এ বছরের জুন মাসের কথা। একদিন গুরু মেহেদী ভাই কল দিয়ে বললেন বোর্ড এর বইয়ের রিডিজাইন করছে ঢাকা কমিক্স স্টুডিও। ফিজিক্স এর বেশ কিছু ডায়াগ্রাম আঁকতে হবে ইলাস্ট্রেটরে। সময় কম। আমার হাতে সময় আছে কিনা আর করতে পারবো কিনা। :D টিং করে বললাম পাঠান ভাই। এরপর অন্যান্য কাজের পাশাপাশি এক সপ্তাহের মধ্যে নামিয়ে দিলাম একগাদা সহজ-জটিল ডায়াগ্রাম। গুরুর কাজ বলে কথা! ড্রপবক্সে কাজগুলি রেখে টেনশন দূর হলো।
এ মাসের ১১ তারিখ ঘুম থেকে উঠে দেখি ইন্সটাগ্রামে গুরু মেহেদী ভাইয়ের টেক্সট "Call Me Urgent!" আর ফোনে মিসডকল। তড়িঘড়ি করে কল দিয়ে জানলাম পরেরদিন(১২তারিখ) সকাল দশটার মধ্যে থাকতে হবে সচিবালয়ে। নতুন বইয়ের কপি হস্তান্তর আর মোড়ক উন্মোচন এর জন্য মাননীয় শিক্ষা মন্ত্রী জনাব নুরুল ইসলাম নাহিদ এম.পি. এর সাথে ডঃ মুহম্মদ জাফর ইকবাল স্যার, ডঃ মোহাম্মদ কায়কোবাদ স্যার সহ এই কার্যক্রমে যারা জড়িত ছিলেন তাদের সবার এক মিটিং। ওখানে থাকতে হবে। শুনে আমি মনে মনে লাফ দিলাম। :D
সে রাতে একটা ফ্রিল্যান্স কাজের ডেলিভারি ছিল। সেটা ডেলিভারি দিলাম রাতের চারটা-সাড়ে চারটার দিকে। এরপর আর ঘুমালাম না। কারন ঘুমালে আর আমার ঘুম ভাঙবেনা। মুভি দেখে দেখে সময় পার করে দিলাম। সকালে রেডি হয়ে মেহেদী ভাইয়া র মিতু আপুর সাথে কথা বলে নটার দিকে বের হয়ে পড়লাম। উবার কল করে বসে আছি তো আছিই। কার আর আসেনা। শেষ পর্যন্ত আসলো। আর রওনা দিলাম পৌনে দশটার দিকে। এর মধ্যে মেহেদী ভাইয়া র মিতু আপুর ফোন কল আর টেক্সট। মিথ্যে বলে বলে পার পেলাম। :D সচিবালয়ে পৌঁছাতে পৌঁছাতে প্রায় এগারোটা। যাই হোক শেষ পর্যন্ত পৌঁছুলাম মিটিং রুমে। সব শেষে স্যার এর সাথে দেখা করা সবাই মিলে ছবি তোলা, কথা বলা শেষে মাহবুব ভাই চলে গেলো অফিসে, আসিফ ভাই স্টুডিওতে আর আমি মেহেদী ভাই আর মিতু আপুর সিএনজি নিয়ে বাড্ডায় ফিরে এলাম। জয়তু ঢাকা কমিক্স।
এ মাসের ১১ তারিখ ঘুম থেকে উঠে দেখি ইন্সটাগ্রামে গুরু মেহেদী ভাইয়ের টেক্সট "Call Me Urgent!" আর ফোনে মিসডকল। তড়িঘড়ি করে কল দিয়ে জানলাম পরেরদিন(১২তারিখ) সকাল দশটার মধ্যে থাকতে হবে সচিবালয়ে। নতুন বইয়ের কপি হস্তান্তর আর মোড়ক উন্মোচন এর জন্য মাননীয় শিক্ষা মন্ত্রী জনাব নুরুল ইসলাম নাহিদ এম.পি. এর সাথে ডঃ মুহম্মদ জাফর ইকবাল স্যার, ডঃ মোহাম্মদ কায়কোবাদ স্যার সহ এই কার্যক্রমে যারা জড়িত ছিলেন তাদের সবার এক মিটিং। ওখানে থাকতে হবে। শুনে আমি মনে মনে লাফ দিলাম। :D
