নিজস্ব একটা স্টাইল ডেভেলপের চেষ্টায় আছি। ২০১৬ ভালই গিয়েছে আমার জন্য। প্রাপ্তির তালিকাটা বড়ই ছিল। ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রী নেওয়া শেষে কিছুদিন এটা সেটা করার চেষ্টা চালিয়েই বুঝে গিয়েছিলাম এসব আমার জন্য না। তখন নিজের যেটা ভাল লাগার বিষয় সেটাতেই মুভ করি গেল বছরের প্রথম দিকে এবং ফীল করতে থাকি যে না, আসলেই এটা আমার জায়গা। যদি কিছু হয় তবে এখানেই হবে। এইতো। লেগে থাকলাম। আস্তে আস্তে কাজের পরিধি বাড়ালাম। সেপ্টেম্বরে গাজীপুর ছাড়তে হলো। এবং এসে উঠলাম বাড্ডায়। প্রথম প্রথম একটু ভয় ছিল। ঢাকায় লাইফ মেনটেন করতে পারব কি না সব ম্যানেজ করতে পারবো কি না এসব নিয়ে। কিন্তু ঢাকায় এসে বুঝলাম না আসলেই সিদ্ধান্তটা ভাল ছিল। অক্টোবরে কার্টুনিস্ট হিসেবে জয়েন করলাম দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায়। সে থেকেই যুগান্তর এর ফান ট্যাবলয়েড বিচ্ছু তে কাজ করছি। আর এর মধ্যেই মেহেদী ভাইরা ঢাকা কমিক্সের জন্য স্টুডিও নিলেন। সেখানে মেহেদী ভাই, আসিফ ভাই আরাফাত ভাই, মিতু আপু, মাহাতাব সবাই আসে। অফিস না থাকলে যাই। কাজ দেখি, শিখি। আড্ডা দেই। কমিক্স কার্টুনের টিপস নেই আসিফ ভাই আর মেহেদী ভাইয়ের কাছ থেকে। এটা একটা বিরাট পাওয়া আমার কাছে। যাদের কাজ দেখে দেখে আঁকতে শেখা, আঁকার চেষ্টা করা এখন আমি তাদের কাছে থেকে সরাসরি শেখার চেষ্টা করি। এটাই এ পর্যন্ত সব চে বড় পাওয়াটা। আজও গেলাম। স্টুডিও তে। হাতির ঝিলের মোড়ের মোবাইল ফুড কোর্টে খেলাম সবাই। স্টুডিওতে বসে মেহেদী ভাইকে পাঞ্জেরী এর জন্য করা কমিক্সের থাম্বনেল দেখালাম। মিতু আপুর সাথে আড্ডা দিলাম। এই তো। লাইফ ইজ গুড।
এখনো সিগ্নেচারে ২০১৬ দিচ্ছি -_-
অফিসে কাজের ফাঁকে ধুপধাপ আঁকা
লোকাল বাস :D
বন্ধু শ্রেয়নী কলকাতা থেকে একটা সুয়েটার পাঠিয়েছে।
এনেছেন মেহেদী ভাই আর মিতু আপু।
আমি গেম অফ থ্রোন্স ভাইরাসে আক্রান্ত। :/