ে একত্রিত হতাম বস আহসান হাবিব এর উন্মাদ দলের সাথে । এরপর সবাই মিলে অথবা একেকজন একেকদিকে বাসায় ফেরার পালা। এই ফেরার সময়ও বেশ আড্ডা দিয়ে হেঁটে হেঁটে বাসায় আসা, স্টলের শাহ আলম ভাইকে গুঁতানো এসবে সময় পার হয়ে গেলো কিভাবে কিভাবে। কেমন যেন ঘোরের মধ্যেই। তেমন কোন কাজ করা হয়নি ফেব্রুয়ারি তে। মেহেদী ভাইয়ের ব্যস্ততা কি এইবার দেখেছি। মানুষটা কিছুক্ষণ বাসায় কিছুক্ষণ স্টুডিও তে আবার কিছুক্ষণ নিউ এইজে আবার মেলায়। এর মাঝেই সামলেছেন নতুন বেশ কিছু কমিক্স এর এডিটিং আর কভার এর কাজ আর বইয়ের কাজ। বাপরে বাপ। কেমনে পারেন ! দেখেছি আর অবাক হয়েছি।
মেলার লাস্ট কিছুদিন পার হয়েছে সব্যসাচীর সাথে ঘুরাফেরা করে আর দৌড়াদৌড়ি করে। সে প্রতিদিন বলে রোমেল দা আজকে ঘুরতে ঘুরতে আমরা ঘোড়া হয়ে যামু আর দেখা যেতো আমরা আক্ষরিক অর্থেই ঘোড়া হয়ে গিয়েছি। :v
আজ গুরু মেলার এন্ডীং পার্টি দিলেন হাতির পুল এর ক্যাফে ফাইভে। ছিলেন মেহেদী ভাই, মিতু আপু, সম্পদ ভাই, মাহবুব ভাই, আসিফ ভাই, শোভন, শাহ আলম, সব্যসাচী আর আমি। দারুন একটা আড্ডা শেষে হায়দারাবাদি বিরিয়ানি দিয়ে পেটপুজো করে নিচে নেমে আবার চা আর আড্ডা। আড্ডা শেষে আমি আসিফ ভাই আর শোভন চলে এলাম বাতিঘর লাইব্রেরী তে। বাকিরা নিজ নিজ ডেরায়। চিটাগাং এর বাতিঘর এ যাওয়া হয়েছে অনেকবারই। কিন্তু ঢাকার বাতিঘর এ যাওয়া হয়নি। আজ চলে গেলাম। বই কিনলাম কিছু সেবা প্রকাশনির। ওখান থেকে বেরিয়ে সোজা সিনেপ্লেক্স। ব্ল্যাক প্যান্থার দেখলাম তিনজনে। মুভি দেখা শেষে বাসায় এসে শান্তি। 

বইমেলার মাঝেই মাথায় বেশ কিছু গল্পের আইডিয়া এসেছে। এদের মধ্যে একটার অরিজিন প্লট মোটামুটি গুছিয়ে এনেছি বইমেলার মধ্যেই। এই মাসের মধ্যেই নামিয়ে দেওয়ার ইচ্ছা আছে প্লটটাকে কমিক্স হিসেবে। দেখা যাক কি হয়। আলসেমি আর বাইক্যা কাজ বাদ দিতে হবে। এইসব করে করে নিজের বারোটা বাজাচ্ছি। -_-