সে রাতে একটা ফ্রিল্যান্স কাজের ডেলিভারি ছিল। সেটা ডেলিভারি দিলাম রাতের চারটা-সাড়ে চারটার দিকে। এরপর আর ঘুমালাম না। কারন ঘুমালে আর আমার ঘুম ভাঙবেনা। মুভি দেখে দেখে সময় পার করে দিলাম। সকালে রেডি হয়ে মেহেদী ভাইয়া র মিতু আপুর সাথে কথা বলে নটার দিকে বের হয়ে পড়লাম। উবার কল করে বসে আছি তো আছিই। কার আর আসেনা। শেষ পর্যন্ত আসলো। আর রওনা দিলাম পৌনে দশটার দিকে। এর মধ্যে মেহেদী ভাইয়া র মিতু আপুর ফোন কল আর টেক্সট। মিথ্যে বলে বলে পার পেলাম। :D সচিবালয়ে পৌঁছাতে পৌঁছাতে প্রায় এগারোটা। যাই হোক শেষ পর্যন্ত পৌঁছুলাম মিটিং রুমে। সব শেষে স্যার এর সাথে দেখা করা সবাই মিলে ছবি তোলা, কথা বলা শেষে মাহবুব ভাই চলে গেলো অফিসে, আসিফ ভাই স্টুডিওতে আর আমি মেহেদী ভাই আর মিতু আপুর সিএনজি নিয়ে বাড্ডায় ফিরে এলাম। জয়তু ঢাকা কমিক্স।
মাননীয় মন্ত্রীর হাতে বই হস্তান্তর।
বইয়ের মক আপ
(মেহেদী ভাইয়ের ব্লগপোস্ট থেকে পাওয়া)
সভা শেষে ডঃ মুহম্মদ জাফর ইকবাল স্যার আর ডঃ ইয়াসমিন হক ম্যাম এর সাথে ফ্রেম বন্দি আমরা
মেহেদী ভাই পরিচয় করিয়ে দিয়ে বললেন স্যার ও আরকি রোমেল। ফিজিক্সের ডায়াগ্রাম গুলি এঁকেছে। আমি তখন জম্বি :D
হাসিখুশি ডঃ ইয়াসমিন হক ম্যাম
এই ছবিতেও মাহবুব ভাই মিসিং
সবার ঘরে ফেরার তাড়া!
এই প্রথম সরকারি কোন কাজের সাথে ছোটখাটো ভাবে জড়িত হওয়ার অভিজ্ঞতা আমার। ধরতে গেলে তেমন কিছুই করিনি আমি। জাস্ত ডায়াগ্রামগুলি এঁকে দিয়েই খালাস। সবচে বেশি কষ্ট করেছেন মেহেদী ভাই, মিতু আপু, আসিফ ভাই, ঢাকা কমিক্স এর গ্রাফিক ডিজাইনার মাহবুব ভাই আর অবশ্যই স্যার নিজে। পুরো প্রজেক্টের ডিটেল পাওয়া যাবে মিতু আপুর এই লেখায় আর মেহেদী ভাইয়ের এই লেখায়।
গত কয়েক সপ্তাহ জুড়ে দেশি-বিদেশি ফ্রিল্যান্স কাজ, অফিসের কাজ, এটাসেটা এসব নিয়ে ব্যাস্ততায় নিজের জন্যও ভালভাবে আঁকা হয়নি আর লেখা হয়নি তেমন একটা ব্লগে। আজ একটু ফাঁক পেয়ে লিখে রাখলাম। গত সপ্তাহে ফেসবুক অ্যাকটিভ করেছিলাম। ফেসবুকেও সময় দেওয়া হয়েছে। আজাইরা সময় দিয়ে ফেলেছি বেশি। আবার ডিঅ্যাকটিভ করে দেব শীঘ্রই। ফেসবুক কাজকর্মের জন্য ক্ষতিকর। -_- আজ আপাতত এতটুক :)
No comments:
Post a Comment