গত মাস পুরাটাই কেটেছে মিতু আপুর কমিক্স প্রজেক্ট (জঙ্গলে গণ্ডগোল) আর পিপিএইচের ফ্রিল্যান্স প্রজেক্ট এর কাজ নিয়ে। মাঝখানে বিশ তারিখে গেলো কনভোকেশনের ঝামেলা। বিশ তারিখে ছিল আমার সাবমিশন কিন্তু কালার করা হয়নি আঠারো তারিখে এসেও। প্রায় ১৮ পেইজ কাজ। মেহেদী ভাইয়ের কালারিং হেল্প নিয়ে কনভোকেশনে অ্যাটেন্ড করতে পেরেছিলাম শেষ পর্যন্ত। স্টাডি করা হয়নি কিছুই, নিজের জন্যও তেমন কিছু আঁকা হয়নি। সময় বের করতে পারিনি নাকি আলসেমি সেটা নিয়ে আমি কনফিউজড একটু অবশ্য। স্কিলে আটকে থাকার ব্যাপারটা বুঝতে পারছি আবার। নতুন কিছু শেখার জন্য সময় বের করতে হবে যেভাবেই হোক। এই মাসে আবার প্রসূন এর ওয়াটার কালার ওয়ার্কশপে অ্যাটেন্ড করবো। দেখি এই উছিলায় কিছু শিখতে পারি কিনা।
মার্চ মাস শেষে সব কাজ বুঝিয়ে দিয়ে এই এপ্রিলের তিন তারিখ চলে গেলাম চিটাগাং। বেড়িয়ে এলাম এক সপ্তাহ। চিটাগাং বাতিঘর, চেরাগী পাহাড় এর মোড়, বন্ধু বান্ধব ভাই বোনদের নিয়ে আজাদি গলির আড্ডা আর মিষ্টি পান, খাগড়াছড়ি গিয়ে মনি মামার দোকানের আড্ডা, বাবা মায়ের সাথে আড্ডা কোনটাই মিস হয়নি। সারপ্রাইজিংলি বাবা মা দেখি আমার উপর খুশি। আর বাবা আমার প্রফেশন নিয়ে এইবারে ধরতে গেলে কিছুই বলেন নি। আমি তাব্দা খেয়ে গেলাম। রস আলোর জন্য একটা কমিক্স স্ট্রিপ ছাড়া এই এক সপ্তাহ ধরতে গেলে কিছুই আঁকা হয়নি। যেটা ভালই হয়েছে আমার জন্য। ঢাকায় ফেরার পর থেকে আঁকার জন্য হাত চুলকাচ্ছে। স্টুডিওতে গেলাম কাল আর আজ। আমার পার্সোনাল কমিক্স প্রজেক্ট এর স্টোরিলাইন ডেভেলপ করলাম মেহেদী ভাইয়ের সাথে। থাম্বনেলে হাত দিয়েছি। এক মাসের ডেডলাইন দিয়েছেন গুরু। দেখা যাক। সন্ধায় একটা ক্লায়েন্ট এর সাথে মিটিং। মিটিং শেষে মাদার অফ ড্রাগন এর সাথে দেখা করা, গল্প, একসাথে খাওয়া দাওয়া, ওকে বাসার পথে এগিয়ে দিয়ে বাসায় ফিরে আসা। (যেহেতু ওটা উনার অফিসের এলাকা XD)। এইতো। দিনকাল বেশ ভালই যাচ্ছে। :D
ডুডল বাঘা। গতকাল স্টুডিওতে যাওয়ার আগে ক্লিপ স্টুডিও এর একটা নতুন ব্রাশ টেস্টিং।
instagram এর #artvsartist ট্রেন্ড ফলো করে গত বছর আর এই বছরের এখনো পর্যন্ত করা নিজের প্রিয় কিছু কাজের কোলাজ।